Breaking News

মার্ক্সবাদ ও সংগ্রামী বামপন্থার আদর্শ নিয়ে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে লড়ছে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)

সাংবাদিক সম্মেলনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করছেন সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ। উপস্থিত আছেন পলিটবুরো সদস্য কমরেড অসিত ভট্টাচার্য

১৪ মার্চ কলকাতার প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে গিয়ে বলেন, ভারতের জনগণ আর একটি পার্লামেন্ট নির্বাচনের সম্মুখীন হচ্ছেন যে নির্বাচনে সরকার এবং বিভিন্ন দল কোটি কোটি টাকা খরচ করবে। যতই গণতন্ত্রের কথা বলা হোক না কেন, মার্ক্সবাদী হিসাবে আমরা জানি, পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় নির্বাচনের দ্বারা একটা বুর্জোয়া দলের পরিবর্তে আর একটি বুর্জোয়া দল নির্বাচিত বা পুনর্নির্বাচিত হয় মাত্র। রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে যখন পুঁজিবাদের অভ্যুত্থান ঘটেছিল, তখন প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা নিয়ে যে সংসদীয় গণতন্ত্র এসেছিল এবং প্রথম যুগে তার যতটা প্রগতিশীল ভূমিকা ছিল– আজ সাম্রাজ্যবাদ ও ক্ষয়িষুiর পুঁজিবাদের যুগে সেই সংসদীয় গণতন্ত্রের ধ্বংসাবশেষটুকু টিকে আছে মাত্র। বাস্তবে আজ সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে সমস্ত পুঁজিবাদী দেশেই নানা রূপে ফ্যাসিবাদী স্বৈরতন্ত্র কায়েম হয়েছে। ‘বাই দ্য পিপল’, ‘ফর দ্য পিপল’, ‘অফ দ্য পিপল’, ‘সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতা’, বুর্জোয়া গণতন্ত্রের প্রথম যুগের এই ঘোষণাগুলি আজ শুধু পাঠ্যপুস্তকেই আছে, বাস্তবে সেগুলি পদদলিত, কাদায় নিক্ষিপ্ত। এখানে জনগণের রায়ের নামে বাস্তবে পুঁজিপতিদের রায়ই কাজ করে। জনগণ নয়, নির্বাচনে কে জিতবে তা নির্ধারণ করে মানি পাওয়ার, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পাওয়ার, মিডিয়া পাওয়ার ও মাসল পাওয়ারের যোগসাজশে গড়ে ওঠা চক্র। এটা ভারতেও ঘটছে।

এই নির্বাচনে একদিকে বিজেপির নেতৃত্বে ‘এনডিএ’, আর একদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ‘ইন্ডিয়া’– প্রধানত এই দুটি বুর্জোয়া জোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। অতীতের ইতিহাস থেকে জানা আছে, দুই পক্ষই ভুরি ভুরি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এবং টাকার থলি নিয়ে এই নির্বাচনে নামবে। বিজেপির কর্ণধাররা দাবি করছেন তাঁরা ভারতে ‘রামরাজত্ব’ কায়েম করতে চলেছেন এবং তাঁদের বিগত ১০ বছরের শাসনে দেশের ব্যাপক ‘বিকাশ’ হয়েছে। ‘বিকাশ’ হয়েছে এই কথাটা ঠিক, কিন্তু কার ‘বিকাশ’ ঘটেছে? বিকাশ ঘটেছে একচেটিয়া পুঁজিপতি ও মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশনগুলির। তারা শ্রমিক শ্রেণিকে, জনগণকে ব্যাপক শোষণ করে বিপুল মুনাফা আগেও লুটেছে এবং আজও লুটছে। যে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার এই ‘বিকাশ’ কিংবা ‘উন্নয়ন’-এর মূল কাণ্ডারি বলে তাঁরা দাবি করছেন, তার দুই চালক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই ‘ইঞ্জিন’-এর পিছনের কামরায় বসে আছে আম্বানি, আদানি, টাটা, মিত্তাল, জিন্দালদের মতো পুঁজিপতিরা, আর গাড়ির তলায় দলিত, পিষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি দরিদ্র-নিঃস্ব-রিক্ত ভারতবাসী। একদিকে পুঁজিপতি এবং মাল্টিন্যাশনালদের মুনাফার পাহাড় বাড়ছে, অন্য দিকে দেশে কোটি কোটি বেকার, হাজার হাজার কলকারখানা বন্ধ হওয়ার ফলে আরও কয়েক কোটি শ্রমিক ছাঁটাই হচ্ছে, শিল্পক্ষেত্রে একচেটিয়া পুঁজির মালিকানা কেন্দ্রীভূত হচ্ছে এবং মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প ধ্বংস হচ্ছে। শুধু পাইকারি নয়, খুচরো ব্যবসাকেও মাল্টিন্যাশনালরা কুক্ষিগত করছে। বিদ্যুৎ-রেল-তেল-ব্যাঙ্ক-বিমা-ইস্পাত-কয়লা-বন্দর সহ বিভিন্ন সরকারি শিল্পক্ষেত্রগুলিকে বেসরকারি মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে তাদের মুনাফাবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে। মধ্যবিত্তের সংখ্যা নামতে নামতে তলানিতে ঠেকেছে, জিনিসপত্রের দাম ক্রমশ বাড়ছেই। ট্যাক্সের বোঝাও বাড়ছে।

