শ্রেণিসংগ্রাম ও গণআন্দোলনকে শক্তিশালী করতে এস ইউ সি আই (সি) ১১৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে

শ্রেণিসংগ্রাম ও গণআন্দোলনকে শক্তিশালী করতে ২০টি রাজ্যে এবং ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে

 

এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)–এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ ১৩ মার্চ কলকাতায় কেন্দ্রীয় অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আসন্ন সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের দলীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন৷ এ প্রসঙ্গে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, নির্বাচেনর দিন ঘোষণার কয়েক মাস আগে থেকেই জাতীয় এবং আঞ্চলিক দলগুলি আগের মতো প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়ে এবং নানা প্রলোভনে ভোটারদের প্রতারিত করছে৷ একই সাথে একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে৷

 

রাজ্যভিত্তিক প্রার্থী
রাজ্য আসন রাজ্য আসন
পশ্চিমবঙ্গ ৪২ মধ্যপ্রদেশ
আসাম মহারাষ্ট্র
ওড়িশা পাঞ্জাব
বিহার রাজস্থান
উত্তরপ্রদেশ ত্রিপুরা
ছত্তিশগড় উত্তরাখণ্ড
দিল্লি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
গুজরাট পুদুচেরি
হরিয়ানা মোট ১১৯
ঝাড়খণ্ড  

বিধানসভা

কর্ণাটক
কেরালা
তামিলনাড়ু ওড়িশা ২৪
অন্ধ্রপ্রদেশ অন্ধ্রপ্রদেশ
তেলেঙ্গানা মোট    ২৭

সপ্তদশ–অষ্টাদশ–ঊনবিংশ শতকে উদীয়মান পুঁজিবাদ স্বৈরাচারী সামন্তী–ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করে বৈজ্ঞানিক চিন্তা, গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ধর্ম–মুক্ত সেকুলার মানবতাবাদের ধারণা, সাম্য–মৈত্রী–স্বাধীনতার ধারণা উর্ধে তুলে ধরেছিল এবং তার ভিত্তিতে বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন হয়েছিল৷ এই সময়েই পুঁজিবাদের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র কায়েম হয়৷ আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং প্রশাসন– রাষ্ট্রের এই তিনটি শাখার আপেক্ষিক স্বাধীনতা এবং প্রতিটি শাখার ক্ষমতার সীমা নির্ধারিত হয়৷ পুঁজিবাদের উদ্ভবের সেই সূচনা লগ্নে উদীয়মান, প্রগতিশীল বুর্জোয়ারা কিছু দূর অবধি এই নীতি নিয়ে চলেছিল৷ কিন্তু ইতিহাসের অমোঘ নিয়মে পুঁজিবাদ একচেটিয়া রূপ নিয়ে, সাম্রাজ্যবাদী স্তরে প্রবেশ করে এবং এর অবক্ষয়িত প্রতিক্রিয়াশীল চরিত্র উৎকটভাবে প্রকাশিত হতে থাকে৷ স্পষ্টতই আজ সব পুঁজিবাদী দেশের শাসকরা গণতান্ত্রিক অধিকার, মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক রীতি নীতি যা তারা এক সময় বহন করত, তাকে পদদলিত করছে৷ গণতান্ত্রিক অধিকারের ধারণা আজ একচেটিয়া পুঁজিপতিদের দ্বারা নির্মমভাবে জনগণকে কাঁচামাল হিসাবে শোষণ ও লুণ্ঠনের একচেটিয়া অধিকারে পর্যবসিত হয়েছে৷ গণতন্ত্রের বিঘোষিত স্লোগান ‘জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা, জনগণের’ শাসনের পরিবর্তে ‘পুঁজিপতিদের দ্বারা, পুঁজিপতিদের জন্য, পুঁজিপতিদের’ চূড়ান্ত শোষণ কায়েম হয়েছে৷ যুক্তিবাদী চিন্তা প্রক্রিয়া ধ্বংস করে দিয়ে ধর্মীয় অন্ধতার সঙ্গে আপস এবং ধর্মীয় উগ্রতা চাগিয়ে তোলা হচ্ছে৷ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, মতবাদিক সহনশীলতার মতো গণতান্ত্রিক ধারণাগুলি প্রায় বিলুপ্ত  হয়েছে৷ বিরোধী কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে৷ ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদ আন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমন করা হচ্ছে৷ পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি পার্লামেন্টারি ফ্যাসিস্ট অটোক্রেসিতে পর্যবসিত হয়েছে৷ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রূপে ও মাত্রায়৷ মাল্টি–পার্টি ডেমোক্রেসি (বহুদলীয় গণতন্ত্র) বাস্তবে টু–পার্টি ডেমোক্রেসি (দ্বিদলীয় গণতন্ত্রে) পরিণত হয়েছে৷

