জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবনের নাম পরিবর্তনের তীব্র নিন্দা

 জাতীয় গ্রন্থাগারের ‘ভাষা ভবন’-এর নাম পরিবর্তন করার তীব্র নিন্দা করে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য ৬ জুলাই এক বিবৃতিতে বলেন, জাতীয় গ্রন্থাগারের উন্নতির জন্য করণীয় কিছুই না করে, এই গ্রন্থাগারের ‘ভাষা ভবন’-এর নাম বদল করার মধ্যে কোনও কৃতিত্ব নেই। নাম বদলের সময় প্রখ্যাত ভাষাতত্ত্ববিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, সুকুমার সেন– যাঁরা প্রকৃতই ভাষাবিজ্ঞানে অবদান রেখে গেছেন, তাঁদের পুরোপুরি বাদ দিয়ে কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রক ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সহযোগী, স্বাধীনতা আন্দোলন বিরোধী এবং ধর্মের ভিত্তিতে বিদ্বেষ ও বিভাজন সৃষ্টির প্রবক্তা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে নামকরণ করল। এর মধ্য দিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাদের হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকেই আরও প্রকট করল।

এর আগেও জাহাজ বন্দরের উন্নতির প্রতি মনোযোগ না দিয়ে নেতাজি সুভাষ ডক নামে যা পরিচিত ছিল, তার পরিসর সংকুচিত করে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামেই জাহাজ বন্দরের নামকরণ করা হয়েছে। বিজেপির হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক অ্যাজেন্ডা পূরণ করার প্রয়োজনে অনৈতিহাসিক ভাবে এই নাম বদলের আমরা তীব্র নিন্দা করছি।

এআইডিএসও-র প্রতিবাদঃ ভাষা ভবনের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কমরেড বিশ্বজিৎ রায় ৬ জুলাই বলেন, জাতীয় গ্রন্থাগারে নিয়মিত পাঠকরা প্রতিদিন যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হন– যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণ বই না থাকা, সমসাময়িক বই না কেনা, গবেষণা জার্নালগুলোর সাবস্ক্রিপশন না থাকা, দুর্বল ইন্টারনেট পরিষেবা, পানীয় জলের সমস্যা, এক-তৃতীয়াংশ কর্মী দিয়ে গ্রন্থাগার পরিষেবা যখন প্রায় অচল হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে, তখন এই সমস্যার সমাধান না করে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের কাছে ভাষা ভবনের নাম পরিবর্তন জরুরি হয়ে পড়ল। নিয়মিত পাঠকদের কাছে এ এক উদ্বেগের বিষয়। আমরা সরকারের এই জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করছি।