এই ‘রামরাজত্বে’ কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশ থেকে সস্তা দরে অপরিশোধিত তেল কিনে দেশের জনগণকে বহুমূল্যে কিনতে বাধ্য করছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির এটাও একটা প্রধান কারণ। সরকার একদিকে জনগণের উপর ট্যাক্সের বোঝা বাড়াচ্ছে, অন্য দিকে পুঁজিপতিদের কোটি কোটি টাকা ঋণ মকুব করছে, তাদের ট্যাক্স কমিয়ে দিচ্ছে। বিজেপি সরকারের পূর্বের যে প্রতিশ্রুতি– বিদেশে সঞ্চিত কালো টাকা উদ্ধার করে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ করে টাকা দেবে, প্রতি বছর দু’কোটি বেকারকে চাকরি দেবে, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করবে, সেই প্রতিশ্রুতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মরণ করানোয় তিনি বলেছেন, এগুলি ইলেকশন-‘জুমলা’, অর্থাৎ নিছকই কথার কথা। বাস্তবে এদের সব প্রতিশ্রুতিই এ রকম ‘জুমলা’। বিদেশে কালো টাকার পাহাড় জমছে কিন্তু তা উদ্ধার করার লেশমাত্র প্রচেষ্টা নেই। বরং সরকার-আশ্রিত কালো টাকার কারবারি এবং কোটি কোটি গরিব দেশবাসীর মুখের রক্ত তোলা সঞ্চয়ের জমানো টাকা ব্যাঙ্ক থেকে যারা লুট করেছে, তারা নিরাপদে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’ এই ঘোষণাও বাস্তবে কার্যকরী হচ্ছে ইডি এবং সিবিআইকে ব্যবহার করে অন্য দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা ও মন্ত্রীদের নিজের দলে আশ্রয় দেওয়া এবং নিজের দলের দুর্নীতিগ্রস্তদের রক্ষা করার জন্য।

অন্য দিকে, অনাহার এবং বেকারত্বের জ্বালায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আত্মহত্যা করছে, অনেকে দিশাহীন হয়ে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে, এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছুটছে। লক্ষ লক্ষ সরকারি পদ খালি থাকা সত্ত্বেও সরকার নিয়োগ না করায় বেকারের সংখ্যা বাড়ছেই। স্থায়ী চাকরির পরিবর্তে শিল্পগুলিতে এমনকি সরকারি দপ্তরেও চুক্তিতে অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ চালু করা হয়েছে যেখানে কোনও নির্দিষ্ট মজুরি নেই এবং কাজের সময়েরও কোনও সীমা নেই। দেশের বেকার সঙ্কট এমন ভয়াবহ যে অনেকে বিদেশেও পাড়ি দিচ্ছে, এমনকি কিছু কোম্পানি রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ভারতীয় যুবকদের পাঠিয়েছে। যে ইজরায়েল প্যালেস্টাইনকে ধ্বংস করছে, হাজার হাজার নরনারী শিশুকে হত্যা করছে, সেই ইজরায়েলে মোদি সরকার কনস্ট্রাকশনের কাজ করার জন্য দেশের যুবকদের পাঠিয়েছে। দেশের বেকার যুবকদের কামানের খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গ্রাম-শহরে অসংখ্য মহিলা দারিদ্রের অসহনীয় জ্বালায় দেহবিক্রির বাজারে নিজেদের পণ্যে পরিণত করছে। নারী পাচারও এ দেশের একটা বিরাট ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাজার হাজার নারী নিখোঁজ হয়ে আছে। এ দেশে, না বিদেশে কোথায় তারা আছে, কেউ জানে না। প্রতিদিন বহু নারী ধর্ষিতা হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে বিজেপি-শাসিত, ‘রাম মন্দির’ প্রতিষ্ঠিত উত্তরপ্রদেশ শীর্ষ স্থানে আছে। শিশুরাও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে শিশুশ্রমিক হিসাবে ব্যবহারের জন্য। দেশের ভিতরে আনুমানিক ২ কোটি শিশুশ্রমিক কাজ করে। ঋণ শোধ করতে না পেরে এবং ক্ষুধার জ্বালায় লক্ষ লক্ষ কৃষক ও সাধারণ নরনারী আত্মহত্যা করছে। গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে ভারতের স্থান ভয়াবহ। লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহীন, আশ্রয়হীন, সহায়-সম্বলহীন হয়ে ফুটপাতবাসী। রেললাইনের দু’ধারে ঝুপড়িবাসীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই হচ্ছে বিজেপি শাসিত ‘রামরাজত্বের’ উন্নয়নের আর একটি চিত্র।

