![](https://ganadabi.com/wp-content/uploads/2021/06/Relief-at-Haldia-by-DSO.jpg)
পূর্ব মেদিনীপুরঃ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ত্রাণ বিতরণ এবং স্বাস্থ্যশিবির করা হয়। ১৩ জুন কোলাঘাটের সাহাপুরে ৬০ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে খাদ্য ও শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেয় এআইডিএসও। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি স্বপন জানা, দীপঙ্কর মাইতি প্রমুখ। ১৬ জুন এ আই কে কে এম এস এবং অ্যাবেকার যৌথ উদ্যোগে কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের কালুয়া ও ডিহি মুকুন্দপুর গ্রামে শতাধিক ক্ষতিগ্রস্তকে ত্রাণদেওয়া হয়। কৃষক সংগঠনের পক্ষে জেলা সম্পাদক জগদীশ সাউ ও অ্যাবেকার পক্ষে জেলা নেতা পঞ্চানন দাস উপস্থিত ছিলেন।
![](https://ganadabi.com/wp-content/uploads/2021/06/Relief-from-Comsomal-1024x523.jpg)
কমসোমলঃ এই সংগঠনের উদ্যোগে কোলাঘাটে ৬২ জন শিশু-কিশোরকে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা ইনচার্জ সুদর্শন মান্না, গণেশ হুতাইত প্রমুখ। ১৯ জুন অধ্যাপক সংহতি মঞ্চের উদ্যোগে খেজুরির কাদিরাবাদ চরে ত্রাণ বিতরণ ও স্বাস্থ্য শিবির হয়। দুই শতাধিক মানুষকে ত্রাণ ও তিন শতাধিক মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ওষুধ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য শিবির পরিচালনা করেন ডাঃ এন কে প্রধান, অধ্যাপকদের মধ্যে ত্রাণশিবিরে উপস্থিত ছিলেন মঙ্গল কুমার নায়ক, উত্তম খাটুয়া, রুম্পা সাহু প্রমুখ।
![](https://ganadabi.com/wp-content/uploads/2021/06/Relief-From-Sarkari-Karmachari-Union-1024x618.jpg)
পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন ও বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতিঃ ২০ জুন এই দুই সংগঠনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে মন্দারমণির সিলামপুরে ১৭৫ জনের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের পক্ষে নারায়ণ বর্মন, আকসারুল ইসলাম খান ও শিক্ষক সংগঠনের পক্ষে প্রভাত পাল, সৌমেন প্রধান প্রমুখ। ওইদিনই কোলাঘাটে বিপিটিএ-র পক্ষ থেকে ৭০টি পরিবারের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা, মেঘনাথ খামরই প্রমুখ। কিশোর সংগঠন কমসোমলের উদ্যোগে দীঘার শৌলাতে ৪০ জন শিশু-কিশোরকে খাদ্য ও শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা ইনচার্জ সুদর্শন মান্না, রেখা মাইতি প্রমুখ।
![](https://ganadabi.com/wp-content/uploads/2021/06/ABECA-Kanthi-1-1024x497.jpg)
বাঁকুড়াঃ ৭ জুন অ্যাবেকার উদ্যোগে শালতোড়া ব্লকের বারকোনা গ্রামে ৫০টি পরিবারের হাতে শুকনো খাবার, ফল, মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজার তুলে দেওয়া হয়। ১০ জুন সাতনার দুবরাজপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত কার্তিক বাউরির বাড়ি গিয়ে অ্যাবেকার নেতৃবৃন্দ পরিবারের হাতে ত্রাণ তুলে দেন। সেইসাথে তাঁর পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও একজনকে চাকরি দেওয়ার দাবি নিয়ে স্থানিয় এসএম অফিস, আরএম অফিস এবং ডিএম অফিসে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক স্বপন নাগ ও ছাতনা ব্লক সম্পাদক বীরেন মণ্ডল।
![](https://ganadabi.com/wp-content/uploads/2021/06/Legal-service-centre-relif-at-Namkhana-1024x566.jpg)
ব্যাঙ্ককর্মী ইউনিয়নঃ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার ঘরবাড়ি, পথঘাট ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এলাকাবাসীর জীবন-জীবিকাও সঙ্কটাপন্ন।
এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ব্যাঙ্ককর্মী সংগঠনের পক্ষ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পাথরপ্রতিমার এল-প্লটের শ্রীধর নগর, শ্রীমতী নগরের প্রায় ১৫০টি পরিবারে ১৩ জুন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল বালতি, সাবান, সর্ষের তেল, ডাল, ছাতু, দুধ সহ দৈনন্দিন ব্যবহার্য ১০টি উপকরণ। সুন্দরবন নদী-বাঁধ ও জীবন-জীবিকা রক্ষা কমিটির ব্যবস্থাপনায় অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ইউনিটি ফোরাম, অল ইন্ডিয়া ইউকো ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ইউনিটি ফোরাম, এ আই ইউ টি ইউ সি অনুমোদিত আইডিবিআই ব্যাঙ্ক কন্ট্র্যাক্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এবং কন্ট্র্যাকচুয়াল ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ইউনিটি ফোরামের পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়।
সুন্দরবন নদীবাঁধ ও জীবন-জীবিকা রক্ষা কমিটির মুখপাত্র পবিত্র মাইতি জানান, নদী-বাঁধগুলির অবস্থা খুবই বিপজ্জনক। অবিলম্বে সরকার এদিকে দৃষ্টি না দিলে অবস্থার আরও অবনতি হবে। তাছাড়া সরকারি ত্রাণও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। ব্যাঙ্ককর্মীদের পক্ষ থেকে ত্রাণ বণ্টন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন ইউসুফ মোল্লা, মনোজ মণ্ডল, জয়দেব সরকার, অরূপ বর্মণ রায়, নীলকমল হালদার প্রমুখ।
![](https://ganadabi.com/wp-content/uploads/2021/06/Relief-from-covid-care-Nadia-1024x488.jpg)
কৃষ্ণনগরঃ কৃষ্ণনগর কোভিড কেয়ার ফোরাম প্রথম দিকে করোনা সংক্রমিতদের সাহায্য করেছে। লকডাউনের কারণে গরিবের ঘরে আর্থিক সংকট খুবই তীব্র হওয়ায় তাদের সাহায্য করতে প্রতিদিন ৩০-৩৫ জনের তালিকা করে ৩ কেজি চাল, ১ কেজি আটা, চারশো গ্রাম ডাল, এক প্যাকেট সয়াবিন, তেল, লবণ, সাবান, মাস্ক প্রভৃতি প্রায় তিনশো টাকার সামগ্রী তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দিন রেলের হকার ও রিক্সা চালক, দ্বিতীয় দিন নাট্যদলে দিনমজুরি খাটা কর্মী, তৃতীয় দিন পরিচারিকা ও মিড-ডে মিল কর্মী, তারপর থেকে নানা অংশের গরিব পরিবারের হাতে সাহায্য তুলে দেওয়া হয়েছে। ৭-১৪ জুন এই আট দিনে মোট ২৫১ জনকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচিতে কৃষ্ণনগরের অগণিত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ সমস্ত দিক থেকে সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন।