বৈষম্য, অসাম্য নিয়ে শুধু হা-হুতাশ নয় মূল কারণটিকে জানতে হবে

কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত মালিকানা উচ্ছেদের বুর্জোয়া অভিযোগের উত্তরে পৌনে দুশো বছর আগে মার্ক্স-এঙ্গেলস ঐতিহাসিক কমিউনিস্ট ইস্তেহারে (১৮৪৮) বলেছিলেন, ‘‘আমরা ব্যক্তিগত মালিকানার অবসান চাই শুনে আপনারা আতঙ্কিত। অথচ আপনাদের বর্তমান সমাজে জনসমষ্টির শতকরা নব্বই জনের বেলায় ব্যক্তিগত মালিকানা তো ইতিমধ্যে লোপ করা হয়েছে। অল্প কয়েকজনের ক্ষেত্রে সেটা আছে শুধু ওই দশ ভাগের নয় ভাগ লোকের হাতে তা নেই বলে। সুতরাং যে-ধরনের মালিকানার অস্তিত্বের অপরিহার্য শর্ত হল সমাজের বিপুল সংখ্যক লোকের কোনও সম্পত্তি না থাকা, সেটা আমরা তুলে দিতে চাই, এটাই আমাদের বিরুদ্ধে আপনাদের অনুযোগ। এক কথায়, আমাদের সম্বন্ধে আপনাদের অনুযোগ এই যে, আপনাদের মালিকানার উচ্ছেদ আমরা চাই। ঠিক তাই-ই, আমাদের সংকল্প ঠিক তা-ই।”

সেই কবে মার্ক্স-এঙ্গেলস কমিউনিস্ট ইস্তাহারে পুঁজিবাদী শোষণের ভয়ঙ্কর চরিত্রটিকে প্রকাশ্যে এনে দিয়েছিলেন।

সমাজের ৯০ ভাগ লোককে কী ভাবে নিঃস্ব করে দিয়ে ১০ ভাগ লোকের হাতে তা জমা হয়েছে, তা দেখিয়ে মার্ক্স-এঙ্গেলস এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, ব্যক্তিগত মালিকানার উচ্ছেদ ছাড়া শোষিত মানুষ তথা শ্রমিক শ্রেণির মুক্তি নেই। আজ এত বছর পরে সেই শোষণ এবং তার ফল হিসাবে সীমাহীন বৈষম্য আরও কত মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, তা সম্প্রতি উঠে এল সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বার্ষিক বৈঠকে অক্সফ্যাম ইন্টারন্যাশনালের পেশ করা রিপোর্টে। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ভারতে যত সম্পদ সৃষ্টি হয়েছে তার ৪০.৫ শতাংশ কুক্ষিগত হয়েছে ধনীতম ১ শতাংশ মানুষের হাতে। অন্য দিকে দরিদ্রতম ৫০ শতাংশ মানুষের ভাগে পড়েছে এই সম্পদের মাত্র ৩ শতাংশ। অর্থাৎ পুঁজিবাদী এই ব্যবস্থা দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষকে ব্যক্তিগত সম্পত্তিহীন সর্বহারায় পরিণত করে দিয়েছে।

রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে, অতিমারি আক্রমণের সময় থেকে প্রতি দিন এ দেশের একচেটিয়া পুঁজির মালিকদের সম্পত্তি বাড়ছে ৩৬০৮ কোটি টাকা করে। অথচ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে জিএসটি-র ৬৪ শতাংশ আদায় হয়েছে নীচের তলার ৫০ শতাংশ মানুষের ঘাড় ভেঙে, আর ধনীতম ১০ শতাংশ মিটিয়েছেন মাত্র ৪ শতাংশ জিএসটি।

রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, অতিমারি শুরুর পর থেকে ভারতের একচেটিয়া পুঁজিপতিদের (যারা ১০০ কোটি ডলার বা প্রায় ৮২০০ কোটি টাকার মালিক) সম্পত্তি ১২১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এমন পুঁজিপতিদের সংখ্যা ৬০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে ১০২ থেকে হয়েছে ১৬৬ জন। প্রধানমন্ত্রীর অতি ঘনিষ্ঠ গৌতম আদানি বিশ্বের ধনীতমদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। শুধু ২০২২ সালেই তাঁর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। আর দেশের ১০০ জন ধনীতম পুঁজিপতির সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৬,০০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ দেশের নিচের তলার প্রায় ১৩০ কোটি খেটে খাওয়া মানুষ প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে যে সম্পদ তৈরি করছে তা এক অদ্ভূত অন্যায় প্রক্রিয়ায় লুট হয়ে গিয়ে মুষ্টিমেয় পুঁজিমালিকের ভাণ্ডারে গিয়ে জমা হচ্ছে।

পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থার নিজস্ব নিয়মের কারণে এই ঘটনা ঘটে এবং তা পুঁজিবাদী সমাজের সূচনা থেকেই চালু আছে। কিন্তু বর্তমানে এই লুঠতরাজ লাগামছাড়া আকার নিয়েছে, যারই ফল এই অভাবনীয় বৈষম্য। কিন্তু মালিকী শোষণ-লুণ্ঠন এমন ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারল কী করে? পারল মালিক শ্রেণির আক্রমণের বিরুদ্ধে শ্রমিক শ্রেণি তথা শোষিত মানুষের প্রতিরোধ আগের থেকে অনেক দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে। শুধু ভারতেই নয়, সমাজতান্ত্রিক শিবিরের পতনের পর বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই শ্রমিক আন্দোলন দুর্বল হয়েছে। সেই কারণেই সাধারণ মানুষের প্রতিরোধের শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই মালিক শ্রেণির আক্রমণও হয়ে উঠেছে একতরফা, বেপরোয়া এবং তা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। আর মালিক শ্রেণির তাঁবেদার দলগুলি ও তাদের পরিচালিত সরকারগুলি এ কাজে মালিকদের নির্লজ্জ সহযোগিতা করে চলেছে। কার্যত অন্য পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলির মতোই ভারত রাষ্ট্রটিও তার গণতান্ত্রিক মুখোশটাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে মালিক শ্রেণির নির্লজ্জ দাসে পরিণত হয়েছে।

যত দিন সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক শিবির মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল তত দিন তা শ্রমিক শ্রেণির কাছে লাইট হাউসের মতো দিকনির্দেশকের কাজ করেছে। শোষণমুক্ত সমাজের বাস্তব রূপ হিসাবে তা প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছে তাদের। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি দেশের শোষিত মানুষের প্রবল আকর্ষণ লক্ষ করে সেই সময় দেশে দেশে সরকারগুলি শ্রমিকদের স্বার্থে নানা আইন তৈরিতে বাধ্য হয়েছিল। বাধ্য হয়েছিল তাদের জন্য নানা ন্যায্য সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করতে। এ-সবের চাপে এবং আন্দোলনের জোয়ারের প্রভাবে মালিকরাও সেই সময় শ্রমিকদের প্রতি কিছুটা নমনীয় মনোভাব নিয়ে চলতে বাধ্য হয়েছিল।

কিন্তু ‘৯০এর দশকের শেষ দিকে ভিতর থেকে শোধনবাদী আক্রমণ ও বাইরে থেকে সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়ষন্ত্রে পতন ঘটে সমাজতান্ত্রিক শিবিরের। কিন্তু তা যে মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী তত্ত্বের সত্যতা তথা সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার ব্যর্থতার কারণে ঘটেনি, ঘটেছে এই বিজ্ঞানসম্মত তত্ত্বের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ার কারণে, উপযুক্ত বামপন্থী নেতৃত্বের অভাবে সে-কথা দেশের মেহনতি মানুষকে বোঝানো সম্ভব হয়নি। ফলে এ দেশে শ্রমিক আন্দোলনের নেতৃত্বও মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিশ্ব জুড়ে শ্রমিক আন্দোলনে নেমে এসেছে হতাশা। তারই সুযোগ নিয়েছে মালিক শ্রেণি, শোষণকে করে তুলেছে আগের থেকে অনেক তীব্র।

