Breaking News

চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মেলনে স্বাস্থ্যের অধিকার রক্ষার শপথ

১২-১৩ নভেম্বর শিলিগুড়ি শহরের রবীন্দ্র মঞ্চে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হল মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের নবম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্মেলন। শুরুতে জরুরি সময়ে জীবন বাঁচানোর ব্যবস্থা (বেসিক লাইফ সাপোর্ট), ডায়াবেটিস রোগীদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন (লাইফ স্টাইল মডিফিকেশন ইন ডায়াবেটিস), ওরাল হাইজিন অ্যান্ড ওরাল হেলথ প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা হয়। ‘আঞ্চলিক ভাষায় মেডিকেল শিক্ষা– একটি ছদ্মবেশী আক্রমণ’ শীর্ষক প্যানেল ডিসকাশন হয়।

সহ-সভাপতি ডাঃ ভবানী শঙ্কর দাস সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করে সম্মেলনের সূচনা করেন। স্বাস্থ্যের উপর চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সম্মেলনের সংবর্ধনা কমিটির চেয়ারম্যান উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ দুর্গাপ্রসাদ চক্রবর্তী। সম্মেলনের স্মরণিকা উদ্বোধন করেন রাজ্য সহ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ সিস্টার প্রীতি তারণ। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ওড়িশা রাজ্য সভাপতি ডাঃ সুরজিৎ সাহু, ডাঃ উদয় নারায়ণ সরকার, ডাঃ পার্থসারথি মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ বিজ্ঞান বেরা প্রমুখ।

উদ্বোধনী অধিবেশনে সম্মেলনের মূল আবেদন তুলে ধরেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি প্রাক্তন সাংসদ ডাঃ তরুণ মণ্ডল। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও মেডিকেল-নার্সিং-প্যারামেডিকেল শিক্ষার ব্যবসায়ীকরণ বেসরকারিকরণের আক্রমণের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য-শিক্ষার অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনে সংগঠনের বর্ষব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্পের অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত আলোচনা করেন রাজ্য সম্পাদক ডাঃ অংশুমান মিত্র। ‘পিচমবঙ্গ রাজ্যের স্বাস্থ্যের সার্বিক বেহাল অবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা করেন রাজ্য যুগ্ম-সম্পাদক এবং সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সজল বিশ্বাস।

প্রতিনিধি সম্মেলনে সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন রাজ্য সম্পাদক ডাঃ অংশুমান মিত্র। প্রতিনিধিরা তাতে নানা সংযোজন করেন। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে খসড়া প্রস্তাব পাঠ করেন সম্মেলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ বিপ্লব চন্দ্র। ৪০ জনের বেশি প্রতিনিধি সমর্থন, সংশোধন ও সংযোজনে বক্তব্য রাখেন।

সম্মেলন থেকে অধ্যাপক উদয় নারায়ণ সরকারকে সভাপতি ও ডাঃ বিপ্লব চন্দ্রকে সম্পাদক করে ৭০ জনের রাজ্য কমিটি ও ৪৫ জনের কাউন্সিল গঠিত হয়। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ডাঃ অশোক সামন্ত সমাপ্তি বক্তব্যে বর্তমান চূড়ান্ত অবক্ষয়ী সাংস্কৃতিক পরিবেশে সামাজিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখে বিপন্ন মানুষের স্বাস্থ্য সেবা এবং স্বাস্থ্যের অধিকার রক্ষার দাবিতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার জন্য অভিনন্দন জানান।