নবজাগরণের পথিকৃৎ বিদ্যাসাগর (১৮) — অক্ষয়কুমার দত্ত ও বিদ্যাসাগর

নবজাগরণের পথিকৃৎ বিদ্যাসাগর

ভারতীয় নবজাগরণের পথিকৃৎ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই মহান মানবতাবাদীর জীবন ও সংগ্রাম পাঠকদের কাছে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে৷

(১৮)

অক্ষয়কুমার দত্ত ও বিদ্যাসাগর

বিদ্যাসাগরের লড়াই ছিল এ দেশের মাটিতে পার্থিব মানবতাবাদের চিন্তাধারাকে প্রতিষ্ঠা করার৷ এ কাজে তিনি যেমন প্রবল বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছেন, আবার একই সাথে সে যুগের চিন্তাশীল বহু মানুষকে পেয়েছেন সহযোদ্ধা রূপে৷ অক্ষয় কুমার দত্ত সেই সহযোদ্ধাদের মধ্যে অত্যন্ত উজ্জ্বল স্থান অধিকার করে আছেন৷

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তেমন না থাকলেও কঠোর পরিশ্রম করে সেযুগে জ্ঞান–বিদ্যা চর্চার শীর্ষে উন্নীত হয়েছিলেন অক্ষয়কুমার দত্ত৷ এই কঠোর পরিশ্রমের উদ্দেশ্য ছিল সত্যানুসন্ধান৷ অন্ধতা–কুসংস্কারে আচ্ছন্ন সমাজে যুক্তি ও জ্ঞানের আলো জ্বালাবার যে উদ্যোগ রামমোহন–বিদ্যাসাগ প্রচেষ্টায় সংহত রূপ পেয়েছিল, তার অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন অক্ষয়কুমার দত্ত৷ প্রায় সাত–আটটি ভাষা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তিনি শিখেছিলেন৷ ব্রাহ্মসমাজের সদস্য হিসাবে তিনি ব্রাহ্ম পাঠশালায় ভূগোল ও পদার্থবিদ্যা পড়াতেন৷ ব্রাহ্মসমাজের মতাদর্শ চর্চার জন্য ১৮৩৯ সালে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তত্ত্ববোধিনী সভা৷ সেই সংগঠনের মুখপত্র হিসাবে ১৮৪৩ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্রকাশ শুরু হলে অক্ষয় দত্ত তার সম্পাদক নিযুক্ত হন৷ যদিও পত্রিকার লেখাপত্র নির্বাচনে চূড়ান্ত অনুমোদন দিতেন দেবেন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আনন্দকৃষ্ণ বসু৷ অক্ষয় দত্ত তাঁর কাছে লেখার পাণ্ডুলিপি দিয়ে আসতেন৷ আনন্দকৃষ্ণ সেগুলি দেখে প্রয়োজনীয় সম্পাদনা করে তাঁকে ফেরত দিতেন৷

একদিন আনন্দকৃষ্ণের ফেরত দেওয়া ইংরেজি থেকে বঙ্গানুবাদের একটি পাণ্ডুলিপি দেখে খুব অবাক হলেন অক্ষয় দত্ত৷ অনুবাদটি তাঁরই করা৷ তিনি দেখলেন, সেটির বেশ কয়েকটি জায়গায় পরিবর্তন এবং সংশোধন করা হয়েছে, যার ফলে অনুবাদটি আরও প্রাঞ্জল ও কার্যকরী হয়ে উঠেছে৷ আগেও তিনি এধরনের অনুবাদ করেছেন এবং আনন্দকৃষ্ণ সেগুলি দেখেছেন কিন্তু তেমন কোনও সংযোজন–বিয়োজন করেননি৷ তাহলে এবারে এগুলি করল কে? কৌতূহলী হয়ে জানতে চাইলেন, ‘সংশোধনগুলি কি আপনি করেছেন?’ আনন্দকৃষ্ণ বললেন, ‘না৷ ওটা দেখতে দিয়েছিলাম বিদ্যাসাগরকে৷ ওই করেছে’৷ অক্ষয় দত্তের সঙ্গে তখনও বিদ্যাসাগরের পরিচয় হয়নি৷ কিন্তু ওই সংশোধনগুলির মধ্যে বিদ্যাসাগরের সাবলীল ভাষা ও নিখুঁত জ্ঞানের কিছুটা পরিচয় পেয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠলেন তিনি৷ বিদ্যাসাগরের থেকে অক্ষয় দত্ত বয়সে মাস–দুয়েকের বড়৷ কিন্তু মনে মনে তাঁকেই নিজের অগ্রজ বানিয়ে ফেললেন এবং আলাপ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠলেন৷

শোভাবাজার রাজবাড়িতে আনন্দকৃষ্ণের কাছে যেতেন বিদ্যাসাগর শেক্সপীয়র পড়তে৷ এখানেই একদিন তাঁর সাথে পরিচয় হল অক্ষয় দত্তের৷ সেই থেকে তাঁদের মধ্যে নানা বিষয়ে মতবিনিময়, আলাপ–আলোচনার শুরু৷ এর মধ্য দিয়েই ক্রমে দু’জনের বন্ধুত্ব এবং কিছুদিনের মধ্যেই সেই বন্ধুত্বের রূপান্তর ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধায়৷ বাংলা ভাষা ও গদ্যের বিকাশ, শিক্ষা ও সমাজসংস্কার, সমাজে যুক্তিবাদের প্রসার ইত্যাদি ক্ষেত্রে সর্বশক্তি নিয়ে আজীবন তিনি বিদ্যাসাগরের পাশে ছিলেন৷

ব্রাহ্ম সমাজের চিন্তাগত যে প্রভাব অক্ষয় দত্তের মননে প্রথম দিকে ছিল, বিদ্যাসাগরের সাথে যোগাযোগ এবং আলাপ–আলোচনার সূত্রে তার মধ্যে পরিবর্তন ঘটেছিল৷ তাই, ব্রাহ্ম সমাজের মধ্যে থেকেও অক্ষয় দত্ত লিখেছিলেন, প্রার্থনা নয়, পরিশ্রমেই মুক্তি৷ কৃষকরা পরিশ্রম করে শস্য পায়, প্রার্থনা করে নয়৷ জীবনযাপনের জন্য যা যা প্রয়োজন, দেখা যাচ্ছে সেসবই একমাত্র কঠোর পরিশ্রমের বিনিময়েই উৎপাদন করা সম্ভব৷ তা হলে,

পরিশ্রম= ফসল

পরিশ্রম + প্রার্থনা= ফসল

অতএব, প্রার্থনা= শূন্য (০)

এইসব চিন্তাভাবনা স্বভাবতই ব্রাহ্ম সমাজের কেন্দ্রীয় ভাবাদর্শের বিপরীত ছিল৷ তাই, ঠিক হল, তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় ছাপার জন্য একটি ‘লেখা–নির্বাচন কমিটি’ বা ‘পেপার কমিটি’ তৈরি করা হবে এবং এই কমিটির অনুমোদন না নিয়ে কোনও লেখা প্রকাশ করা যাবে না, এমনকি পত্রিকা–সম্পাদকেরও না৷ এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার সাথে সাথে অক্ষয় দত্ত বিদ্যাসাগরকে বলেছিলেন তিনি যেন সেই কমিটির সদস্য হন৷ বিদ্যাসাগরের সাথে ব্রাহ্ম সমাজের কাজকর্মের কোনও সম্পর্ক ছিল না৷ অক্ষয় দত্তের বিশেষ অনুরোধে তিনি রাজি হন এবং অন্যান্য সদস্যরা অনেকেই বিদ্যাসাগরকে ওই ‘পেপার কমিটি’র বিশিষ্ট সদস্য হিসাবে মেনে নেন৷ এর পর থেকে অক্ষয় দত্ত নিজের লেখাগুলি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রকাশ করার আগে বিদ্যাসাগরকে দেখতে দিতেন এবং বিদ্যাসাগর তাঁর নানা ব্যস্ততার মধ্যেও গভীর মনোযোগ দিয়ে সেগুলির প্রয়োজনীয় সম্পাদনা করে দিতেন৷ এই সম্পাদনাগুলির দৃষ্টিভঙ্গি, ভাষা ইত্যাদির সূক্ষ্মতা এবং তীক্ষ্ণতায় শুধু অক্ষয় দত্ত নন, ‘পেপার কমিটি’র অন্যান্য সদস্যরাও অত্যন্ত আশ্চর্য হতেন৷ কমিটির সদস্য শ্যামাচরণ মুখোপাধ্যায় একটি চিঠিতে লিখেছেন, ‘The corrections and alterations made by Iswar Chandra Vidyasagar here and there have been very nice.’’

