বাতি জ্বালানোর নিদান, সরকারি অপদর্থতা ঢাকবার চতুর প্রচেষ্টা

প্রভাস ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক, এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) এক বিবৃতিতে বলেন,

‘‘করোনা (কভিড-১৯) ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে। এও জানা গিয়েছে যে এই রোগের পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিটস্, পরীক্ষাকেন্দ্র, রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটর এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ডাক্তার ও নার্সদের জন্য সুরক্ষার জন্য পিপিই প্রবল অভাব রয়েছে।
অন্যদিকে যে দেশে প্রতিদিন বহু মানুষ অনাহারে মারা যায়, সেখানে কোটি কোটি কর্মহীন শ্রমিক, পরিযায়ী মজুর, রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও গৃহপরিচারিকা ক্ষুধার জ্বালায় চটফট করছে এবং অনেকেই কাজ ও খাদ্যের অভাবে অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে এটা বেদনাদায়ক যে এর ফলে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা বহুগুন বেড়ে যাবে।

রানিকুঠি, কলকাতা

সাধারণ মানুষ আশা করেছিল এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৩রা এপ্রিল, ২০২০ প্রধানমন্ত্রী এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করবেন। কিন্তু পরিবর্তে তিনি যে ঘোষণা করলেন সেটা শুধু হতাশা জনক নয়, বাস্তবে এটা একটা নিষ্ঠুর পরিহাস। তিনি জনগণকে ৫ ই এপ্রিল রাত্রি ৯টায় ৯ মিনিটের জন্য ঘর অন্ধকার করে টর্চ লাইট বা মোমবাতি ইত্যাদি জ্বালিয়ে ঘরের দরজায় দাঁড়াতে বললেন।
এটা কোন বিজ্ঞান বা চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রেসক্রিপসান(!) এটা হল অত্যন্ত সুচতুর পরিকল্পনা যাতে সরকারের প্রকৃত দায়িত্ব পালন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ধর্ম্মীয় কুসংস্কার এবং সরকার ও সরকারি দলের প্রতি অন্ধ আনুগত্যের দিকে সাধারণ মানুষকে পরিচালিত করা যায়, ঠিক এই উদ্দেশ্যেই কয়েকদিন আগে জনগণকে কাঁসর ঘন্টা বাজানো এবং হাততালি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন।
জনগণের প্রতি আমাদের আবেদন সতর্ক থাকুন, বর্তমান গুরুতর পরিস্থিতির মোকাবিলায় যথার্থ বিজ্ঞান সম্মত পদক্ষেপ নিতে সরকারকে বাধ্য করুন। ”