রাজ্য সরকারি কর্মীদের আন্দোলনের দাবিগুলি মেনে নিন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্য সম্পাদকের

মহার্ঘ ভাতা ও স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে শহিদ মিনার ময়দানে সরকারি কর্মীদের লাগাতার ধরনাকে সমর্থন জানিয়ে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রীকে ৬ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে অবিলম্বে আন্দোলনের দাবিগুলি মেনে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

চিঠিতে তিনি বলেন, গত ১১ দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত স্তরের সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ডাক্তার, নার্স সহ ৩৪টি সংগঠনের পক্ষ থেকে শহিদ মিনারের প্রাঙ্গনে, বকেয়া সহ কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা এবং সর্ব স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সরকারি দপ্তর সমূহে শূন্যপদে স্বচ্ছ ও স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। ২৭ জানুয়ারি গণছুটি ও ১ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতি সফল হয়েছে। অথচ এখনও রাজ্য সরকার এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

এই প্রসঙ্গে তিনি সিপিএম সরকারের আমলেও ডিএ-র মাত্রাহীন বঞ্চনা যে পাহাড়প্রমাণ হয়ে উঠেছিল তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিগত সরকারের আমলের ডিএ-র বঞ্চনার ধারাবাহিকতাই শুধু রক্ষা করেনি, তা দয়ার দানে পরিণত করেছে। বেতন কমিশনের সুপারিশকে প্রকাশ না করে অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক এবং নজিরবিহীন কাজ করেছে। সবচেয়ে বড় কথা, ডিএ না দেওয়ার পক্ষে আপনার মন্ত্রী অসত্য ভাষণ করে চলেছেন। প্রতিবাদী আন্দোলনকে দলীয় রঙ দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার সুযোগ করে দিচ্ছেন। সামগ্রিকভাবে এ কথা বলা যায়, নানা ছল ছুতো করে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ডিএ-র দায়িত্ব সরকার অস্বীকার করতে চাইছে শুধু নয়, বিভিন্ন আদালতে জনসাধারণের ট্যাক্সের লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় করে চলেছে এই অন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

তিনি বলেন, অবিলম্বে রাজ্য সরকারি কোষাগারের বেতনভোগী সকল কর্মচারীর ন্যায়সঙ্গত ও আইনসঙ্গত মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে এবং রাজ্যব্যাপী লক্ষ লক্ষ শূন্যপদ স্বচ্ছ ভাবে পূরণ করতে হবে।