মনে পড়ে যায় মনীষী রমাঁ রলাঁর সেই ঐতিহাসিক উক্তি। তিনি বলেছিলেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন কোনও দিন যদি ধ্বংস হয় তবে শুধু বিশ্বের সর্বহারারাই ক্রীতদাসে পরিণত হবে না, সামাজিক বা ব্যক্তিগত সমস্ত রকমের স্বাধীনতারই সমাধি ঘটবে। … ইউরোপ জুড়ে কয়েক শতাব্দী ধরে গভীর অন্ধকার নেমে আসবে।

বাস্তবে রলাঁর কথা আজ বর্ণে বর্ণে মিলে যাচ্ছে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে শ্রমিক শ্রেণি সহ সাধারণ মানুষ মালিক শ্রেণির নজিরবিহীন আক্রমণের শিকার। করোনা অতিমারির সময়ে দেশে দেশে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ার পর্যায়ে চলে গেলেও ধনকুবেরদের মুনাফা আকাশ ছুঁয়েছে। সর্বত্র লাখে লাখে শ্রমিক-কর্মচারী ছাঁটাই হয়েছে। এমনকি অতি ধনী দেশগুলিতেও সাধারণ মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা যে কত করুণ তা প্রকট হয়েছে। সমাজের নীচের তলার মানুষের জন্য আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার কোনও সুযোগই জোটেনি। অনলাইন শিক্ষার নামে নীচের তলার মানুষের থেকে শিক্ষার সুযোগ প্রায় কেড়েই নেওয়া হয়েছে, তাঁদের ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে অশিক্ষার অন্ধকারে। সর্বত্র খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে লাফিয়ে, মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বহু গুণ বেড়ে গেছে।

এ দেশেও অতিমারির সময়ে যখন লাখে লাখে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে, হাজারে হাজারে মারা যাচ্ছে, মৃত্যুর সময়ে একটু অক্সিজেন কিংবা জীবনদায়ী ওষুধ কিছুই পাচ্ছে না, দেশ জুড়ে কল-কারখানা, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষ রোজগারহীন হয়ে অর্ধাহারে অনাহারে কাটাচ্ছে, তখনও দেশের মালিক শ্রেণির রাঘববোয়ালদের মুনাফা অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। কারও মুনাফা হয়েছে ২০০ শতাংশ, কারও ৩০০ শতাংশ। অন্য দিকে ছোট ও মাঝারি শিল্প ও ব্যবসা, যেগুলি এই সময়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তার বেশির ভাগই আর খোলেনি। কার্যত সেগুলিকে গ্রাস করে নিয়েছে বৃহৎ পুঁজি। তাদের ঠেলে দিয়েছে সর্বহারা শ্রেণির দলে।

যত দিন পর্যন্ত শ্রমিক আন্দোলন শক্তিশালী ছিল, বুর্জোয়া-পেটিবুর্জোয়া সরকারগুলি মূলত পুঁজিপতিদের স্বার্থ দেখলেও শ্রমিক শ্রেণি তথা সাধারণ মানুষের দাবিগুলি এড়িয়ে যেতে পারত না। এখন সেই সরকারগুলিই শোষিত মানুষের দাবিগুলিকে শুধু অগ্রাহ্য করছে তাই নয়, নতুন নতুন আইন, বিধিনিষেধ নিয়ে এসে কর ও মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপিয়ে শোষণকে আরও তীব্র করছে। এত দিন পর্যন্ত শ্রমিক আন্দোলনের সুফল হিসাবে শ্রমিকরা যে সুবিধাগুলি পেত, যে অধিকারগুলি ভোগ করত, বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মালিক শ্রেণি নতুন শ্রম-আইন নিয়ে এসে সেই সব সুযোগ-সুবিধাগুলিকেও কেড়ে নিচ্ছে, মালিকদের হাতে যথেচ্ছ শ্রমিক শোষণের অধিকার তুলে দিচ্ছে। শ্রমিক আন্দোলনে নানা বিধিনিষেধের বেড়ি পরাচ্ছে। শ্রমিকরা যাতে নিজেদের সংগঠন গড়ে তুলতেই না পারে, এমনকি সেই অপচেষ্টাও ভীষণ ভাবে চালাচ্ছে।

