বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মূল্য দিচ্ছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা

কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের আচরণে কাশ্মীরের পণ্ডিত পরিবারগুলি হাড়ে হাড়ে বুঝছেন কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন, প্রচারসর্বস্ব এই সরকার। মাত্র কয়েকমাস আগেই পণ্ডিতদের জন্য চোখের জল ফেলার প্রতিযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে বিজেপির তাবড় কোনও নেতাই পিছিয়ে ছিলেন না। ‘কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমা সকল ভারতবাসীকে দেখিয়ে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রতি কর্তব্য পালনে তাঁরা একেবারে উঠেপড়ে লেগেছিলেন। অথচ বাস্তবে কাশ্মীরি পণ্ডিত সহ ধর্ম-বর্ণ জাত নির্বিশেষে কাশ্মীর উপত্যকার সাধারণ মানুষ কেমন আছেন, সে ব্যাপারে সরকারের কোনও মাথাব্যথা আছে কি?

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ এবং সংসদে কোনও আলোচনা ছাড়াই আকস্মিকভাবে ৩৭০ ধারা ও ৩৫-এ ধারা বিলোপ এবং জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। তার পর থেকে দ্বিখণ্ডিত কাশ্মীর সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। জনজীবন সেখানে প্রায় পুরোপুরি কাঁটাতার-বন্দি বললে অত্যুক্তি হয় না। প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বহুবার দেশবাসীকে শুনিয়েছেন তাঁরা কাশ্মীর়ে বিচ্ছিন্নতাবাদের কবর খুঁড়ে দিয়েছেন। কাশ্মীর সমস্যার সমাধান এখন তাঁদের হাতের মুঠোয়। প্রধানমন্ত্রী গত এপ্রিলে কাশ্মীরে গিয়ে ফিরিস্তি শুনিয়ে এসেছেন, সেখানকার উন্নতির জন্য তিনি কী কী করেছেন। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও কাশ্মীর কত স্বাভাবিক তা বোঝাতে একের পর এক বিবৃতি দিয়ে চলেছেন। অথচ কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ একের পর এক জঙ্গি হামলার শিকার হচ্ছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে লিখিতভাবে জানিয়েছিল ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে ৫৪১টি সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। তারা দাবি করেছে এই সময়ে ৪৩৯জন সন্ত্রাসবাদীকে নিরাপত্তাবাহিনী হত্যা করেছে, ১০৯জন সেনা বা পুলিশকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন, সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন ৯৮ জন। এই বিপুল প্রাণহানিই কি কাশ্মীরের স্বাভাবিক পরিস্থিতি? ‘কাশ্মীরি পণ্ডিত সংঘর্ষ সমিতি’ (কেপিএসএস)-এর হিসাবে ২০১৯ থেকে ২০২২-এর মে পর্যন্ত ৬৪টি সুনির্দিষ্টভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনার বিবরণ দিয়ে দেখানো হয়েছে, এর মধ্যে উপত্যকার হিন্দু, মুসলিম, শিখ সহ সব সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন।

