মোদিজির আসল ‘ভাইয়োঁ ঔর বহেনোঁ’ কারা

 

সংবাদপত্র আর টিভি চ্যানেলগুলিতে এখন প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের বন্যা বইছে৷ আর সেগুলিতে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছড়াচ্ছেন তিনি৷ বলছেন, আর একবার আমাদের সুযোগ দেওয়া হোক৷ এবার আমরা মানুষের জন্য কাজ করব৷ তিনি বলেছেন, ‘‘২০১৪–র ভোট ছিল আশা–আকাঙক্ষার৷ ২০১৯–এর ভোট হল আত্মবিশ্বাস ও অগ্রগতির৷’’ কার অগ্রগতির কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী? তা কি দেশের নিরানব্বই ভাগ সাধারণ মানুষের? কী উন্নয়ন গত পাঁচ বছরে তাঁদের জীবনে নিয়ে এসেছেন তাঁরা? তার হিসেব তাঁরা দিচ্ছেন না কেন? তা দিলে তো দেশের মানুষ বুঝে নিতেন কার কোন অগ্রগতির কথা তাঁরা বলছেন৷

গত লোকসভা নির্বাচনে কল্পতরু সেজেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে মানুষ সব পাবে৷ একচেটিয়া পুঁজির মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম তাঁর নাম দিয়েছিল ‘বিকাশ পুরুষ’৷ প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মূল্যবৃদ্ধি রোধ হবে, দুর্নীতি দূর হবে, কালো টাকা উদ্ধার হবে, দেশের সব মানুষ তার ভাগ পাবে, বেকাররা কাজ পাবে, শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার পাবে, কৃষকরা ফসলের ন্যায্য দাম পাবে, সবার জীবনে সুদিন আসবে, এরকম আরও কত কী!

এ বারের নির্বাচনটা তো হওয়া উচিত ছিল প্রতিশ্রুতিগুলি প্রধানমন্ত্রী কতটা কার্যকর করেছেন তা যাচাইয়ের উপর৷ অথচ প্রধানমন্ত্রী কিংবা তাঁর দলের নেতারা কিন্তু সে–হিসেবের ধারকাছ দিয়েও যাচ্ছেন না৷ মানুষ অবশ্য তাদের জীবনের অভিজ্ঞতায় পরিষ্কার বুঝেছে, বিজেপি শাসনে তাদের জীবনে কোনও সুদিন আসেনি, বরং দুর্গতি অনেক বেড়েছে৷ শুধু ধনীরাই আরও ধনী হয়েছে৷ রোধ দূরের কথা, মূল্যবৃদ্ধি লাগামছাড়া হয়েছে৷ একটি কালো টাকাও উদ্ধার হয়নি৷ একজন কালো টাকার মালিকও গ্রেপ্তার হয়নি৷ উপরন্তু পুঁজিপতিরা লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কগুলি থেকে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে৷ কাউকে গ্রেফতার করেনি সরকার৷ বেকারদের জন্য বছরে দু’কোটি কাজের প্রতিশ্রুতি কত বড় মিথ্যাচার তা আজ প্রমাণিত৷ গত পঁয়তাল্লিশ বছরে বেকারি সর্বোচ্চ আকার নিয়েছে৷ কৃষকের আত্মহত্যা বন্ধে সরকারের কোনও পদক্ষেপ নেই৷ সার, বীজ, বিদ্যুৎ, কীটনাশকের দাম কমানোর, কৃষিপণ্যের একচেটিয়া ব্যবসায়ী দেশি–বিদেশি পুঁজিপতিদের হাত থেকে কৃষককে বাঁচানোর কোনও চেষ্টা নেই৷ তাঁরা নাকি ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করে দেবেন৷ কী ভাবে করবেন, তা তারাও জানেন না, দেশের কৃষকরাও জানে না৷ নোট বাতিল এবং জিএসটি চালু করে প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের প্রয়োজনে একে বিরাট পদক্ষেপ বলেছিলেন৷ অর্থনীতিতে তার ফল দেশের মানুষের জীবনে কী প্রভাব ফেলেছে নির্বাচনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী সে প্রসঙ্গ সাবধানে এড়িয়ে যাচ্ছেন৷ কারণ নোট বাতিলে কালো টাকার মালিকদের গায়ে আঁচড়টিও পড়েনি৷ কিন্তু শ্রমিক, কৃষক সহ সাধারণ মানুষ, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের যে সর্বনাশ হয়েছে আজও তারা তা কাটিয়ে উঠতে পারেনি৷ একই ভাবে জিএসটি ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের উপর বিরাট বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে৷ বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে তারা, প্রধানমন্ত্রীর কোনও বক্তৃতার মলমই তাদের সেই ক্ষত সারাতে পারছে না৷

