জেএনইউ–এর আন্দোলনের সমর্থনে ডিএসও

দিল্লি

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক ফি–বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলনে নেমেছেন৷ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আন্দোলন ভাঙতে ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশ বেপরোয়া আক্রমণ চালায় ছাত্রছাত্রীদের উপর৷ এই জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদে গোটা দেশের ছাত্রসমাজ জেএনইউ–এর পাশে দাঁড়িয়েছে৷ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে অল ইন্ডিয়া ডিএসও–র সদস্যরাও৷

গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়

হরিয়ানার  রোহতকে ২০ নভেম্বর এআইডিএসও সহ অন্য কয়েকটি ছাত্র সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ করে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কুশপুতুল পোড়ানো হয়৷ সমাবেশে এআইডিএসও–র রাজ্য সম্পাদক উমেশ কুমার ও রাজ্য সহসভাপতি রাজেশ কুমার বলেন, শিক্ষাকে মহার্ঘ পণ্যে পরিণত করার যে চক্রান্ত দেশ জুড়ে চলছে জেএনইউ–এর ঘটনা তারই অঙ্গ৷ সরকার চায় শিক্ষার দায়িত্ব কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলতে৷

অন্যান্য স্কুল–কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয় এবং এলাকাতেও ফি–বৃদ্ধির বিরুদ্ধে এবং জেএনইউ আন্দোলনের সমর্থনে, তাতে পুলিশের ঘৃণ্য ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদে ডিএসও–র পক্ষ থেকে সভা–মিছিল–গণস্বাক্ সংগ্রহ ইত্যাদি চলছে৷ গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী জেএনইউ আন্দোলনের সমর্থনে ও গুজরাট সরকারের জনবিরোধী শিক্ষানীতির প্রতিবাদে স্বাক্ষর সংগ্রহে অংশ নেন৷ কর্তৃপক্ষ ভয় দেখিয়ে বলে, ‘এখনই এসব বন্ধ করতে হবে, না হলে পুলিশ ডাকব৷’ ডিএসও–র সদস্যরা অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, সরকারের প্রশাসনিক সচিব তাঁকে ফোন করে স্বাক্ষর সংগ্রহ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে৷ ডিএসও নেত্রী রিমি বাঘেলা বলেন, ‘দু’দিন আগে কলেজে এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে৷ সে নিয়ে অধ্যক্ষ বা সচিবকে উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায় না, অথচ এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির বিরুদ্ধে তাঁরা ‘সক্রিয়’ হয়ে উঠেছেন৷ এতে তাদের স্বরূপই প্রকাশিত হচ্ছে৷’

 

(গণদাবী : ৭২ বর্ষ ১৬ সংখ্যা)