
‘ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সিটিটিউট বিল ২০২৫’ প্রত্যাহারের দাবিতে অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটির উদ্যোগে ২৭ অক্টোবর আইএসআই গেটে বিক্ষোভ হয় ও ডিরেক্টর সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। কমিটির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডঃ তরুণকান্তি নস্কর বলেন, প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ কর্তৃক ১৯৩১ সালে প্রতিষ্ঠিত আইএসআই কেবল এ রাজ্যে বা এ দেশে নয়, সারা বিশ্বে রাশিবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একটা নতুন ধারা সৃষ্টি করে একটি স্বশাসিত সেন্টার অফ এক্সেলেন্স হিসাবে গড়ে উঠেছে। শিক্ষা ও গবেষণায় স্বাধিকার সুনিশ্চিত করার ফলেই তা একমাত্র সম্ভব হয়েছে। নতুন বিল আইনে পরিণত হলে বোর্ড অফ গভর্নরস হবে সরকার মনোনীত, ডিরেক্টর নির্বাচিত হওয়ার পরিবর্তে সরকার দ্বারা মনোনীত হবেন। প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয় সরকারের একটি আজ্ঞাবহ দফতরে পরিণত হবে। এর ফলে শিক্ষণ ও গবেষণায় সরকারি হস্তক্ষেপ মসৃণ হবে। ১৮৬০ সালের সোসাইটি অ্যাক্টে রেজিস্ট্রিকৃত একটি প্রতিষ্ঠানের সমস্ত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করার যে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই বিলে, তাকে বেআইনি বলে দাবি করেন অধ্যাপক নস্কর।
অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটির সম্পাদক ডঃ মৃদুল দাস বলেন, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে ভারত নিয়ে গর্ব করার কথা বলা হলেও আধুনিক ভারতের প্রকৃতই যাদের নিয়ে গর্ব করার কথা সেই নবজাগরণের মনীষী রামমোহন, বিদ্যাসাগর, জ্যোতিরাও ফুলে, রবীন্দ্রনাথ, প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশ, প্রফুল্লচন্দ্র, জগদীশচন্দ্র বসুদের নাম জাতীয় শিক্ষানীতিতে মুছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন ডঃ অলোক সৎপথী, অধ্যাপিকা মৌমিতা দে, শিক্ষক মহসীন ইমাম। বিক্ষোভ সভার আগে আই এস আই-এর সামনে কমিটির সদস্যরা প্রতিবাদ মিছিল করেন।