১৮৫১ সালে অক্ষয় দত্ত একটা বই প্রকাশ করলেন, ‘বাহ্য বস্তুর সহিত মানবপ্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার’৷ এ–বই সে সময়ের নিরিখে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা৷ অক্ষয় দত্তের মনন জগতের এহেন অবস্থান দেখে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘আমি কোথায় আর তিনি কোথায় আমি খুঁজিতেছি ঈশ্বরের সহিত আমার কী সম্বন্ধ৷ আর তিনি খুঁজিতেছেন বাহ্য বস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির কী সম্বন্ধ৷ আকাশ–পাতাল প্রভেদই বটে৷’ তারপর অক্ষয় দত্ত প্রকাশ করলেন ‘চারুপাঠ’ (১৮৫৩)৷ এই বইয়ের প্রথম ভাগ–এ তিনি লিখলেন, ‘‘…জন্তুর ন্যায় কেবল নিজের ও নিজ পরিবারের ভরণ–পোষণ করিয়া ক্ষান্ত থাকা মনুষ্যের ধর্ম্ম নয়৷… আপন আপন জীবিকা নির্ব্বাহের চিন্তা করা যেরূপ আবশ্যক, সময়ে সময়ে একত্র সমাগত হইয়া, স্বদেশের দুঃখ–বিমোচন ও সুখ সম্পাদনার্থ যত্ন ও চেষ্টা করাও সেইরূপ আবশ্যক৷’’ এইসব বইগুলিকে ছাত্রদের পাঠ্য তালিকায় দিয়ে দিয়েছিলেন বিদ্যাসাগর৷ তিনি বলেছিলেন ‘সাংখ্য–বেদান্ত ভ্রান্ত দর্শন৷’ অক্ষয় দত্ত এ নিয়ে গভীর পড়াশুনা করেছিলেন এবং ব্রাহ্ম সভায় দাঁড়িয়েই তিনি বলেছিলেন ‘বেদ অপৌরুষেয় নয় এবং সে কারণে অভ্রান্তও নয়৷’ বেদের নানা বিষয় নিয়ে তিনি অত্যন্ত সাহসী লেখা লিখেছেন৷ এক বেদের মুনি–ঋষির সাথে অন্য বেদের মুনি–ঋষিদের অত্যন্ত তিক্ত–বিষাক্ত বাদানুবাদের দৃষ্টান্ত তুলে এনে তিনি প্রকাশ করেছেন৷ দেখিয়েছেন, শতপথ ব্রাহ্মণে কীভাবে শুক্লরা (শ্বেতবর্ণেরা) কৃষ্ণদের (কালোদের) গালাগাল করেছেন৷ একই ভাবে সাম বেদের সাধুরা ঋক বেদের সাধুদের বিরুদ্ধে কীভাবে বিষোদগার করেছেন৷ ধর্ম কী বীভৎসভাবে মানবতাকে আক্রমণ করেছে, তাও তথ্য–পরিসংখ্যান দিয়ে লিপিবদ্ধ করেছেন অক্ষয় দত্ত৷ সারনাথের বৌদ্ধদের কী নৃশংসভাবে হিন্দুরা হত্যা করেছিল এবং তাদের সমস্ত কিছু জ্বালিয়ে–পুড়িয়ে ধ্বংস করেছিল, সেসবও তিনি লিখেছেন৷ এসবের মধ্য দিয়ে দেখাতে চেয়েছিলেন যে, ধর্ম আজ আর মানুষকে প্রগতির রাস্তা দেখাতে পারে না৷ 

তখন বিধবাবিবাহ আন্দোলন নিয়ে তোলপাড় তুঙ্গে৷ বিদ্যাসাগরের সামনে পর্বতপ্রমাণ বিরোধিতা৷ দক্ষ সেনাপতির মতো সমস্ত আক্রমণকে ঠেকাবার, চূর্ণ–বিচূর্ণ করার জন্য বিদ্যাসাগর দিন–রাত উদয়াস্ত পরিশ্রম করছেন৷ বিধবাবিবাহের পক্ষে সমস্ত শাস্ত্রীয় প্রমাণ ইত্যাদি জোগাড় করে, তার ব্যাখ্যা–টীকা সহ সম্পাদনা করে তিনি ১৮৫৫ সালে লিখলেন, ‘বিধবাবিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিৎ কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব’৷ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’র ১৩৯ সংখ্যায় সে বক্তব্য প্রকাশ করেন অক্ষয় দত্ত৷ শুধু তা–ই নয়, সে বক্তব্যের সমর্থনে অসুস্থ শরীর নিয়েও পরের সংখ্যায় অক্ষয় দত্ত লিখেছিলেন এক সুদীর্ঘ এবং জোরালো প্রবন্ধ৷ এই প্রবন্ধে তিনি বিদ্যাসাগরের বক্তব্য জনসাধারণের মনে কী বিপুল প্রভাব ফেলেছে তার বিস্তারিত বিবরণ সহ আরও নানা দিক বিশ্লেষণ করেন৷