ভারত একটি পুঁজিবাদী–সাম্রাজ্যবাদী দেশ ছাড়া কিছু নয়৷ ফলে ভারতও পচাগলা প্রতিক্রিয়াশীল পুঁজিবাদের বীভৎস চরিত্র নিয়ে চলেছে৷ এদেশে নির্বাচনে কী ঘটছে? শাসক বুর্জোয়ারা নিজেদের রাজনৈতিক ম্যানেজার হিসাবে কখনও এই দল কখনও ওই দলকে বিশ্বাসযোগ্য হিসাবে অর্থ, পেশি, প্রচারমাধ্যম ও প্রশাসনিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সরকারি গদিতে বসাচ্ছে৷ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত শাসক দল পুঁজিপতিদের স্বার্থে জনবিরোধী নীতি নিয়ে চলতে থাকায় যখন মানুষের কাছে ধিক্কৃত হয়ে ওঠে এবং জনগণের ক্ষোভ যখন তাদের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হয়, তখন শাসক বুর্জোয়ারা নিজেরাই অন্য আর একটি বিশ্বস্ত দলকে নতুন রাজনৈতিক ম্যানেজার ঠিক করে নেয় এবং তাকে দিয়ে আগের ম্যানেজারকে ভোটের প্রহসনের মাধ্যমে সরিয়ে নতুন দলকে গদিতে বসায়৷ ফলে বিজেপি, কংগ্রেস ও অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলি পুঁজিপতিদের কেনা ভৃত্য ছাড়া আর কিছুই নয়৷ এতে কি পরিবর্তন হচ্ছে? সরকারের এই পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন এবং আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী খেলার দ্বারা জনগণের কী লাভ হচ্ছে? ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে, গরিব হচ্ছে আরও গরিব৷ ১ শতাংশ অতি ধনবানের হাতে কুক্ষিগত হয়েছে ৭৩ শতাংশ সম্পদ৷ বিশ্বের তিন ভাগের এক ভাগ গরিব আজ ভারতে বাস করে৷ প্রতিদিন ২০ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় কাটান৷ ন্যূনতম চিকিৎসা না পেয়ে প্রতিদিন চার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন৷ ক্লোজার, লক–আউট, কারখানা বন্ধ, শ্রমিক ছাঁটাই বেড়েই চলেছে৷ স্থায়ী কাজের জায়গা নিয়েছে কিছু চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কাজ৷ একচেটিয়া পুঁজিমালিক ও বহুজাতিক গোষ্ঠী মধ্য ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ধ্বংস করছে৷ বেকারি বেড়ে গেছে ভয়ঙ্কর হারে৷  সমগ্র দেশে ৭০ কোটির বেশি বেকার এবং অর্ধ–বেকার৷ এর উল্লেখযোগ্য প্রমাণ, উত্তরপ্রদেশে মাত্র ৩৬৮টি পিওন পদের জন্য ২৩ লক্ষ আবেদন পত্র জমা পড়া, যাদের মধ্যে ভালো সংখ্যক পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ও ডক্টরেট৷ রেলওয়ে বোর্ডের পরীক্ষায় ও অন্যান্য রাজ্যের পরীক্ষাতেও এই মর্মান্তিক চিত্র দেখা গেছে৷ উৎপাদিত ফসলের লাভজনক দাম না পাওয়ায় গরিব কৃষকরা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছে৷ এখনও পর্যন্ত, ৩ লাখ ৫০ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন৷ কালো টাকা উদ্ধারের নামে কার্যত কালো টাকার পরিমাণ দ্রুতগতিতে বাড়াবার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে৷ কেবলমাত্র কিছু চুনোপুটিকে জেলে পোরা হচ্ছে, রাঘববোয়ালরা পুঁজিপতি শ্রেণি এবং তাদের তাঁবেদার সরকারের আর্শীবাদধন্য হয়ে প্রচুর পরিমাণ কালো টাকা স্তূপীকৃত করছে৷ ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকট, বর্বর লুঠতরাজ, মূল্যবৃদ্ধি, ভিক্ষাবৃত্তি, পতিতাবৃত্তি, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, পাচার, অনার কিলিং, গণপিটুনি, মাইগ্র্যান্ট লেবার, পারিবারিক সম্পর্ক ধ্বংস হওয়া –সমস্ত কিছুই বিপজ্জনক হারে বেড়ে চলেছে৷ বুনিয়াদী স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে দ্রুতহারে৷ দেশের শোষিত মানুষের উপর চেপে বসা দুঃখ, অভাব, প্রতারণা, বঞ্চনার তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে চলেছে৷

