লড়াইয়ে অবিচল আশাকর্মীরা কর্মবিরতিতে

দার্জিলিং-এর শিলিগুড়িতে আশাকর্মীদের অবস্থান। ১ মার্চ

আশাকর্মীদের চূড়ান্ত আর্থিক বঞ্চনা সহ সরকারি নিপীড়নের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়ন ১ মার্চ থেকে লাগাতার কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছিল। তাতে সামিল হয়েছেন রাজ্যের হাজার হাজার আশাকর্মী। কর্মবিরতি সফল করায় তাদের অভিনন্দন জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদিকা ইসমত আরা খাতুন ৩ মার্চ এক বিবৃতিতে জানান,

আশা প্রকল্প স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। অথচ কেন্দ্র সরকার বাজেটে আশা কর্মীদের জন্য শুধু কিছু অ্যাওয়ার্ড ছাড়া আর কিছু বরাদ্দ করল না। এ রাজ্যেও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নানা বৈঠকে যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলি বাস্তবায়িত করলেন না। আশাকর্মীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাজ ছাড়াও চাপ দিয়ে অন্য বহু কাজ করিয়ে নেওয়া হয়। একদিকে চূড়ান্ত আর্থিক বঞ্চনা, কর্মক্ষেত্রে হয়রানি এবং অস্বাভাবিক কাজের বোঝা কর্মীদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটিয়েছে। তাই তাঁরা ১ মার্চ থেকে কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হন। ৩ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে ন্যাশনাল পোলিও প্রোগ্রাম। আশাকর্মীদের দিয়েই এই কাজ করানো হয়। এর জন্যও প্রায় কোনও পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না।

এই অবস্থায় রাজ্যের ৯৯ শতাংশ আশাকর্মী ভীতি প্রদর্শন, চাপ, প্রশাসনিক হয়রানিকে উপেক্ষা করে ১ মার্চ থেকে কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন এবং প্রায় কেউই পোলিও প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেননি। স্বাভাবিক ভাবেই আশাকর্মীদের এই কর্মবিরতি স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে একটা বড় ধাক্কা। আশাকর্মীরা দাবি করেছেন, ফিক্সড ভাতা বৃদ্ধি সহ তাঁদের বাকি দাবিগুলি পূরণের জন্য স্বাস্থ্য মিশন, রাজ্য সরকার তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসুক। না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।