হরিয়ানায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারি অপদার্থতার তীব্র নিন্দা

অতিবৃষ্টির কারণে হরিয়ানার আম্বালা, যমুনানগর, কুরুক্ষেত্র, গুড়গাঁও সহ আরও কয়েকটি এলাকার পরিস্থিতি সঙ্কটজনক। রেওয়াড়ির ধারুহেড়া অঞ্চলে বৃষ্টির জল ও কল-কারখানা থেকে রাসায়নিক যুক্ত বিষাক্ত জল জমে যাওয়ায় মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর পলিটবুরো সদস্য, দলের হরিয়ানা রাজ্য কমিটির সম্পাদক কমরেড সত্যবান এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ১২ জুলাই এক বিবৃতিতে বলেছেন, শুধু উপদেশ দেওয়া বন্ধ করে সরকার যেন মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য অবিলম্বে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

তিনি বলেন, নিছক প্রকৃতির উপর দায় চাপিয়ে এই সরকার জনজীবনের প্রতি নিজের উদাসীনতা ঢেকে রাখতে পারে না। বেশ কিছুদিন আগেই আবহাওয়া দফতর বৃষ্টির সতর্কতা জারি করলেও সরকার আগে থেকে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। জল জমে বন্যার মতো অবস্থা প্রায় প্রতি বছরই তৈরি হয়। অথচ এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের কোনও পরিকল্পনাই নেই। রাজ্যের অধিকাংশ এলাকাতেই রাস্তাঘাট, পার্ক, সরকারি ভবন জলমগ্ন। রেললাইন ও সড়কগুলি জলমগ্ন হওয়ায় বহু যাত্রী চরম অসুবিধায় পড়েছেন। হাজার হাজার একর কৃষিজমি কয়েক ফুট জলের তলায় ডুবে রয়েছে। জনজীবন বিপন্ন। এই অবস্থায় সরকার যেটুকু ব্যবস্থা নিয়েছে, তা অপর্যাপ্ত।

বিবৃতিতে কমরেড সত্যবান দাবি করেন, বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষকে সুরাহা দিতে অবিলম্বে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে। আটকে পড়া যাত্রী সহ বিপন্ন সমস্ত মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। অসুস্থ নাগরিকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সরকারকে। পাশাপাশি বন্যাদুর্গত মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য কমরেড সত্যবান রাজ্যের সাধারণ মানুষের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।