দেশব্যাপী ‘চাক্কা জ্যাম’ সফল,  জনগণকে অভিনন্দন এ আই কে কে এম এস-এর

চেন্নাই

৬ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত কিসান মোর্চা ডাক দিয়েছিল দেশব্যাপী ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসুচির। দিল্লির কৃষক আন্দোলনকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে জল, আলো, খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার চেষ্টা করছে যাতে কৃষকরা আন্দোলন তুলে নিতে বাধ্য হয়। ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে চেষ্টা করছে যাতে কৃষক আন্দোলনের খবর বাইরে না যায়। ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের ট্রাক্টর মার্চে অশান্তি বাধিয়ে সরকার ভেবেছিল তাঁদের আন্দোলন বন্ধ করে দিতে তারা সফল হবে। কিন্তু কৃষকরা আন্দোলনে অটল থাকার সংকল্প ঘোষণা করেছেন।

এই আন্দোলনের উপর বিজেপি-আরএসএস বাহিনী এবং পুলিশের হামলার বিরুদ্ধে দেশজোড়া প্রতিবাদ জানিয়েই ৬ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় ‘চাক্কা জ্যাম’। দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্যের শহর, গঞ্জ, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হন কৃষক ও সাধারণ মানুষ।

এই কর্মসূচিকে সফল করার জন্য কৃষক এবং সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানিয়ে সংযুক্ত কৃষক মোর্চার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এ আই কে কে এম-এসের সর্বভারতীয় সভাপতি কমরেড সত্যবান এবং সাধারণ সম্পাদক কমরেড শঙ্কর ঘোষ বলেন, দেশ জোড়া এই ‘চাক্কা জ্যাম’ প্রমাণ করল সরকারের সমস্ত অপপ্রচার ব্যর্থ করে সারা দেশের মানুষ কৃষক আন্দোলনের সাথেই আছেন। এই কৃষক আন্দোলন কেবল দুনিয়ার সর্ববৃহৎ গণআন্দোলনই নয়, এর মধ্য দিয়ে এক উন্নত চেতনার প্রকাশ ঘটাচ্ছেন কৃষকরা। তাঁরা বলেন, ‘‘২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে অবাঞ্ছিত কিছু ঘটনা এবং তার অজুহাতে দিল্লি সীমান্তে কৃষক অবস্থানের উপর হামলা যে আর এস এস-বিজেপির চক্রান্তেই ঘটেছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণ কৃষকরা দেশের সামনে তুলে ধরেছেন।

কমরেড সত্যবান বলেন, ১১ দফা আলোচনার প্রহসনে কৃষকরা সরকারের আসল চেহারাই ধরে ফেলেছেন। কৃষকরা বুঝছেন, ১৯৯১ সাল থেকে চলা কৃষক বিরোধী–পুঁজিপতিদের স্বার্থবাহী সংস্কার নীতি কৃষকদের সর্বনাশ করছে। বিজেপি সরকারের তিন কৃষি আইন ও বিদ্যুৎ বিল এই সর্বনাশা নীতিকেই চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠা করবে। এই আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার ছাড়া আর কোনও শর্ত কৃষকরাও আজ স্বীকার করবেন না। তাঁরা সরকারের কাছে আহ্বান জানান ঔদ্ধত্য আর ফ্যাসিবাদী অত্যাচারের পথ ছেড়ে সরকার দাবি মেনে নিক। না হলে, এই অহঙ্কারী সরকারকে জনগণ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলে দেবে।

শিলিগুড়ি
কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান
ত্রিশূর, কেরালা

 

কোচবিহার