নির্বাচন আজকের দিনে একটা প্রহসন ও বড় প্রতারণায় পরিণত হয়েছে৷ নির্বাচন কমিশনের নিয়ম–নীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ক্ষমতালোভী বুর্জোয়া দলগুলি বিশাল অর্থ ছড়িয়ে ভোট কেনে৷ জনগণের শোচনীয় দুর্দশা ও রাজনৈতিক অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তারা জনগণকে অর্থ  এবং অন্যান্য তুচ্ছ সুবিধার লোভ দেখায়৷ এই অসহায়, অসংগঠিত মানুষগুলি সহজেই তাদের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলে, মনে করে যতটুকু পাওয়া যায় তাই ভালো৷ নির্বাচনের পর তারা বুঝতে পারেন তারা কী দারুণ ভাবে প্রতারিত হয়েছেন, বাস্তবে কোনও পরিবর্তনই আসেনি৷ বরং তাদের জীবন আরও দুর্বিসহ হয়েছে৷

জাতীয় বা আঞ্চলিক দলগুলি যারাই এখন নির্বাচনী লড়াইতে অবতীর্ণ হয়েছে তারা হয় কেন্দ্রে, না হলে রাজ্যে কোনও না কোনও সময় সরকারি গদি দখল করেছে৷ দুর্নীতি যেহেতু অবক্ষয়িত পুঁজিবাদের বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে, এবং এ দেশে প্রায় তা যেন খুব স্বাভাবিক বিষয়  হয়ে পড়ছে৷ এই দলগুলির কোনওটিই এর থেকে মুক্ত নেই৷ তাদের এমএলএ–এমপিদের তারা জনপ্রতিনিধি হিসাবে তুলে ধরে৷ কিন্তু বিগত লোকসভায় ৫৪৫ জন এমপির মধ্যে ৪৪২ জন (৮২ শতাংশ) ছিলেন বহুকোটিপতি৷ সবচেয়ে ধনী এমপি ছিলেন ৬৮৩ কোটির মালিক৷ এরা কাদের প্রতিনিধি–দরিদ্র–শোষিত মানুষ, না মুষ্টিমেয় ধনকুবেরের? আগে মানুষ রাজনৈতিক নেতাদের শ্রদ্ধা করত৷ এখন তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার থেকে তারা রাজনৈতিক নেতাদের ঘৃণা করে৷ কেন এটা ঘটল? কারণ, একসময় যখন ধর্মীয় মূল্যবোধ ছিল প্রগতিশীল, তা বড় চরিত্রের জন্ম দিতে পেরেছিল৷ ধর্ম যখন সামন্ততান্ত্রিক প্রভুদের সেবায় নিয়োজিত হল তখন তা প্রতিক্রীয়াশীল হয়ে পড়ল, আর তা সমাজের নৈতিকতার উৎস হিসাবে কাজ করতে পারল না৷ তারপর গণতান্ত্রিক বিপ্লব, বুর্জোয়া মানবতাবাদ তার উন্মেষের কালে মহৎ চরিত্রের জন্ম দিয়েছিল৷ আমাদের দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতারাও উন্নত নৈতিকতা ও চরিত্রের অধিকারী ছিলেন৷ কিন্তু এখন পুঁজিবাদ নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত, জনবিরোধী হয়ে পড়েছে৷ তার আর কোনও নৈতিকতার বালাই নেই৷ স্বাভাবিকভাবেই এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার সেবাদাস নেতারা আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত, ভণ্ড এবং ঠকবাজে পরিণত হয়েছে৷ তারা এখন ব্যস্ত মদের দোকান খোলায়, লটারি–জুয়ার ব্যবসার প্রসারে, ফিল্ম–টিভি এবং অন্যান্য মাধমে অশ্লীলতা এবং সমস্ত ধরনের যৌন বিকৃতি, পচাগলা অপসংস্কৃতির বিস্তারের কাজে৷ মানবতার রেশটুকুকেও মারতে, মানুষকে অমানুষ করে তোলবার কাজে তারা সদা ব্যস্ত৷ জনগণ বিশেষত যুবশক্তি যাতে প্রতিবাদ ধ্বনিত করতে না পারে, যাতে তাদের শাসক শ্রেণির পেশিশক্তি হিসাবে কাজে লাগানো যায়, তার জন্য তাদের ভিতর থেকে সম্পূর্ণ ক্ষইয়ে দিতে এই নেতারা সর্বদা সচেষ্ট৷