সাংবাদিকরা দেখিয়েছেন, বদগামের শেখপুরা ট্রানজিট ক্যাম্পের ৩০০ কাশ্মীরী পণ্ডিত পরিবারের বেশিরভাগেরই অভিমত, ১৯৯০-এর পণ্ডিত নিধন এবং তাঁদের গণহারে কাশ্মীর ত্যাগের ঘটনার ক্ষত ধীরে ধীরে মুছেই যেতে বসেছিল। ২০১০-এ তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের পুনর্বাসনের বিশেষ প্যাকেজ অনুসারে কাজ ও আর্থিক অনুদানের আশ্বাসের ভিত্তিতে তাঁরা এই ট্রানজিট কলোনিতে এসেছিলেন। সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল পরিস্থিতির উন্নতি ঘটিয়ে পণ্ডিত পরিবারগুলির পুরনো জায়গাতেই তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। সময় যত এগিয়েছে তাঁদের অনেকের সাথেই পুরনো প্রতিবেশীদের সংযোগ স্থাপন হয়েছে। ক্যাম্পের আশেপাশের স্থানীয় কাশ্মীরিদের সাথেও তাঁদের আদানপ্রদান স্বাভাবিক হয়েছে। দোকান, বাজার করা থেকে পড়াশোনা সব কিছুতেই হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে মেলামেশা গড়ে উঠছিল। এই পণ্ডিতদের অনেকেই শিক্ষকতার পেশায় আছেন। স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁদের স্কুলের এই শিক্ষকদের ছাড়া নিজেদের জীবনের কথা ভাবতেই পারে না। তারা অনেকেই প্রাইভেট টিউশন নেওয়ার জন্যও ট্রানজিট ক্যাম্পের ফ্ল্যাটগুলিতে অবাধে যাতায়াত করত। শ্রীনগরের এক শিক্ষক দম্পতির কথায়, ২০১৬-তে যখন বুরহান ওয়ানির হত্যার পর কাশ্মীর উত্তপ্ত, রোজ যুবকদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর খণ্ডযুদ্ধ হচ্ছে। ছররার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত তরুণ মুখগুলি যখন মানুষকে আলোড়িত করেছে সেই সময়েও আমরা বিপন্ন বোধ করিনি, বরং সবসময় মুসলিম প্রতিবেশীদের কাছ থেকে শান্তি ও সুরক্ষার আশ্বাসই পেয়েছি। কিন্তু আজ যেন সেই ভরসা পাচ্ছি না (দ্য হিন্দু, ১১ জুন ২০২২)।

অবিশ্বাসের বাতাবরণ বাড়তে শুরু করে ২০১৯-এর ৫ আগস্টের পর থেকে। কাশ্মীরের মানুষের বড় অংশই রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়াকে রাজ্যবাসীর আত্মসম্মানের উপর আঘাত হিসাবে নিয়েছেন। পরিস্থিতি সঠিকভাবে বুঝে তখনই এসইউসিআই(কমিউনিস্ট) বলেছিল, ‘এভাবে ৩৭০ ধারা বাতিল শুধু কাশ্মীরের জনগণকেই আরও দূরে ঠেলে দেবে তাই নয়, বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকেও বাড়তি শক্তি দেবে’ (৬ আগস্ট ২০১৯ কেন্দ্রীয় কমিটির বিবৃতি)। আজকের কাশ্মীরের পরিস্থিতি সেই বাস্তবকেই আবারও তুলে ধরছে।

