অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের গবেষণায় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ

ফাইল চিত্র

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে জিততে একাধিক জায়গায় বিজেপির কারচুপি নিয়ে গবেষণা করেছিলেন হরিয়ানার অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সব্যসাচী দাস। ‘ডেমোক্রেসি ব্যাকস্লাইডিং ইন দ্য ওয়ার্ল্ডস লার্জেস্ট ডেমোক্রেসি’ শীর্ষক এই গবেষণাপত্র ২৫ জুলাই সোসাল সায়েন্স রিসার্চ নেটওয়ার্কে প্রকাশিত হয়। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডি তাঁর গবেষণার যোগ্যতা তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিবাদে অধ্যাপক দাস পদত্যাগ করেন এবং গভর্নিং বডি অত্যন্ত দ্রুততার সাথে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ কথা জেনে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি নস্কর ১৯ আগস্ট এক বিবৃতিতে বলেন, এটা শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাধিকার হরণের পরিকল্পনা। বিবৃতিতে তিনি বলেন, অধ্যাপক দাস তাঁর গবেষণাপত্রে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কী কৌশলে জিতেছিল তা এবং খুব কম মার্জিনে জেতা সিটের ক্ষেত্রে তাদের কারসাজি বস্তুনিষ্ঠ ভাবে বিশ্লেষণ করে দেখান। সে কারণেই তাঁর উপর কোপ পড়েছে। গবেষণার সময় শিক্ষাক্ষেত্রের স্বীকৃত কোনও রীতি-নীতি লঙ্ঘন না করা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডি অধ্যাপক দাসের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সব শিক্ষক শিক্ষাক্ষেত্রের স্বাধিকার নিয়ে সরব হয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের অবাধ গবেষণার অধিকারের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের স্বাগত জানিয়ে সমস্ত শিক্ষকের নিজের গবেষণার বিষয়বস্তু নির্বাচনের অধিকার দেওয়ার দাবি তুলেছে সেভ এডুকেশন কমিটি। অধ্যাপক দাসকে নিঃশর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর পদে ফেরানো এবং কোনও বিভাগের গবেষণার ক্ষেত্রে গভর্নিং বডির কোনও ভূমিকা না নেওয়ার দাবিও জানিয়েছে কমিটি।