দীর্ঘ সময় ধরে কংগ্রেস দেশকে শাসন করেছে৷ ‘সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের ব্যবস্থা’, ‘গরিবি হটাও’–এর মতো চটকদার স্লোগান দিয়ে ধূর্ততার সাথে তারা জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে৷ চরম জনবিরোধী এবং একচেটিয়া মালিক তোষণকারী নির্লজ্জ নীতির পাশাপাশি একের পর এক মারাত্মক দুর্নীতির ফলে তারা জনগণের কাছে ধিক্কৃত হয়ে পড়ার পর শাসক বুর্জোয়া শ্রেণি বিজেপিকে মদত দিয়ে সংসদীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরেছিল৷ বিজেপিও বিগত নির্বাচনের আগে ‘আচ্ছে দিনের’ মতো মিথ্যা প্রতিশ্রুতির পসরা সাজিয়েছিল৷ কিন্তু ৫ বছরের শাসনে দেশের পরিস্থিতি আরও দুঃসহ সংকটের স্তরে পৌঁছেছে৷ জনগণের দুঃখ–যন্ত্রণা বেড়েছে বহুগুণ৷ স্মরণ করা যেতে পারে, বিজেপির অভিভাবক আরএসএস জাতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোপুরি বিরোধিতা করেছে৷ আরএসএসের গুরু এম এস গোলওয়ালকর সুনির্দিষ্ট করে বলেছিলেন,  ব্রিটিশ বিরোধী ভৌগলিক জাতীয়তাবাদ জনগণকে হিন্দু জাতীয়তাবাদের ইতিবাচক এবং উদ্দীপনাময় প্রভাব থেকে বঞ্চিত করছে৷ তাঁর মতে জাতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন এবং তার নেতারা ও শহিদরা ছিলেন প্রতিক্রিয়াশীল, বিশ্বাসঘাতক, দেশপ্রেমিক নন৷ বাস্তবে আরএসএস পুরোপুরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সাথে সহযোগিতা করে চলেছিল৷ সেই একই আরএসএস–বিজেপি এখন নিজেদের জাতীয়তাবাদী এবং দেশপ্রেমিক বলে দাবি করছে৷

মার্কসবাদী হিসাবে আমরা নিরীশ্বরবাদী৷ কিন্তু আমরা এ বিষয়ে সচেতন যে, ধর্মের প্রগতিশীল যুগে সমস্ত ধর্মীয় প্রবক্তারা মহৎ মানুষ ছিলেন৷ তাঁরা তৎকালীন শাসকদের শত অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সমাজের স্বার্থে লড়েছিলেন, এমনকী প্রাণ পর্যন্ত দিয়েছেন৷ তাঁরা কেউ কখনও অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা ছড়াননি৷ অথচ এখন আরএসএস–বিজেপি ঠিক তার বিপরীত কাজ করছে৷ তারা ধর্মের নামে ঘৃণা–বিদ্বেষ প্রসারে মদত দিচ্ছে৷ চৈতন্য, রামকৃষ্ণ এবং বিবেকানন্দ কি বাবরি মসজিদ ভেঙে সেখানে রামমন্দির করার ডাক দিয়েছিলেন? রামের জন্মস্থানেই বাবরি মসজিদ বানানো হয়েছে, তুলসীদাসের রামচরিতমানসে এমন কোনও উল্লেখ আছে? ঘটনা হল, কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীই বাবরি মসজিদের তালা খুলে সেখানে রামপুজার অনুমোদন দিয়েছিল ভোটের স্বার্থে৷ সবাই জানে, তার সম্পূর্ণ সুযোগ নিয়েছিল হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তি আরএসএস–বিজেপি৷ যার পরিণামে দেশময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল৷ কত নিরপরাধ প্রাণ চলে গিয়েছে, কত পরিবার ঘরছাড়া হয়েছে, কত মহিলা ধর্ষিতা হয়েছেন৷ সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এক ধর্মের প্রতি অন্য ধর্মের বিশ্বাসকে নষ্ট করছে, তারা এখন পরস্পর হানাহানি করছে৷ অথচ তারা উভয়েই পুঁজিবাদের নির্মম শোষণে নিস্পেষিত৷ কে না জানে যে, এগুলো সবই হল ধর্মীয় মেরুকরণের দ্বারা ভোটে ফায়দা তোলার এবং একই সাথে জনতার গণতান্ত্রিক ঐক্যকে ধ্বংস করার জঘন্য কৌশল? প্রায়ই এই নেতারা ধর্ম–বর্ণ–জাতপাতে নামে দাঙ্গা লাগায়৷ দলিত এবং ট্রাইবাল সম্প্রদায়ও নির্যাতিত ও অবদমিত৷