গত ১২ মে সরকারি অফিসের মধ্যে ঢুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিরা কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাটকে হত্যা করার পর আতঙ্ক আরও চেপে বসেছে। এ ছাড়াও খুন হয়েছেন একজন শিক্ষিকা, জম্মু থেকে আসা শ্রমিক, রাজস্থান থেকে কর্মসূত্রে কাশ্মীরে আসা ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। এমন খুন ঘটেই চলেছে। পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মানুষ এবং সরকারি কর্মচারীরা প্রায়ই বিক্ষোভ দেখিয়ে বলছেন, বিজেপি সরকার বিশ্বাসঘাতক। তাঁদের মতে, শান্তি ফেরা দূরে থাক, পরিস্থিতি ১৯৯০ সালের থেকেও খারাপ। পণ্ডিত পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল কলেজে যেতে পারছে না, শিক্ষক এবং সরকারি কর্মচারীরা কর্মক্ষেত্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন। অনেকে চাকরির পরোয়া না করে কাশ্মীর ছেড়ে পালাচ্ছেন। বাকিরা দাবি তুলেছেন তাঁদের সকলকে কাশ্মীরের বাইরে বদলি করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার তাতে নারাজ। কারণ তাহলে জনসমক্ষে প্রমাণ হয়ে যায়, ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি নিয়ে বিজেপির পেশি আস্ফালন ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক চমক। এখন জম্মু-কাশ্মীরের রিলিফ কমিশনার বিক্ষুব্ধ হিন্দু পরিবারগুলিকে দার্শনিক উপদেশ দিচ্ছেন, হত্যাকাণ্ডকে ‘নিছক দুর্ঘটনা’ বলে ভাবুন। যদিও চাপে পড়ে সরকার কিছু কর্মীর বদলির বিষয়ে নড়ে বসেছে। ট্র্যাজেডি হল, ১৯৯০-এ বিজেপি-ঘনিষ্ঠ রাজ্যপাল জগমোহন এবং তাদের সমর্থনে চলা ভিপি সিংহের কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরে স্বাভাবিকতা ফেরানোর চেষ্টার পরিবর্তে ব্যস্ত ছিল কাশ্মীরী পণ্ডিতদের দ্রুত ভিটেছাড়া করতে। অথচ তখন একমাত্র জেকেএলএফ-এর মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ছাড়া কাশ্মীরের অধিকাংশ মানুষ, যাঁদের বড় অংশই মুসলিম, চাইছিলেন পণ্ডিতদের নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা করে কাশ্মীরের মাটিতেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করুক সরকার। তাঁদের দাবি ছিল কাশ্মীরের মাটিতে গ্রহণযোগ্য বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলিকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথে হাঁটুক সরকার। তাঁরা বলেছিলেন কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের একমাত্র রাস্তা কাশ্মীরের মানুষের আস্থা অর্জন। তার জন্য জীবন-জীবিকা, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ সব ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নতির সরকারি সদিচ্ছা, সামরিক বাহিনী-পুলিশের বাড়াবাড়ি বন্ধ করা, জঙ্গি দমনের নামে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সাধারণ নাগরিকদের হত্যা থেকে সরকারি বাহিনীগুলিকে বিরত করা, সরকার এবং সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে জনগণ কোনও অভিযোগ জানালে তার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া। এই ধরনের কাজগুলির মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের মানুষের গণতান্ত্রিক দাবিগুলির সমাধানের বিষয়ে জোর দিলে সন্ত্রাসবাদী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে জনজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করা ও রাজনৈতিক সমাধানের পথ পাওয়া যেত। কিন্তু সে সময় দল হিসাবে বিজেপি ও কেন্দ্রে তাদের সমর্থিত সংযুক্ত মোর্চার সরকার তা চায়নি। বলা বাহুল্য কংগ্রেসও কাশ্মীর সমস্যার সমাধান কোনওদিন চায়নি। বিজেপির তখন লক্ষ্য পণ্ডিতদের উপত্যকা ছাড়াকে প্রচারের বিষয় করে তোলা। যাতে সারা ভারতে মুসলিম বিরোধী জিগির তুলে তারা কংগ্রেসের হাত থেকে হিন্দুত্ববাদের চ্যাম্পিয়ানের তকমাটা কেড়ে নিতে পারে। তারা হিসাব কষছিল হিন্দুত্বের স্বঘোষিত ঠিকাদার হতে পারলে দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের গদি পাওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।

আর এখন সেই পণ্ডিতদেরই বিপদের মাঝে ঘর ছাড়তে বারণ করছে বিজেপি। কারণ তাতে পরিষ্কার হয়ে যাবে কেন্দ্রীয় শাসনযন্ত্র দিয়ে টুঁটি টিপে ধরে কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার যে রঙিন স্বপ্ন তারা ফেরি করছিল, তা ছিল পুরোপুরি মিথ্যা। বাস্তবে কাশ্মীর়ে বিচ্ছিন্নতাবাদের শক্তি বাড়ছে। বিজেপি সরকারের অপদার্থতা এবং কাশ্মীর নিয়ে সস্তা রাজনীতির মাশুল গুনছেন কাশ্মীরি জনগণ।

