পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের গোপন প্রচেষ্টায় তীব্র ক্ষোভ হরিপুরে

 

পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহর সংলগ্ন হরিপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে কেন্দ্রীয় সরকারের গোপন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ৯ আগস্ট নাগাসাকি দিবসে কাঁথি শহরে প্রতিবাদ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয় কন্টাই সায়েন্স সেন্টারের আহ্বানে৷ ২০০৬ সালে হরিপুরে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম এই প্রকল্প রূপায়ণের সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু প্রবল প্রতিবাদ ও আন্দোলনের চাপে সরকার শেষপর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয়৷ কিন্তু প্রকল্প পুরোপুরি বাতিল ঘোষণা করেনি৷ ধারাবাহিকভাবে গোপন চেষ্টা চালিয়ে যায় কেন্দ্রীয় সরকার৷ সম্প্রতি সংসদের বাদল অধিবেশনে ১৮ জুলাই প্রশ্ন‍ো‍ত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং হরিপুরে পারমাণবিক কেন্দ্র স্থাপনে সরকারি অনুমোদনের কথা ঘোষণা করেন৷ এই সংবাদে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে৷ সারা বিশ্ব যখন পরমাণু বিদ্যুতের ভয়াবহ তেজষ্ক্রিয় দূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রকল্প বন্ধ করে দিচ্ছে, অন্য অপ্রচলিত শক্তির উপর নির্ভরতা বাড়াচ্ছে, তখন হরিপুরে হাজার হাজার মানুষকে উচ্ছেদ করে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে এই প্রকল্প রূপায়ণ করতে চাইছে৷ কন্টাই সায়েন্স সেন্টারের সম্পাদিকা জলি জানা বলেন–‘সরকার উন্নয়ন ও সস্তায় বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বললেও আসলে পরমাণু বিদ্যুতের উপজাত প্লুটোনিয়াম যা পরমাণু বোমার মূল মশলা, তা সংগ্রহ করাই সরকারের আসল উদ্দেশ্য’৷ হাজার হাজার জনগণ ও মৎস্যজীবী পরিবারকে উচ্ছেদ করে কাঁথি শহরকে যুদ্ধ উন্মাদনার দিকে ঠেলে দেওয়ার বিরুদ্ধেই নাগাসাকি দিবসে প্রতিবাদে পথে নামলেন কাঁথির ছাত্র–শিক্ষক সহ নাগরিকরা৷

(৭১ বর্ষ ৪ সংখ্যা ২৪ আগস্ট, ২০১৮)