এছাড়াও, তারা ধ্বংস করছে বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনাকে এবং উৎসাহ দিচ্ছে ধর্মান্ধতাকে, যাতে দেশে ফ্যাসিবাদী মনন গড়ে উঠতে পারে৷ যাতে মানুষ মনে করে, ‘বিধাতার বিধানেই জীবন চলছে’ এবং পূর্বজন্মের পাপই তাদের সব দুঃখ–কষ্টের কারণ, আর ধনী আরও ধনী হচ্ছে ভগবানের আশীর্বাদে৷

এখন যেহেতু বিজেপি ধিক্কৃত হচ্ছে, ফলে ফের কংগ্রেসকে বিকল্প হিসাবে আনার উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে৷ কিন্তু তারা তো একই মুদ্রার এপিঠ–ওপিঠ৷ কংগ্রেস কখনও সেকুলার ছিল না৷ স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় তাদের নেতারা সংস্কারবাদী–বিরুদ্ধ ভূমিকা পালন করে ধর্মীয় চিন্তাকে উৎসাহিত করেছে এবং মূলত হিন্দু ধর্মকেই প্রাধান্য দিয়েছে৷ ফলে, সেকুলার চিন্তা গড়ে ওঠার পরিবর্তে ভারতীয় জাতীয়তাবাদ হয়ে পড়েছে হিন্দুধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ৷ একমাত্র নেতাজি সুভাষচন্দ্র, ভগৎ সিং, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, প্রেমচন্দ, সুব্রমনিয়া ভারতী, নজরুল প্রমুখ ছিলেন ব্যতিক্রম৷ কংগ্রেস রাউরকেলা, ভাগলপুর, নেলি এবং দিল্লিতে দাঙ্গা করিয়েছে৷ কংগ্রেস সভাপতি বিজেপি নেতাদের সাথে প্রতিযোগিতা করে মন্দিরে মন্দিরে গিয়ে নরম হিন্দুত্ব ছড়াচ্ছেন৷ এই কংগ্রেসই জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, একাধিক কালা–কানুন যথা, টাডা, মিশা, এসমা ইত্যাদি চালু করেছে৷ বহু গণআন্দোলন নির্মম ভাবে দমন করেছে, বহু চাষি, শ্রমিক, ছাত্র–যুবককে খুন করেছে৷ ফলে, এই কংগ্রেস কখনোই গণতান্ত্রিক ও সেকুলার নয়৷ এটা খুবই বেদনাদায়ক বিষয় যে, এই কংগ্রেসকেই সিপিআই–সিপিএম গণতান্ত্রিক ও সেকুলারের তকমা লাগাচ্ছে৷ সিপিআই (এম) এর আগে নিছক নির্বাচনী স্বার্থে ১৯৭৭ সালে, কংগ্রেসের স্বৈরাচার বিরোধিতার নামে জনতা পার্টির হাত ধরেছিল– যে জনতা পার্টিতে ছিল আরএসএস–জনসংঘের মতো দল৷ পরে এই সিপিএমই বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে কেন্দ্রে ভি পি সিং কে প্রধানমন্ত্রী করেছিল৷ আর এখন সিপিএম কংগ্রেসের সাথে জোট করছে বিজেপির সাম্প্রদায়িকতাকে রোখার নামে৷ বিপ্লবী রাজনীতি তো দূরের কথা, এমনকী বামপন্থার সাথেও এই নগ্ন সুবিধাবাদের কোনও সম্পর্ক নেই৷

