বিজেপির পরাজয় কর্ণাটক রাজ্য কমিটির বিবৃতি

কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির এই লজ্জাজনক পরাজয়, সাম্প্রদায়িকতা ও জাতপাতের রাজনীতি, সীমাহীন দুর্নীতি, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব প্রশমনে সরকারের ব্যর্থতা, মহিলাদের উপর নির্যাতন এবং শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র ও সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী সরকারি নীতির বিরুদ্ধে জনসাধারণের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এস ইউ সি আই (সি)-এর কর্ণাটক রাজ্য কমিটির সম্পাদক কমরেড কে উমা ১৩ মে এক বিবৃতিতে বলেন, বিজেপিকে পরাজিত করার জন্য আমাদের দল এস ইউ সি আই (সি) জনসাধারণকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।

‘অপারেশন কমল’-এর মাধ্যমে অনৈতিক ভাবে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে বিজেপি চরম দুর্নীতি, উগ্র সাম্প্রদায়িকতায় উস্কানি ও ঘৃণার রাজনীতির পথ অনুসরণ করেছে। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, শিক্ষা ও স্বাস্থে্যর বেসরকারিকরণের মতো জনগণের প্রকৃত সমস্যাগুলি বিজেপি শাসনে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। গোটা রাজ্য সরকারটিই আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। কেন্দ্রীয় সরকারও একচেটিয়া পুঁজির স্বার্থে লাগাতার কৃষক ও শ্রমিকবিরোধী নীতি নিয়ে চলেছে। এমনকি মহিলা কুস্তিগিররা যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে বিক্ষোভ অবস্থান চালিয়ে যাওয়া সত্তে্বও তাঁদের ন্যায্য দাবিতে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ছদ্ম জাতীয়তাবাদ, ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িকতা ফেরি করেছে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রীকে তাদের নির্বাচনী মুখ হিসাবে তুলে ধরেছে। এ সব সত্ত্বেও এবং উপরোক্ত কারণে কর্ণাটকের সাধারণ মানুষ বিজেপিকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করেছেন। লক্ষ করার মতো বিষয়, প্রধানমন্ত্রী মোদি, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা সহ তাবড় নেতারা কর্ণাটকে নির্বাচনী প্রচারে ব্যাপক ভাবে নামা সত্ত্বেও বিজেপিকে হেরে যেতে হল। সেই অর্থে এই পরাজয় শুধু বিজেপির কর্ণাটক রাজ্য নেতৃত্বেরই নয়, প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেরও। তবে, বিজেপির পরাজয় সত্ত্বেও জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে হবে। এবার যে রাজনৈতিক দল সরকারি ক্ষমতায় বসতে চলেছে, তারা যাতে কোনও জনবিরোধী নীতি নিতে না পারে, জনসাধারণকে একই রকম ভাবে সক্রিয় থেকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

এই লক্ষ্যে জনগণের উদ্দেশে এস ইউ সি আই (সি) জনজীবনের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে সেই আন্দোলনের চাপে নতুন সরকার জনবিরোধী নীতি গ্রহণে বিরত থাকতে এবং রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে বাধ্য হয়।