Breaking News

সর্বনাশা জাতীয় শিক্ষানীতি প্রতিরোধের শপথ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ছাত্র কনভেনশনে

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ প্রতিরোধ আন্দোলনের অংশ হিসেবে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ভারতের জ্বলন্ত শিক্ষা সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ‘রেজিস্ট এনইপি-২০২০’ এবং ‘সেভ পাবলিক এডুকেশন’-এর় আহ্বানে ৯ ডিসেম্বর আসামে গুয়াহাটির জেলা গ্রন্থাগার হলে এআইডিএসও-র় উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল ঐতিহাসিক উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ছাত্র কনভেনশন।

সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে সহস্রাধিক ছাত্র প্রতিনিধির বিপুল উৎসাহ ও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে অদম্য উদ্দীপনা ছিল লক্ষণীয়। সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি কমরেড ভি এন রাজশেখরের উদ্বোধনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কনভেনশনের সূচনা হয়। তিনি গণশিক্ষাকে বাঁচাতে এআইডিএসও-র নেতৃত্বে দেশব্যাপী ব্যাপক ছাত্র আন্দোলনকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সর্বভারতীয় কমিটির সহ-সভাপতি কমরেড প্রোজ্জ্বল দেব।

কনভেনশনে মূল প্রস্তাব পেশ করেন সংগঠনের আসাম রাজ্য সম্পাদক ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিশিষ্ট ছাত্রনেতা কমরেড হেমন্ত পেগু। ডক্টর ঘনশ্যাম নাথ, প্রাক্তন অধ্যক্ষ, গুয়াহাটি কমার্স কলেজ, মেঘালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ওয়ান্ডেল পাসাহ, আসামের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অধ্যাপিকা চন্দ্রলেখা দাস, মণিপুরের শিক্ষক আন্দোলনের নেতা টি রামেশ্বর সিং, নর্থ ইস্ট হিল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এস শ্রীকান্ত, ত্রিপুরার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এ সৎপথী মূল প্রস্তাবের পক্ষে তাঁদের সম্পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে উত্তর-পূর্ব ভারতের জনশিক্ষার করুণ পরিস্থিতি তুলে ধরেন ও বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হতে ছাত্রসমাজের কাছে আবেদন জানান। ডাঃ তপোধীর ভট্টাচার্য, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর, অডিও রেকর্ডিয়ে তাঁর সংহতি-বার্তা পাঠান। এরপর মণিপুর স্টুডেন্ট ফ্রন্ট (এমএসএফ), এমওয়াইএসএফ-এর প্রতিনিধিরা এবং বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা অন্যান্য ছাত্র প্রতিনিধিরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। তাঁরা সকলেই ছাত্রবিরোধী জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০-র বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার শপথ নেন। সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড সৌরভ ঘোষ ধর্মনিরপেক্ষ, বৈজ্ঞানিক, গণতান্ত্রিক ধারণার উপর শাসক শ্রেণির আক্রমণের উদ্দেশ্য ও চরিত্র তুলে ধরেন। তিনি দেশব্যাপী ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী ছাত্র আন্দোলনকে বেগবান করতে আন্দোলনের হাতিয়ার ছাত্রকমিটি স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহের আহ্বান জানান। উত্তর-পূর্ব ভারতের শিক্ষাগত সমস্যা সম্পর্কে প্রতিনিধিদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাঁদের আবেগময় লোকসংস্কৃতির উপস্থাপনা শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং মানবতা রক্ষার্থে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০-র বিরুদ্ধে বৃহত্তর সংগ্রামের অভূতপূর্ব সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।