ইতিমধ্যে জনগণের ক্ষোভের স্বতঃস্ফূর্ত বিস্ফোরণ ঘটছে বিচ্ছিন্ন বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে৷ আমাদের পার্টির দৃঢ় অভিমত, এখন সবচেয়ে প্রয়োজনীয় কর্তব্য হল, এই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনগুলিকে সাংগঠনিক রূপ দেওয়া এবং সঠিক দিশা দেখানো৷ একই রকম প্রয়াজন হল, জনজীবনের জ্বলন্ত সমস্যাগুলিকে নিয়ে শ্রেণি সংগ্রাম এবং গণসংগ্রামগুলিকে গড়ে তোলা ও তীব্র করা৷ উপরন্তু বুর্জোয়া দলগুলি এখন পরস্পর বিবাদে লিপ্ত৷ আঞ্চলিক এবং জাতীয় পুঁজির দ্বন্দ্ব তীব্র আকার নিয়েছে৷ এমনকী একচেটিয়া পুঁজিপতি গোষ্ঠীগুলিও বিভিন্ন অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ইসুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে৷ এমন একটি অনুকূল পরিস্থিতি বুর্জোয়া ভোট রাজনীতির বিকল্প হিসাবে শক্তিশালী বামপন্থী আন্দোলন গড়ে তোলাই দাবি করে৷ এই পরিস্থিতিতে আমরা তাদের কাছে যৌথ ভাবে শক্তিশালী শ্রেণি সংগ্রাম ও গণসংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলাম৷ কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে৷ সামান্য কয়েকটা সিটের জন্য সিপিএম–সিপিআই সংগ্রামী বামপন্থার রাস্তা পরিত্যাগ করে লজ্জাজনকভাবে কংগ্রেসের এবং আঞ্চলিক বুর্জোয়া দলগুলির লেজুড়বৃত্তি করছে এবং এইভাবে বামপন্থাকে আরও দুর্বল ও কলঙ্কিত করছে৷

আমাদের দল নিজস্ব সাংগঠনিক ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে রাজ্যে রাজ্যে জনগণের গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলিকে নিয়ে শ্রেণি সংগ্রাম ও গণসংগ্রামগুলি গড়ে তুলছে৷ এই চলমান সংগ্রামের অংশ হিসাবেই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি৷ আমরা জনগণের সামনে এই ঐতিহাসিক সত্য তুলে ধরব যে, নিছক সরকার পরিবর্তনের দ্বারা তাদের জীবনের সমস্যাগুলির কোনও সুরাহা হবে না৷ পুঁজিবাদী ভয়ঙ্কর নিষ্পেষণ থেকে মুক্তি আসতে পারে একমাত্র পুঁজিবাদ বিরোধী সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন করার দ্বারা৷ এই বিপ্লবের প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করতে প্রয়োজন শ্রেণি সংগ্রাম ও গণসংগ্রামগুলিকে সঠিক রাস্তায় এবং সর্বহারা বিপ্লবী মতাদর্শ ও উচ্চ সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা এবং সেগুলিকে তীব্র করা৷ আমাদের কোনও প্রার্থী যদি জেতেন তবে তিনি সাহসিকতার সাথে পার্লামেন্টের অভ্যন্তরে জনগণের দাবিতে সোচ্চার হবেন, জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে বলিষ্ঠভাবে দাঁড়াবেন৷ এইভাবে পার্লামেন্টের অভ্যন্তরের এবং বাইরের সংগ্রামের সমন্বয় ঘটাবেন৷

 