ভারত স্বাধীন হওয়ার পর দীর্ঘ সময় কংগ্রেস শাসন করেছে এবং এই কংগ্রেস পুঁজিবাদের স্বার্থে ফ্যাসিবাদের ভিত রচনা করেছে। পুঁজিবাদের স্বার্থেই ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়, পুঁজিবাদী দল এটা কার্যকর করে। ফলে যে কোনও দল, শুধু জাতীয় বুর্জোয়া দলই নয়, এমনকি আঞ্চলিক বুর্জোয়া দলও পুঁজিবাদী স্বার্থে ফ্যাসিস্টসুলভ আচরণ করে। কংগ্রেস যে ফ্যাসিবাদের ভিত গড়েছে, বিজেপি এই ভিতকে আরও পাকাপোক্ত করছে। এই ফ্যাসিবাদ কায়েম করার উদ্দেশ্যে এ দেশের নবজাগরণের যুগের রামমোহন, বিদ্যাসাগর, ফুলে প্রমুখ মনীষীরা ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লড়াই করে যে বৈজ্ঞানিক যুক্তিবাদী মননের সূচনা করেছিলেন, বিজেপি সেই ঐতিহ্য ধূলিসাৎ করে হিন্দুত্বের নামে পুনরায় অতীতের ধর্মীয় অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেশকে। বৈজ্ঞানিক গণতান্ত্রিক চিন্তা ধ্বংস করে বিজেপি ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধ মানসিকতা জাগিয়ে তুলছে যাতে অধ্যাত্মবাদের সাথে কারিগরি বিজ্ঞানের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ফ্যাসিবাদী মনন তৈরি করা যায়। এ জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিক বিজ্ঞানের নানা গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বর্জন করে– প্রাচীন ধর্মশাস্ত্রের এইসব আবিষ্কার আছে– এ রকম মিথ্যা দাবি করছে এবং ইতিহাস বিকৃত করছে, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির নামে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। অন্য দিকে গরিব শোষিত মানুষের মধ্যে ধর্মান্ধতা জাগিয়ে তুলে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ এবং সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বাধানো হচ্ছে।

এটা ইতিহাস যে, বিজেপির জনক আরএসএস এবং হিন্দু মহাসভা ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেনি। বরং ব্রিটিশবিরোধী এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতার ভিত্তিতে যে স্বাধীনতা আন্দোলন এই ভূখণ্ডে পরিচালিত হয়েছিল, তাকে ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ আখ্যা দিয়েছিল এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ‘দেশের শত্রু’ হিসাবে গণ্য করেছিল আরএসএস-হিন্দু মহাসভা। এই বিজেপির বিচারে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, লালা লাজপত রাই, বালগঙ্গাধর তিলক, নেতাজি সুভাষচন্দ্র, ভগৎ সিং সহ অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামী ও শহিদরা ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ এবং ‘দেশের শত্রু’। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এ ভাবে কলঙ্কিত করা কি এ দেশের মানুষ মেনে নেবেন? এ কথাও স্মরণ করা দরকার যে, সেই সময়ে হিন্দু মহাসভার নেতা বিনায়ক দামোদর সাভারকরই প্রথম দেশভাগের দাবি তুলেছিলেন।

চৈতন্য-রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ এঁরা কেউই রামের জন্মভূমিতে বাবরি মসজিদ হয়েছে এই কথা বলেননি এবং তা ধ্বংস করার আহ্বানও জানাননি। এমনকি চার খণ্ড বেদ, ছয় খণ্ড উপনিষদ ও মহাভারতেও রামের কোনও অস্তিত্ব নেই। … তুলসীদাসের রামায়ণেও এই কথা নেই যে এইভাবে বাবরি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। নিছক ভোটের স্বার্থে বিজেপি এই মিথ্যা ধুয়া তুলে মসজিদ ধ্বংস করালো এবং রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করল। নির্বাচনকে সামনে রেখে এই রামমন্দির প্রতিষ্ঠাকে হিন্দুধর্মের অথরিটি বলে পরিচিত বর্তমান চারজন শঙ্করাচার্যও অ-ধর্মীয় আখ্যা দিয়েছেন। তা হলে আরএসএস-বিজেপি কি ধর্মীয় পথে চলছে, নাকি চৈতন্য-রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ ধর্মীয় পথে চলেছেন? নিছক ‘হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক’ তৈরি, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ তৈরি ও সংঘর্ষ বাধানো এবং গণআন্দোলনের ঐক্য বিনষ্ট করার স্বার্থে বিজেপি ‘হিন্দুত্ব’-র জিগির তুলেছে।

বিজেপি সরকার গণআন্দোলনগুলি নৃশংসভাবে দমন করছে। দিল্লিতে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনে ৭০০ কৃষককে শহিদের মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। যে যৎসামান্য গণতান্ত্রিক অধিকার, মত প্রকাশের সুযোগ ছিল, তা ধ্বংস করা হচ্ছে। বিজেপি বিরোধিতা বা সমালোচনাকে ‘দেশ ও রাষ্ট্রের বিরোধিতা’ আখ্যা দিয়ে নির্বিচারে গণআন্দোলনের কর্মীদের কারারুদ্ধ করা হচ্ছে, এমনকি সাংবাদিকরাও রেহাই পাচ্ছেন না। বিচার বিভাগের আপেক্ষিক স্বাধীনতাকেও খর্ব করে দলীয় ও প্রশাসনিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করা হচ্ছে। প্রশাসনের সকল গুরুত্বপূর্ণ পদে আরএসএস-এর নিজস্ব লোককে বসানো হচ্ছে। সবকিছুই করা হচ্ছে ফ্যাসিবাদকে শক্তিশালী করার জন্যই।