বিজেপি নেতারা বুঝে গেছেন তাঁদের মিথ্যাচার ধরা পড়ে গেছে৷ দেশের মানুষ তাঁদের আর বিশ্বাস করছে না৷ তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ তাই জীবনের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি এড়িয়ে উগ্র জাতীয়তাবাদের জিগির তুলছেন, বিভাজন, বিদ্বেষকেই হাতিয়ার করছেন বিজেপি নেতারা৷ ধর্মকে, জাতপাতকে কেন্দ্র করে এক দল শোষিত মানুষের বিরুদ্ধে আর এক দল শোষিত মানুষকে তারা খেপিয়ে তুলছে, দাঙ্গা বাধাচ্ছে৷

বিজেপি শাসনে মানুষের দারিদ্র আরও বেড়েছে, বেকারি বেড়েছে, আরও মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে, আরও কলকারখানা বন্ধ হয়েছে৷ হ্যাঁ, অগ্রগতি কি হয়নি? অবশ্যই হয়েছে৷ তা দেশের নিরানব্বই ভাগ সাধারণ মানুষের নয়, এক ভাগ শিল্পপতি–পুঁজিপতির৷ সরকার না দিলেও তার স্পষ্ট হিসাব দেশের মানুষের হাতে রয়েছে– যাকে কোনও ভাবেই প্রধানমন্ত্রী কিংবা তাঁর দল আড়াল করতে পারছে না৷ পুঁজিপতিদেরই একটি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম তাদের রিপোর্টে দেখিয়েছে, ভারতের মোট সম্পদের ৭৩ শতাংশই কুক্ষিগত করেছে মাত্র ১ শতাংশ পুঁজিপতি৷ বিজেপি নেতারা বলতে পারেন, এ তো স্বাধীনতার পর থেকে দেশ যে নিয়মে চলছে তার ফল৷ ঠিকই, পুঁজিপতি শ্রেণির এই অবাধ লুণ্ঠনকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে দেশের শাসন প্রক্রিয়ায়, দেশের আইনে, সংবিধানে৷ কিন্তু যে নরেন্দ্র মোদি সবার বিকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ছাপান্ন ইঞ্চির ছাতি চাপড়ে সবার  জন্য সুদিন আনার কথা বলেছিলেন তাঁর রাজত্বে সেই লুণ্ঠন প্রক্রিয়া কি বন্ধ হয়েছে? বন্ধ হওয়া দূরের কথা, এ যাবৎ কালের মধ্যে পুঁজিপতিদের লুঠতরাজ সবচেয়ে তীব্র আকার নিয়েছে গত পাঁচ বছরের বিজেপি শাসনে৷ কেমন তা? উপরোক্ত রিপোর্ট বলছে, ২০১৭ সালে যেখানে দেশের ধনকুবেরদের সম্পদের পরিমাণ ছিল ২৩ লক্ষ ১৮ হাজার কোটি টাকা, মাত্র এক বছরে, ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৩১ লক্ষ ৩৪ হাজার কোটি টাকা৷ প্রতিদিন তাঁদের সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ২২০০ কোটি টাকা৷ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষ যখন মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি, ছাঁটাইয়ের আক্রমণে জর্জরিত, দুবেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করতে হিমসিম খাচ্ছে, তখন পুঁজিপতিদের এই অস্বাভাবিক সম্পদবৃদ্ধি ২০০৮ সালে বিশ্বজুড়ে মন্দার পর কোনও বছরে বিশ্বে সর্বাধিক৷