শ্রেণি সংগ্রাম ও গণ আন্দোলন তীব্রতর করতে এসইউসিআই (সি) প্রার্থীদের জয়ী করুন

আসাম তেলেঙ্গানা
১. করিমগঞ্জ প্রভাস সরকার ১.সেকেন্দ্রাবাদ সি এইচ প্রমীলা
২. শিলচর শ্যামদেও কুর্মী ২.মেডক কে ভরতেশ
৩. ধুবড়ি সুরতজামান মণ্ডল ত্রিপুরা
৪. বরপেটা হুসনেজাহা বেগম (ইনা হুসেন) ১. ত্রিপুরা পশ্চিম অরুণকুমার ভৌমিক
৫. মঙ্গলদই স্বর্ণলতা চালিয়া উত্তরপ্রদেশ
৬. লখিমপুর হেমকান্ত মিরি ১. মোরাদাবাদ বিজয়পাল সিং
অন্ধ্রপ্রদেশ ২. প্রতাপগড় শেষনাথ তিওয়ারি
১. কারনুল এম নাগান্না ৩. ঘোষী সুরজিৎলাল শ্রীবাস্তব
২. অনন্তপুর জি ললিতা ৪. জৌনপুর অশোককুমার খারওয়ার
আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জ উত্তরাখণ্ড
১. আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ বলরাম মান্না  ১. গাড়ওয়াল মুকেশ সেনওয়াল
বিহার পশ্চিমবঙ্গ
১. মুজফফরপুর মহম্মদ ইদ্রিস ১. কোচবিহার প্রভাত রায়
২. বৈশালী নরেশ রাম ২. আলিপুরদুয়ার রবিচন্দ্র রাভা
৩. হাজিপুর জিয়শ পাশওয়ান ৩. জলপাইগুড়ি হরিভক্ত সরদার
৪. ভাগলপুর দীপক কুমার ৪. দার্জিলিং তন্ময় দত্ত
৫. মুঙ্গের জ্যোতি কুমার ৫. রায়গঞ্জ সুজনকৃষ্ণ পাল
৬. পাটনা সাহিব  অনামিকা ৬. বালুরঘাট নুরুল হক
৭. জেহানাবাদ উমাশঙ্কর ভার্মা ৭. মালদা উত্তর   সুভাষ সরকার
৮. জামুই পঙ্কজ কুমার দাস ৮. মালদা দক্ষিণ অংশুধর মণ্ডল
ছত্তিশগড় ৯. জঙ্গিপুর সামিরুদ্দিন
১. দুরগ আত্মারাম সাহু ১০. বহরমপুর আনিসুল আম্বিয়া
২. রাইপুর দেবেন্দ্র পাতিল ১১. মুর্শিদাবাদ বকুল খন্দকার
৩. কঙ্কার লক্ষ্মী কুরেটি ১২. কৃষ্ণনগর সেখ খোদাবক্স
দিল্লি ১৩. রানাঘাট পরেশচন্দ্র হালদার
১. চাঁদনি চক ঋতু কৌশিক ১৪. বনগাঁ স্বপন মণ্ডল
২. দিল্লি পূর্ব ম্যানেজার চৌরাসিয়া ১৫. ব্যারাকপুর প্রদীপ চৌধুরী
গুজরাট ১৬. দমদম তরুণ দাস
১. ভদোদরা তপন দাশগুপ্ত ১৭. বারাসাত তুষার ঘোষ
২. নবসারি পরে ঘোষিত হবে ১৮. বসিরহাট অজয় বাইন
হরিয়ানা ১৯. জয়নগর জয়কৃষ্ণ হালদার
১. সোনিপত বলবীর সিং ২০. মথুরাপুর পূর্ণচন্দ্র নাইয়া
২. রোহতক জয়করণ ২১. ডায়মন্ডহারবার অজয় ঘোষ
৩.ভিওয়ানি মহেন্দ্রগড় ওমপ্রকাশ ২২. যাদবপুর সুজাতা ব্যানার্জী
৪. গুরগাঁও স্বরণ কুমার ২৩.কলকাতা দক্ষিণ দেবব্রত বেরা
ঝাড়খণ্ড ২৪.কলকাতা উত্তর বিজ্ঞান বেরা
১.ধানবাদ রামলাল মাহাতো ২৫. হাওড়া শানওয়াজ
২.রাঁচি সিদ্ধেশ্বর সিং ২৬. উলুবেড়িয়া মিনতি সরকার
৩.জামশেদপুর পানমনি সিং ২৭. শ্রীরামপুর প্রদ্যোৎ চৌধুরী
৪.সিংভূম চন্দ্রমোহন হেমব্রম ২৮. হুগলি ভাস্কর ঘোষ
৫. হাজারিবাগ রাজেশ রঞ্জন ২৯. আরামবাগ প্রশান্ত মালি