কিন্তু এই যে ভয়ঙ্কর বৈষম্য, যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে, এর ভারেই যে একদিন এই ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে, এটা কি পুঁজিপতিদের অজানা? তারা এটা জানে বলেই তাদের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যম মাঝে মাঝে এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। দরিদ্রদের মধ্যে কিছু সম্পদ বিতরণ করারও পরামর্শ দেয়। কিন্তু বাস্তবে এই বৈষম্যকে, যা পুঁজিবাদী শোষণ প্রক্রিয়ারই ফল, তাকে আটকানোর কোনও ইচ্ছা মালিকদের নেই। অবশ্য কারও ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর এটা নির্ভর করে এমন নয়। এটা নির্ভর করে পুঁজিবাদী উৎপাদন প্রক্রিয়াটিরই উপর, যেটাকে পুঁজিপতিরা সব সময় বুক দিয়ে রক্ষা করে যায়। শুধু তাই নয়, এই ব্যবস্থা থেকে তৈরি হওয়া সংকটের সম্পূর্ণ বোঝা শ্রমিক শ্রেণি এবং নিপীড়িত মানুষের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়াই তাদের লক্ষ্য।

মানুষে মানুষে এই বিপুল বৈষম্যের এই হল মূল কারণ। তাই অ’ফ্যাম রিপোর্টে উঠে আসা ভয়ঙ্কর সামাজিক বৈষম্যের তথ্যটিকে শুধু জানার কোনও মানে নেই, যদি না তা থেকে আমরা এটা বুঝি যে, বিশ্বজুড়ে মানুষের দুঃখ দারিদ্র অনাহার অশিক্ষা অপমৃত্যু সহ সমস্ত দুদর্শা-দুর্ভোগের মূল কারণ এই পুঁজিবাদ। শোষণমূলক এই পুঁজিবাদী ব্যবস্থাটিই আজ মানবসভ্যতার অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা। মানুষের শ্রম লুঠ করে গড়ে ওঠা এই শোষণমূলক ব্যবস্থা আজ তাই ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে। আর তা উচ্ছেদ করার সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করার মধ্যেই রয়েছে আজকের দিনে যথার্থ মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিয়ে বাঁচার হদিশ।

পুঁজিবাদী অর্থনীতিরই তৈরি বাজারসঙ্কটে পুঁজিবাদ আজ ধুঁকছে এ কথা ঠিক। তবু আজও তা বিরাট শক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একদিকে শাসকের সমস্ত শক্তি এই ব্যবস্থার পক্ষে কেন্দ্রীভূত, অন্য দিকে তার রয়েছে শত শত বছরের প্রতিবিপ্লবী রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। স্বাভাবিক ভাবেই এই শাসক ও শোষকদের কাছে নীতি পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে কোনও কাজ হবে না।

পুঁজিবাদী শোষণকে প্রতিহত করতে আজ শ্রমিক শ্রেণিকে পুঁজিবাদের শক্তির চেয়ে বেশি সামাজিক এবং সাংগঠনিক শক্তির অধিকারী হতে হবে। তা একমাত্র সম্ভব শ্রেণি চেতনার ভিত্তিতে ব্যাপক শ্রমিক আন্দোলন এবং গণআন্দোলন সংগঠিত করার মধ্য দিয়ে জনতার রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্ম দেওয়ার দ্বারা। তা যেমন শ্রমিক শ্রেণির উপর নামিয়ে আনা আক্রমণগুলিকে প্রতিহত করবে তেমনই তা সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব তথা সমাজতান্ত্রিক সভ্যতার পথে। মনে রাখতে হবে মানবসভ্যতা রক্ষা পেতে পারে একমাত্র সমাজতন্তে্র উত্তরণের দ্বারাই এবং তা নির্ভর করছে সঠিক নেতৃত্বে গণআন্দোলনগুলি গড়ে তোলার উপর।