অন্য দিকে সমগ্র পরিবেশকে বিপন্ন করে তোলা হচ্ছে। কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন ইত্যাদি গ্রিন হাউস গ্যাস বেড়ে যাওয়ার ফলে ভারত সহ সমগ্র বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে। ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ এবং হিমালয় ও অন্যান্য পর্বতের হিমবাহ গলে গিয়ে সমুদ্রের জলস্তর ক্রমাগত বাড়ছে ও উত্তপ্ত হচ্ছে। সেই জল ক্রমশ স্থলভাগকে গ্রাস করছে, আবহাওয়ার পরিবর্তন এমন হয়েছে যে কোথাও অত্যধিক বৃষ্টি, কোথাও খরা চলছে। গ্রীষ্মকালের পরিধি ক্রমশ বাড়ছে। গোটা ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিজ্ঞানীদের বারবার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদের স্বার্থে ভারত সহ কোনও পুঁজিবাদী দেশই এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আক্রমণ থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করার কোনও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

ফলে পুঁজিপতিশ্রেণির বিশ্বস্ত দল বিজেপির এইসব জনবিরোধী কার্যকলাপ, ফ্যাসিবাদী পদক্ষেপ, সর্বক্ষেত্রে দলীয় আধিপত্য কায়েম, বিরুদ্ধ মতের কণ্ঠরোধ, উগ্র হিন্দুত্ব, সাম্প্রদায়িক মানসিকতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে আগামী নির্বাচনে অবশ্যই বিজেপিকে পরাস্ত করা দরকার।

অন্য দিকে কংগ্রেসও পুঁজিবাদের আর একটি বিশ্বস্ত দল। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকাকালীন অবাধ পুঁজিবাদী শোষণ ও লুণ্ঠনকেই কার্যকরী করেছে। কংগ্রেস কোনও দিনই সেকুলার ও গণতান্ত্রিক ছিল না। সমগ্র স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধীজির নেতৃত্বে কংগ্রেস সর্বধর্মসমন্বয়ের নামে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ তথা উচ্চবর্ণের হিন্দুধর্মীয় জাতীয়তাবাদের চর্চা করেছিল। স্বাধীনতার পর কংগ্রেস শাসনেও একই জিনিসই ঘটেছে। সেকুলার হিউম্যানিজমের যথার্থ অর্থ হচ্ছে পার্থিব মানবতাবাদ। অর্থাৎ যে কোনও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি, সামাজিক সম্পর্কের সাথে ধর্মের কোনও সম্পর্ক থাকবে না। ধর্ম থাকবে ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিষয় হয়ে। এটা কংগ্রেস কোনও দিনই চর্চা করেনি। নেতাজি, ভগৎ সিং, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, প্রেমচন্দ, নজরুল, সুব্রমনিয়ম ভারতী এই আদর্শের কথাই বলে গেছেন। আবার এই কংগ্রেসই তাদের শাসনে রাজ্যে রাজ্যে শ্রমিক-কৃষক সংগ্রামে ও গণআন্দোলনে নির্বিচারে আক্রমণ করেছে, ‘জরুরি অবস্থা’ জারি করেছে, ‘টাডা’, ‘মিসা’, ‘এসমা’, ‘আফস্পা’, ‘ইউএপিএ’ ইত্যাদি অগণতান্ত্রিক আইন চালু করেছে। এই আইনগুলিকে বিজেপি আরও কঠোর করেছে এবং আরও কিছু কঠোরতর আইন চালু করছে। ফলে পুঁজিবাদের স্বার্থরক্ষাকারী এই কংগ্রেস জোটকেও জনগণ সমর্থন করতে পারে না।

দুঃখের বিষয়, নিছক কিছু সিট পাওয়ার স্বার্থে সিপিএম ও সিপিআই এই কংগ্রেসকেই ‘সেকুলার’ এবং ‘গণতান্ত্রিক’ আখ্যা দিয়ে ইন্ডিয়া জোটে সামিল হয়েছে। অথচ এই সময় যখন দু’টি বুর্জোয়া জোটের গদি নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে সেইসময় শোষিত জনগণের শ্রেণিসংগ্রাম ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন আরও তীব্রতর করার জন্য প্রয়োজন ছিল সংগ্রামী বাম ঐক্য গঠন করা এবং তার মাধ্যমেই এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। আমরা চাওয়া সত্ত্বেও তাঁরা এই পথে এলেন না এবং আমাদের সাথে ছয় পার্টির ঐক্যও ভেঙে দিলেন। এই ঐক্য গঠন করতে পারলে সংগ্রামের পথে পরবর্তীকালে বুর্জোয়া শক্তির পরিবর্তে বিকল্প সর্বহারার শক্তি গড়ে তোলা যেত। আমাদের দল এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) বিপ্লবী বামপন্থার চর্চা করছে, আর সিপিএম-সিপিআই ভোটের স্বার্থে সংস্কারবাদী বামপন্থার চর্চা করছে। আশা করি সিপিএম-সিপিআইয়ের কর্মী-সমর্থকরা এটা ভেবে দেখবেন।

পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের ৩৪ বছরের শাসন অতীতের বামপন্থী আন্দোলনের মর্যাদাকে বিনষ্ট করেছে যার সুযোগ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান ঘটেছে এবং বিজেপিও পশ্চিমবঙ্গে জায়গা করার সুযোগ পেয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ‘পরিবর্তন’-এর স্লোগান তুলে যে শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে সেটা নিছক তাদের দলীয় শাসন প্রবর্তন করা। অতীতের সিপিএম শাসনের মতোই দলবাজি, গণআন্দোলনের উপরে আক্রমণ, চরম দুর্নীতি, পুলিশ ও প্রশাসনকে কব্জা করে সমাজবিরোধীদের ব্যবহার করে দলীয় আধিপত্য কায়েম করা, ভোটে জোরজুলুম, সন্ত্রাস– এ সবই চলছে। এ রাজ্য নারীপাচারে ভারতে শীর্ষ স্থানে আছে। সিপিএম আমলে সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধির নামে যে মদের দোকান খোলা শুরু হয়েছিল, বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে তা আরও কয়েকগুণ বেড়েছে। চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, তোলাবাজি, ইভটিজিং, নারীধর্ষণ, এ সব কিছুই অবাধে চলছে এবং যারা এই সব কুকর্ম করছে, সকলেই বেপরোয়া, কারণ তারা জানে সরকারি দলের আশ্রয়ে থাকলে বিপদের কোনও আশঙ্কা নেই। কেন্দ্র যেমন পেট্রল-ডিজেলে ট্যাক্স বসাচ্ছে, এ রাজ্যের সরকারও এগুলির উপর সেস বসাচ্ছে। গোটা ভারতবর্ষের মতোই এ রাজ্যেও শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত।

বাস্তবে সব পুঁজিবাদী দেশে এবং আমাদের দেশেও বুর্জোয়া রাজনীতি একদল মিথ্যাবাদী, ভণ্ড, প্রতারক রাজনৈতিক নেতা সৃষ্টি করেছে। এইসব নেতারা নিজেদের ভাবমূর্তি তৈরির জন্য সংবাদমাধ্যমে ছবি ছাপায়, রাস্তার মোড়ে মোড়ে নিজেদের ছবি দিয়ে বিশাল বিশাল কাটআউট লাগায়, যেখানে সেখানে নিজের ছবি লাগায়– এ সব না করলে তাদের জনপ্রিয়তা থাকে না। অথচ স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতাদের এ সব প্রয়োজন ছিল না। তাঁরা মানুষের মনে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এই সব দলগুলি জানে, আজ মানুষ আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত, ক্ষুধার্ত, ভিখারিপ্রায়। ভোটের সময়ে নানা নামে কিছু খয়রাতি, কিছু সাহায্য দিলে গরিব মানুষের ভোট কেনা যায়। এই জিনিস বারবারই ঘটছে। গরিব মানুষও ঠকছে। কারণ, শিক্ষার অভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে রাজনীতির চর্চা প্রায় নেই এবং এই দলগুলিও সাধারণ মানুষকে রাজনীতি সম্পর্কে অজ্ঞ করে রাখতে চায়। যাতে তাদের ঠকাতে সুবিধা হয়, ভোটের সময়ে খবরের কাগজে-টিভিতে হাওয়া তুলে আর কিছু টাকা ছড়িয়ে ভোট আদায় করা যায়।

দেশের জনগণকে এ কথা বুঝতে হবে যে, বর্তমান সমাজ শ্রেণিবিভক্ত। একদিকে শোষক পুঁজিপতি শ্রেণি, অন্য দিকে কোটি কোটি শোষিত অত্যাচারিত জনগণ– এদের উভয়ের স্বার্থ এক হতে পারে না। পুঁজিপতিদের স্বার্থ– জনগণকে আরও কত শোষণ করা যায়, আর জনগণের একমাত্র স্বার্থ– কী ভাবে শোষণ-অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচা যায়। ফলে রাজনীতিও দু’টি– একটি, পুঁজিবাদী শোষণকে রক্ষা করার রাজনীতি, আরেকটি, পুঁজিবাদ উচ্ছেদ করে শোষণ থেকে বাঁচার রাজনীতি। নাম, ঝান্ডা, স্লোগানের পার্থক্য যা-ই থাকুক, অন্যান্য দলগুলির সকলেই পুঁজিবাদের রক্ষক। একমাত্র আমাদের দল এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) মহান মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ-শিবদাস ঘোষ চিন্তাধারার ভিত্তিতে শোষিত জনগণের শ্রেণিসংগ্রাম এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় স্তরে ও রাজ্যে রাজ্যে সংগঠিত করে যাচ্ছে এবং করে যাবে। আমাদের উদ্দেশ্য, বিপ্লবের মাধ্যমে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা এবং তার রাজনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তন করে সমাজতন্ত্র কায়েম করা, যেটা ভোটের দ্বারা সরকার পাল্টে সম্ভব নয়। এই আন্দোলনগুলির মাধ্যমে আমরা শুধু দাবি আদায় করার চেষ্টা করি তাই নয়, জনগণকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন ও সংঘবদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালাই।

