মধ্যপ্রদেশে ৯৪ হাজার স্কুল বন্ধের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এআইডিএসও এবিভিপি-র হামলা

             

কেন্দ্রের বিজেপি সরকার প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার ৯৪ হাজার স্কুল বন্ধ করার ঘোষণা করেছে। এর বিরুদ্ধে এবং ছাত্রীদের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্যাতন-ধর্ষণ ও শিক্ষার সামগ্রিক বেসরকারিকরণ, বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে সে রাজ্যে লাগাতার আন্দোলন করে চলেছে এআইডিএসও। এই আন্দোলনে ভীত হয়ে বারবার বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি হামলা চালিয়েছে এআইডিএসও কর্মীদের ওপর।

সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্মেলন উপলক্ষে অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশেও এআইডিএসও-র ব্যাপক প্রচারাভিযান চলছে। ১৭ নভেম্বর এআইডিএসও কর্মীরা গুনা রেলস্টেশনে পোস্টার লাগানোর সময় আচমকাই এবিভিপির দুষ্কৃতীরা তাদের উপর চড়াও হয়, মারধর করে। এআইডিএসও কর্মীরা এরপর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে সেখানে উপস্থিত এবিভিপি ও বিজেপি নেতাদের চাপে সরকারের দলদাস পুলিশ আক্রান্ত ছাত্রদেরই গ্রেপ্তার করে ও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা এফআইআর দায়ের করে এবং ৮ জন এআইডিএসও কর্মীকে পরের দিন জেলে পাঠায়। পুলিশ এআইডিএসও পরিচালিত ছাত্রদের হোস্টেলে তালা ভেঙে তল্লাশি চালায়। বিজেপি নেতাদের সাক্ষী সাজিয়ে পুলিশ নিজেদেরই বয়ে নিয়ে যাওয়া কিছু হাতিয়ারকে ছাত্রদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় পেশ করে। এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত উক্ত ছাত্রকর্মীরা জেল হেফাজতেই আছেন। গুনা শহরের বহু বিশিষ্ট মানুষ জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ছাত্রদের মুক্তির দাবি জানান।

এই দাবিতে ২০ নভেম্বর গুনা শহরের হনুমান চৌরাহাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ছাত্র-অভিভাবক সহ বহু পেশার মানুষ। বিশিষ্ট ট্রেড ইউনিয়ন নেতা নরেন্দ্র সিং ভদোরিয়া, এআইডিএসও-র রাজ্য সভাপতি অজিত সিংহ পাওয়ার গোটা রাজ্যে বিজেপি তথা এবিভিপি-র গুন্ডারাজ কায়েমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। জেলাশাসকের দপ্তরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ভগৎ সিং ইয়দগার মঞ্চের সংযোজক রাকেশ মিশ্র, সামাজিক আন্দোলেনের নেতা ডাঃ পুষ্পরাগ শর্মা, লোকেশ শর্মা সহ বহু বিশিষ্ট নাগরিক বিক্ষোভে উপস্থিত হয়ে ধৃতদের মুক্তির দাবি জানান। তাঁরা এই আক্রমণ ও মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা করে বলেন, শাসক দলের তাঁবেদার এবিভিপি যতই আক্রমণ করুক, সর্বনাশা শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে এবং মানবতা রক্ষা করার প্রয়োজনে ছাত্র আন্দোলনের পাশে আমরা থাকব।