নির্বাচনী ব্যবস্থার আপাত নিরপেক্ষতাও বিলোপ করছে বিজেপি সরকার

এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ ১৪ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে বলেন, যে অগণতান্ত্রিক, স্বেচ্ছাচারী কায়দায় বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার ১২ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিল ‘চিফ ইলেকশন কমিশনার অ্যান্ড আদার ইলেকশন কমিশনারস (অ্যাপয়েন্টমেন্ট, কন্ডিশিনস অফ সার্ভিস অ্যান্ড টার্ম অফ অফিস) বিল ২০২৩’ পাশ করিয়ে নিয়েছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ করছি। এতদিন এই নিয়োগের সার্চ কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং ভারতের প্রধান বিচারপতি থাকতেন। কিন্তু নতুন বিলে কমিটি থেকে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বদলে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত একজন মন্ত্রী কমিটিতে স্থান পাবেন। এই আইনের দ্বারা সরকার চরম ঔদ্ধত্যের সাথে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে পছন্দের লোককেই কেবলমাত্র এই পদে বসানোর ব্যবস্থা করে নিল। ফলে বহু ধরনের কারচুপির মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যেই বহুলাংশে ক্ষয়প্রাপ্ত নির্বাচনী ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা আরও ক্ষয়ের পথে যাবে।

বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ দেখিয়ে দিল নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার অবশেষটুকুও মুছে দিতে তারা কতটা মরিয়া। এর ফলে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যতটুকু ভারসাম্য রক্ষার ব্যবস্থা ছিল তা বিলুপ্ত হবে। এই পদক্ষেপ গণতন্ত্রের একেবারে ন্যূনতম ধারণাকেও পুরোপুরি নস্যাৎ করে দেবে। দেশে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করার পথে সরকার আরও এগিয়ে গেল।

এই পরিস্থিতিতে সমস্ত গণতান্ত্রিক চেতনাসম্পন্ন মানুষের কাছে আমাদের আবেদন, এই চরম অগণতান্ত্রিক আইনের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলুন। এই ফ্যাসিস্ট আইন প্রত্যাহার করতে বিজেপি সরকারকে বাধ্য করুন।