এই নির্বাচনেও আমরা মার্ক্সবাদ ও সংগ্রামী বামপন্থার আদর্শ বহন করে ১৯টি রাজ্য ও ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে মোট ১৫১টি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচনে যথাক্রমে ৫টি ও ২৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। জনগণকে বিপ্লবী লক্ষ্যে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করা, আমাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত হলে পার্লামেন্টের ভিতরে জনগণের দাবিদাওয়া নিয়ে সোচ্চার হওয়া, সরকারের আনা জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠ তুলে ধরা এবং একই সাথে পার্লামেন্টের বাইরে শোষিত জনগণের শ্রেণিসংগ্রাম এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে এস ইউ সি আই (সি) নির্বাচনী সংগ্রামে নেমেছে। আমরা আশা করি, জনগণ আমাদের এই বক্তব্য বিবেচনা করে আমাদের প্রার্থীদের জয়যুক্ত করে শোষিত মানুষের শ্রেণিসংগ্রাম এবং গণআন্দোলনকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবেন।

লোকসভায় ১৯ রাজ্যে ও ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একক শক্তিতে ১৫১টি আসনে

এবং বিধানসভা নির্বাচনে অন্ধ্রে ৫টি ও ওড়িশায় ২৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে

পশ্চিমবঙ্গ : ৪২/৪২

১) কোচবিহার (এসসি) : দিলীপ  চন্দ্র বর্মন

২) আলিপুরদুয়ার (এসটি) : চন্দন ওরাওঁ

৩) জলপাইগুড়ি (এসসি) : রামপ্রসাদ মণ্ডল

৪) দার্জিলিং : ডাঃ শাহরিয়ার আলম

৫) রায়গঞ্জ : সনাতন দত্ত

৬) বালুরঘাট : বীরেন মহন্ত

৭) মালদহ উত্তর : কালীচরণ রায়

৮) মালদহ দক্ষিণ : অংশুধর মণ্ডল

৯) জঙ্গিপুর : সামিরউদ্দিন

১০) বহরমপুর : অভিজিৎ মণ্ডল

১১) মুর্শিদাবাদ : মহাফুজুল আলম

১২) কৃষ্ণনগর : ইসমত আরা খাতুন

১৩) রানাঘাট (এসসি) : পরেশ হালদার

১৪) বনগাঁ (এসসি) : পতিতপাবন মণ্ডল

১৫) ব্যারাকপুর : দেবাশীষ ব্যানার্জী

১৬) দমদম : বনমালী পণ্ডা

১৭) বারাসাত : সাধন ঘোষ

১৮) বসিরহাট : দাউদ গাজি

১৯) জয়নগর : নিরঞ্জন নস্কর

২০) মথুরাপুর (এসসি) : বিশ্বনাথ সরদার

২১) ডায়মন্ডহারবার : রামকুমার মণ্ডল

২২) যাদবপুর : কল্পনা দত্ত

২৩) কলকাতা দক্ষিণ : জুবের রব্বানি

২৪) কলকাতা উত্তর : ডাক্তার বিপ্লব চন্দ্র

২৫) হাওড়া : উত্তম চ্যাটার্জী

২৬) উলুবেড়িয়া : নিখিল বেরা

২৭) শ্রীরামপুর : প্রদ্যুৎ চৌধুরী

২৮) হুগলি : পবন মজুমদার

২৯) আরামবাগ (এসসি) : সুকান্ত পোড়েল

৩০) তমলুক : নারায়ণ নায়ক

৩১) কাঁথি : মানস প্রধান

৩২) ঘাটাল : দীনে মেইকাপ

৩৩) ঝাড়গ্রাম (এসটি) : সুশীল মান্ডি

৩৪) মেদিনীপুর : অনিন্দিতা জানা

৩৫) পুরুলিয়া : সুস্মিতা মাহাত

৩৬) বাঁকুড়া : তারাশঙ্কর গোপ

৩৭) বিষ্ণুপুর (এসসি) : সদানন্দ মণ্ডল

৩৮) বর্ধমান পুর্ব (এসসি) : নির্মল মাজি

৩৯) বর্ধমান–দুর্গাপুর : তসবিরুল ইসলাম

৪০) আসানসোল : অমর চৌধুরী

৪১) বোলপুর (এসসি) : অধ্যাপক বিজয় দোলুই

৪২) বীরভূম : আয়েশা খাতুন

 