কাশ্মীরি পণ্ডিত সংগঠন কেপিএসএস-এর নেতা সঞ্জয় টিক্কু বর্তমান পরিস্থিতির জন্য কতগুলি কারণকে চিহ্নিত করেছেন, ১) ২০১০ থেকেই ক্রমাগত কাশ্মীরের নাগরিক সমাজের গুরুত্বকে খাটো করার চেষ্টা, যা আরও বেড়েছে ২০১৬ থেকে। এখন উপত্যকার বিশিষ্ট নাগরিকরা কোনও বিষয়ে মতামত দিতেই ভয় পান। আশঙ্কায় ভোগেন, সত্য বললেই পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট বা ইউএপিএতে তাঁদের হেনস্তা করা হবে। অথচ এই নাগরিক সমাজের ভূমিকাই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা রুখতে এবং উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে সমাজে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে বহু বছর। ২) ২০১৯-এর আগস্ট থেকে ‘ডান্ডা’র জোরই সরকারের শাসনের একমাত্র পথ দাঁড়িয়েছে। নাগরিক সমাজ এবং রাজনৈতিক কার্যকলাপ পুরোপুরি বন্ধ। তিনি বলেন, সমাজের বিশিষ্টদের পাশাপাশি মসজিদ-মন্দিরগুলিকেও এই কাজে ঠিকমতো লাগাতে পারলে কাশ্মীরের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বদলে যাবে। ৩) সারা দেশে বিজেপির মুসলিম বিরোধী জিগির, বুলডোজার রাজনীতি, বিজেপি মুখপাত্রদের পয়গম্বরের বিরুদ্ধে কটু কথা ইত্যাদি কাশ্মীরের পক্ষে মারাত্মক হচ্ছে। ৪) কাশ্মীর ফাইলস সিনেমায় সমগ্র কাশ্মীরি মুসলমান সমাজকে জিহাদি হিসাবে দেখানোর ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। এর সাথে যোগ হয়েছে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা এবং ৩৫-এ ধারা বিলুপ্ত হওয়ার ফলে বহিরাগতদের হাতে রাজ্যের জনবিন্যাস বদলে যাওয়ার আশঙ্কা। তার সুযোগ নিয়ে ‘টিআরএএফ’-এর মতো গোষ্ঠীগুলি কাশ্মীরের বাইরে থেকে আসা শ্রমিক এবং কর্মচারীদের হত্যা করছে। তারা স্থানীয়দের বিপন্নতা বোধে উস্কানি দিতে পারছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিষয়ে কিছুটা আলোচনা হলেও অন্য যাঁরা আক্রান্ত তাঁদের ব্যপারটা যেন সরকার ভুলেই যাচ্ছে। ৫) কাশ্মীরের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও পুরোপুরি বিলুপ্ত। ফলে জনমানসে জমা কোনও বিক্ষোভের আঁচই প্রকাশিত হতে পারছে না। এই চাপা ক্ষোভের বারুদ যে মারাত্মক হতে পারে তা সরকারকে স্মরণ করাচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু শুনবে কে?

এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিচালক বিজেপি এবং সংঘ পরিবার তাদের ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে সারা দেশে যত বেশি করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি বাড়াচ্ছে কাশ্মীরেও তার বিষময় প্রভাব পড়ছে। তাই গণতান্ত্রিক বোধ সম্পন্ন সমস্ত ভারতবাসীর আজ কর্তব্য কাশ্মীরের সব নাগরিকের স্বার্থেই সে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া এবং কাশ্মীরের জনগণের গণতান্ত্রিক দাবি পূরণে সরকারের সঠিক পদক্ষেপের দাবিকে তুলে ধরা। সাম্প্রদায়িক শক্তির বাড়বাড়ন্ত সারা দেশে ঘটতে দিলে কাশ্মীরের জনগণকে আরও বিচ্ছিন্নতাবাদের কবলে ঠেলে দেওয়া হবে।

(সূত্রঃ দ্য হিন্দু, ১১ জুন ২০২২, আল জাজিরা ২ আগস্ট ২০১১, ফার্স্ট পোস্ট ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২)

গণদাবী ৭৪ বর্ষ ৪৭ সংখ্যা ১৫ জুলাই ২০২২