বিদ্যাসাগরের লেখার জবাবে যেসব বিরুদ্ধ যুক্তি তখন উঠেছিল, সেসবের জবাব দিয়ে বিদ্যাসাগর ওই বছরই দ্বিতীয় বার প্রকাশ করলেন, ‘বিধবাবিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিৎ কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব’৷ এই পুস্তিকার সমর্থনেও তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় পরপর কয়েকটি লেখা প্রকাশ করেন অক্ষয় দত্ত৷ সমাজমননে প্রভাব ফেলতে সে লেখাগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল৷ যদিও ব্রাহ্ম সমাজের উচ্চতম কর্তৃপক্ষ ব্যাপারগুলিতে সম্পূর্ণ খুশি হচ্ছিলেন না৷ তাঁরা চেয়েছিলেন তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা হবে ব্রাহ্ম মতাদর্শ প্রচারের জায়গা৷ অথচ তার বদলে চলছে অন্য জিনিস৷ তাঁরা বলতে শুরু করলেন, ‘পত্রিকার মধ্যে কতগুলো নাস্তিক এসে জুটেছে৷ এরা থাকলে ব্রাহ্ম আদর্শ প্রচার কিছুতেই সম্ভব নয়৷’ A bunch of atheists have taken over as the article-editors. Unless these are thrown out, the cause of the Brahmo Religion will not be furthered.) চিন্তা জগতের এই পার্থক্যের কারণে ১৮৫৫ সালের শেষের দিকে তত্ত্ববোধিনী থেকে অবসর নেন অক্ষয় দত্ত৷ যোগ দেন বিদ্যাসাগরের নর্মাল স্কুলে, অধ্যক্ষ পদে৷ অক্ষয় দত্ত পত্রিকা থেকে বেরিয়ে আসার পর বিদ্যাসাগরের সাথেও তত্ত্ববোধিনীর আর তেমন কোনও যোগাযোগ ছিল না৷ অক্ষয় দত্ত নর্মাল সুক্লের দায়িত্ব নিলেন ঠিকই কিন্ত জটিল রোগের কারণে শরীর ক্রমশ ভেঙে আসছিল তাঁর৷ বেশি দিন স্কুল চালাতে পারলেন না৷ নিতান্ত নিরুপায় হয়ে বছর তিনেক পর অবসর নিলেন এবং বাকি জীবনটা শারীরিকভাবে অত্যন্ত কষ্ট করে হলেও জ্ঞানচর্চার মধ্যেই সারাক্ষণ ডুবে ছিলেন৷

দীর্ঘকাল প্রায় শয্যাশায়ী থেকে ১৮৮৬ সালে অক্ষয়কুমার দত্ত প্রয়াত হন৷ বিদ্যাসাগর তখনও, বৃদ্ধ বয়সেও, পিতা–মাতা–বন্ধু বিয়োগের বেদনা নিয়েও, চির তরুণের উদ্যমে অসংখ্য ঝড়–ঝঞ্ঝা সামলাতে সামলাতে অসংখ্য কর্মসূচিতে প্রবলভাবে সক্রিয়৷ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর লেখায় পাওয়া যাচ্ছে, তিনি বয়সের ভার উপেক্ষা করে নানা ধরনের নতুন পাঠক্রম লিখছেন, আরও সহজ–সরল ভাষায় কীভাবে সেগুলি প্রকাশ করা যায় তার জন্য নিজে প্রুফ দেখছেন, বারবার নিজের লেখাই কাটছেন৷ এছাড়া, ১৮৮৫ সালে মেট্রোপলিটন স্কুলের বৌবাজার শাখা স্থাপিত হচ্ছে৷ পরের বছর কলকাতার শঙ্কর ঘোষ লেনে মেট্রোপলিটন কলেজ (বর্তমানে বিদ্যাসাগর কলেজ)–এর উদ্বোধন হচ্ছে এবং বিদ্যাসাগর প্রতিনিয়ত তার খুঁটিনাটি দেখাশুনা করছেন৷ (চলবে)

(গণদাবী : ৭২ বর্ষ ১৬ সংখ্যা)