বিহার : ৪০/১৭

১) ঝঞ্ঝরপুর : বিজয় কুমার মণ্ডল

২) মাধেপুরা : জওহর লাল জয়সওয়াল

৩) দারভাঙা : সুরেন্দ্র দয়াল সুমন

৪) মুজফফরপুর : অরবিন্দ কুমার

৫) বৈশালী : নরেশ রাম

৬) হাজিপুর (এসসি) : রাজেশ কুমার রওশন

৭) উজিয়াপুর : রাম পুকার রাই

৮) বেগুসরাই : রাম উদগর

৯) ভাগলপুর : দীপক মণ্ডল

১০) বাঁকা : কবীন্দ্র পণ্ডিত

১১) মুঙ্গের : রবীন্দ্র মণ্ডল

১২) পাটনা সাহিব–১ : সরোজ কুমার সুমন

১৩) পাটলিপুত্র : অনিল কুমার চন্দ

১৪) আরা : ধরমাত্মা শর্মা

১৫) কারাকাট : প্রয়াগ পাসওয়ান

১৬) জাহানাবাদ– উমাশঙ্কর বর্মা

১৭) জামুই (এসসি) : সন্তোষ দাস

ওড়িশা : ২১/১৬

১) সুন্দরগড় (এসটি)– জাসটিন লুগুন

২) সম্বলপুর : নবকিশোর প্রধান

৩) কেওনঝড় (এসটি) : হরিহর মুণ্ডা

৪) ময়ুরভঞ্জ (এসটি) : পীতবাস নায়েক

৫) ভদ্রক (এসসি) : কীর্তন মল্লিক

৬) জাজপুর (এসসি) : সুভাষ মল্লিক

৭) ঢেঙ্কানল : মানসি সোয়াইন

৮) বোলাঙ্গির : সুনীল ভোই

৯) নবরঙ্গপুর (এসটি) : ত্রিনাথ মুণ্ডাগুড়িয়া

১০) কটক : রাজকিশোর মল্লিক

১১) কেন্দ্রাপাড়া : সৌহার্দ্য সামল

১২) জগতসিংপুর (এসসি) : মহেশ্বর দাস

১৩) পুরী : সুভাষচন্দ্র ভোই

১৪) আস্কা : পাপুন  সাহু

১৫) বেরহামপুর : সোমনাথ বেহেরা

১৬) কোরাপুট (এসটি) : প্রমীলা পূজারি

 আসাম :   ১৪/৬

১) ধুবড়ি : সুরতজামান মণ্ডল

২) বরপেটা : চিত্রলেখা দাস

৩) দারও–ওদালগুড়ি : জিতেন চালিহা

৪) করিমগঞ্জ : প্রোজ্জ্বল দেব

৫) শিলচর (এসসি) : প্রভাস সরকার

৬) লখিমপুর : পল্লব পেগু

 

কর্ণাটক : ২৮/১৯

১) বেলাগাভি : লক্ষ্মণ জদাগন্নানভর

২) বাগলকোট : মল্লিকার্জুন তলওয়ার এইচটি

৩) বিজাপুর (এসসি): নাগজ্যোতি

৪) কলাবুরগি (এসসি) : এস এম শর্মা

৫) রায়চুড় (এসটি) : রামালিঙ্গাপ্পা

৬)  কোপ্পাল : শারানু গড্ডি

৭) বেলারি (এসটি) : দেবদাস এ

৮) হাভেরি : গঙ্গাধর বাদিগার

৯) ধরওয়াড় : সারনাবাসভ গোনাভারা

১০) উত্তর কন্নাড়া : গণপতি বি হেগড়ে

১১) দোবানাগেরি : টিপ্পেস্বামী

১২) চিত্রদুরগা (এসসি) : কলাবতী এন

১৩) টুমকুর : এস এন স্বামী

১৪) মহিশূর : সুনীল টি আর

১৫) চামারাজানগর (এসসি) : সুমা এস

১৬) ব্যাঙ্গালোর রুরাল : নির্মলা এইচ এল

১৭) ব্যাঙ্গালোর নর্থ : হেমাবতী কে

১৮) ব্যাঙ্গালোর সেন্ট্রাল : শিবপ্রকাশ এইচ পি

১৯ ) চিকবল্লাপুর : শামমুগম

কেরালা : ৮/২০

১) কোঝিকোড় :  ডাঃ  এম জ্যোতিরাজ

২) চালাকুডি : ডাঃ এম প্রদীপন

৩) এরনাকুলাম : এ ব্রহ্মকুমার

৪) কোট্টায়াম : ভি পি কোচুমন

৫) আলাপ্পুঝা : আর আরজুনান

৬) মাভেলিক্কারা : কে বিমলজি

৭) কোল্লাম : টুইঙ্কল প্রভাকরণ

৮) তিরুবনন্তপুরম : এস মিনি

 

তামিলনাড়ু : ৩৯/২

১) চেন্নাই নর্থ : জে সেবাস্টিন

২) মাদুরাই : পি পান্ডিয়ান

তেলেঙ্গানা : ১৭/২

১) মেডক : বি শ্রীনিবাস

২) সেকেন্দ্রাবাদ : আর গঙ্গাধর

উত্তরাখণ্ড : ৫/১

১) গাড়োয়াল : রেশমা পানওয়ার

 

ত্রিপুরা : ২/১

১) ত্রিপুরা পশ্চিম : অরুণ ভৌমিক

 

 ছত্তিশগড় : ১১/১

১) দুরগ : বিশ্বজিৎ হারোড়ে

 

দিল্লি (ইউটি) : ৭/২

১) চাঁদনি চক : ঋতু কৌশিক

২) নর্থ ইস্ট দিল্লি : প্রকাশ দেবী

পুদুচেরি (ইউটি) : ১/১

১) পি শঙ্করন

 