কর্ণাটক ৩০. তমলুক মধুসূদন বেরা
১. গুলবরগা এস এম শর্মা ৩১. কাঁথি মানস প্রধান
২. রায়চুর কে সোমশেখর ৩২. ঘাটাল দীনেশ মেইকাপ
৩. বেলারি দেবদাস ৩৩. ঝাড়গ্রাম সুশীল মাণ্ডি
৪.   ধারওয়াড় গঙ্গাধর বাদিগর ৩৪. মেদিনীপুর তুষার জানা
৫. দেবানগিরি মধু ৩৫. পুরুলিয়া রঙ্গলাল কুমার
৬. মাইসোর সন্ধ্যা ৩৬. বাঁকুড়া তন্ময় মণ্ডল
৭.বাঙ্গালোর গ্রামীণ টি সি রামা ৩৭. বিষ্ণুপুর অজিত বাউরি
৮.বাঙ্গালোর সেন্ট্রাল সমর্থিত প্রার্থী ৩৮. বর্ধমান পূর্ব নির্মল মাঝি
কেরালা ৩৯.বর্ধমান–দুর্গাপুর সুচেতা কুণ্ডু
১. কন্নুর আর অপর্ণা ৪০. আসানসোল অমর চৌধুরী
২. কোঝিকোড় এ শেখর ৪১. বোলপুর বিজয় দলুই
৩. চালাক্কুডি সুজা অ্যান্টনি ৪২. বীরভূম আয়েষা খাতুন
৪.   কোট্টায়ম ই ভি প্রকাশ বিধানসভার প্রার্থী তালিকা
৫.  আলেপ্পুঝা আর পার্থসারথি ওড়িশা
৬. মভেলিক্কারা কে বিমলজি ১. রাজগাঙ্গপুর লিওনি টিকে
৭. পাথানামথিট্টা বিনু বেবি ২. আনন্দপুর অনমচরণ মুখী
৮. কোল্লাম টুইঙ্কল প্রভাকরণ ৩. পাটনা বেনুধর সরদার
৯. তিরুবনন্তপুরম এস মিনি ৪. যোশীপুর শম্ভুনাথ নায়েক
মধ্যপ্রদেশ ৫. বাংরিপোসী পীতাম্বর নায়েক
১.গোয়ালিয়র সুনীল গোপাল ৬. কারঞ্জিয়া বাজুরাম সিধু
২. গুনা মনীশ শ্রীবাস্তব ৭. ভাণ্ডারিপোখারি দিগম্বর সোয়াইন
৩. ভোপাল জে সি বরাই ৮. বিঞ্ঝারপুর রাধাভল্লভ মল্লিক
মহারাষ্ট্র ৯. ধরমশালা মধুমিতা সাহু
১. রামতেক শৈলেশ জনবন্ধু ১০. পাল্লাহারা নির্মলা প্রধান
ওড়িশা ১১. তালচের প্রহ্লাদ সাহু
১. সুন্দরগড় জাস্টিন লুগুন ১২. অনগুল মন্দোদরী রাউত
২. সম্বলপুর নবকিশোর প্রধান ১৩. চেন্দীপাড়া ভরতকুমার নায়েক
৩. ভদ্রক কীর্তন মল্লিক ১৪. অথমল্লিক রমনীরঞ্জন প্রধান
৪. জাজপুর সুভাষ মল্লিক ১৫. বীরমহারাজপুর নিত্যানন্দ মল্লিক
৫. ঢেঙ্কানল মানসী সোয়াইন ১৬. বাঁকি অরবিন্দ বেহারা
৬. বোলাঙ্গির হ্রুদানন্দ কারুয়ান ১৭. বারবাটি কটক প্রতাপচন্দ্র মিশ্র
৭. কটক রাজকিশোর মল্লিক ১৮.চৌদুয়ার কটক পাভেল প্রিয়দর্শন
৮. বেরহামপুর সোমনাথ বেহেরা ১৯. কটক সদর সস্মিতা মহান্তি
পুদুচেরি ২০. পিপিলী পদ্মচরণ জেনা
১. পণ্ডিচেরি মুটু ২১. হিঞ্জিলী ডি তিরুপ্তি ডোরা
পাঞ্জাব ২২. গোপালপুর পি শিবপ্রসাদ রেড্ডি
১. ভাতিন্দা স্বরণ সিং ২৩. বেরহামপুর শিবনীশঙ্কর মিশ্র
রাজস্থান ২৪. কোরাপুট রামচন্দ্র বারিক
১. জয়পুর কুলদীপ সিং অন্ধ্রপ্রদেশ
তামিলনাড়ু ১.গুন্টুর পশ্চিম এম বাসভ রাজু
১. চেন্নাই উত্তর জে সেবাস্টিন ২. অনন্তপুর ডি রাঘেবন
২. চেন্নাই দক্ষিণ এস সাইকুমার ৩. হিন্দুপুর অশোক
৩. থেনি টি চিন্নাসাথিয়ামূর্তি
৪. সালেম পি মোহন

(গণদাবী : ৭১ বর্ষ ৩১ সংখ্যা)