হরিয়ানা : ১০/৬

১) কুরুক্ষেত্র : ওমপ্রকাশ শাস্ত্রী

২) হিসার : বিজেন্দর সিং

৩) সোনিপত : বলবীর সিং

৪) রোহতক : জয়করণ মনদওলি

৫) ভিওয়ানি–মহেন্দ্রগড় : রোহতশ সাইনি

৬) গুরগাঁও : সারওয়ান কুমার গুপ্তা

মধ্যপ্রদেশ : ২৯/৬

১) গোয়ালিয়র : রচনা আগরওয়াল

২) গুনা শিবপুরী : মনীশ শ্রীবাস্তব

৩) সাগর : রাম অবতার শর্মা

৪) জবলপুর : সচিন জৈন

৫) ভোপাল : মুদিত ভাটনগর

৬) ইন্দোর : অজিত সিং পানওয়ার

ঝাড়খণ্ড : ১৪/৬

১) গোড্ডা : কালীপদ মুর্মু

২) ধানবাদ : রাজীব তিওয়ারি

৩) রাঁচি : মিন্টু পাসওয়ান

৪) জামশেদপুর : সোনোকা মাহাত

৫) সিংভুম (এসটি) : পানমনি সিং

৬) পালামৌ (এসসি) : মহিন্দ্র বৈথা

অন্ধ্রপ্রদেশ : ২৫/৪

১) বিজয়ওয়াড়া : জি ললিতা

২) কারনুল : এম নাগান্না

৩) অনন্তপুর : বি নাগামুত্যালু

৪) হিন্দুপুর : অশোক

উত্তরপ্রদেশ : ৮০/৫

১) মোরাদাবাদ : ইসলাম আলি

২) কানপুর : বলেন্দ্র কাটিয়ার

৩) প্রতাপগড় : রামকুমার যাদব

৪) ঘোসি–বালিয়া : বিজয় কুমার

৫) জৌনপুর : রাম পেয়ারে

রাজস্থান : ২৫/১

১) জয়পুর সিটি : কুলদীপ সিং

 গুজরাট : ২৬/২

১) ভদোদরা : তপন দাশগুপ্ত

২) নভসারি : কানুভাই খাদোদিয়া

 

মহারাষ্ট্র : ৪৮/২

১) নাগপুর : নারায়ণ চৌধুরী

২) মুম্বাই নর্থ : জয়রাম বিশ্বকর্মা

 

আন্দামান এবং নিকোবর (ইউটি) : ১/১

১)  আন্দামান : সালামত মণ্ডল

 

বিধানসভা নির্বাচনে ২টি রাজ্যে ৩৩টি আসন একক শক্তিতে লড়ছে এস ইউ সি আই (সি)

 

অন্ধ্রপ্রদেশ

১) বিজয়ওয়াড়া সেন্ট্রাল : এল হিমভদবতী

২) কার্নুল : ভি হরিশ কুমার রেড্ডি

৩) তিরুপতি : এল এন লক্ষ্মী

৪) অনন্তপুর–আরবান : ডি রাঘবেন্দ্

৫) হিন্দুপুর : ভি রবীন্দ্র

ওড়িশা

১) বিরামিত্রপুর (এসটি) : কামিল তেতে

২) রাজগঙ্গাপুর (এসটি) : লিয়োনেয় তিরকি

৩) আনন্দপুর (এসসি) : নীলকান্ত জেনা

৪) পাটনা (এসটি) : বেনুধর সর্দার

৫) জশিপুর (এসটি) : নীলাম্বর নায়েক

৬) সরসকনা (এসটি) : মধুসূদন নায়েক

৭) বাংরিপসি (এসটি) : সর্দার সিং

৮) করাঙ্গিয়া (এসটি) : বাজুরাম সিধু

৯) ভাণ্ডারিপোখারি : দিগম্বর সোয়াইন

১০) বিনঝারপুর (এসসি) : রাধাভল্লভ মল্লিক

 

১১) ধর্মশালা : কেদারনাথ সাহু

১২) সুকিন্দাঃ লিলি মহন্ত

১৩) পাল্লাহারা : পরমানন্দ সাহু

১৪) তালচের : প্রহলাদ সাহু

১৫) অনগুল : মন্দোদরী রাউল

১৬) ছেন্দিপদা : ভরত নায়ক

১৭) অথামালিক : রমণীরঞ্জন নায়ক

১৮) বাঁকি মালবিকী সামল

১৯) বারবাটি কটক : অক্ষয় রাউল

২০) চৌধর কটক : খগেশ্বর শেঠি

২১) কটক সদর (এসসি) : পরমানন্দ শেঠি

২২) জগতসিংপুর : বসন্ত মল্লিক

২৩) পিপিলি : দীনবন্ধু পরিধা

২৪) রানপুর : কৃষ্ণচন্দ্র মহাপাত্র

২৫) হিঞ্জিলি : নারায়ণ সাহু

২৬) গোপালপুর : শুভস্মিতা পানিগ্রাহী

২৭) বেরহামপুর : নিমাই সাহু

২৮) কোরাপুট (এসসি) : রাম বারি