দেশের সম্পদের এই নির্বিচার লুঠতরাজের সুযোগ পুঁজিপতিদের তো করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর সরকারই৷ আর জনগণের জন্য কী করেছে তাঁর সরকার? দেশের সম্পদের মাত্র ৪.৮ শতাংশ রয়েছে ৬০ শতাংশ মানুষের হাতে৷ এই সীমাহীন বৈষম্য ঘোচানোর কোনও উদ্যোগই নেয়নি মোদি সরকার৷ আর্থিক বৈষম্য ঘোচানোর উদ্যোগের দিক থেকে মোদির ভারত বিশ্বে ১৫৭টি দেশের মধ্যে ১৪৭ নম্বরে৷ স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের খরচের দিক থেকে ভারত বিশ্বে ১৫১ নম্বরে৷ তা হলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী বক্তৃতায় যে আত্মবিশ্বাস ও অগ্রগতির কথা বলছেন তা কাদের? অবশ্যই দেশের একচেটিয়া পুঁজিপতিদের৷ কারণ একমাত্র তাঁদেরই অগ্রগতি ঘটেছে৷ স্বাভাবিক ভাবেই নরেন্দ্র মোদির শাসনে তাঁদের আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে৷ তিনি জনগণকে যতই ‘ভাইয়োঁ ঔর বহেনোঁ’ সম্বোধন করুন, তাঁর আসল ভাই তো আম্বানি টাটা আদানি নীরব মোদি মেহুল চোকসিরা৷ তাই তো গত লোকসভা নির্বাচনে এইসব শিল্পপতি–পুঁজিপতির তাঁদের ‘বিকাশ পুরুষ’ নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর দলকে জেতাতে পুঁজি একেবারে ঢেলে দিয়েছিল এবং এবারও দিয়েছে৷ দেশের সমস্ত খবরের কাগজে প্রতিদিন পাতার পর পাতা, চ্যানেলগুলিতে ঘন্টার পর ঘন্টা, মোবাইলে মুহূর্মুহূ এস এম এসের প্রচারের জন্য হাজার হাজার কোটি খরচের টাকা তো তারাই জুগিয়েছিল, গত পাঁচ বছরে তার বহুগুণ তাদের উশুল করে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বিজেপি সরকার৷ তাই তো দেশের মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে থাকলেও, বিনা চিকিৎসায় ধুঁকলেও তাদের মুনাফা আকাশ ছুঁয়েছে৷ ফলে বিজেপি শাসনে কাদের অগ্রগতি ঘটেছে তা বুঝতে দেশের মানুষের বাকি নেই৷

বিজেপি নেতারাও বুঝে গেছেন ওই আচ্ছে দিনের বুজরুকি এবার আর কাজ দেবে না৷ তাই মানুষের জীবনের জ্বলন্ত সমস্যাগুলিকে ঢাকতে তাঁরা এবার উগ্র জাতীয়তাবাদের জিগিরকে হাতিয়ার করেছেন৷ সাথে রয়েছে গোয়েবলসীয় কায়দায় মিথ্যাচার৷ অর্থাৎ মিথ্যা কথাকে জোরের সাথে বলতে থাকলে, বারে বারে বললে মানুষ প্রাথমিক ভাবে তা বিশ্বাস করে ফেলবে৷ সেই বিশ্বাসকে পুঁজি করে ভোটে জিততে পারলেই শাসন ক্ষমতা হাতের মুঠোয়৷ প্রধানমন্ত্রী এই সাক্ষাৎকারে নিজেই বলেছেন, ‘‘আমার যে কোনও বত্তৃণতা খতিয়ে দেখুন, তার একটা বড় অংশ কিন্তু উন্নয়নের কথা বলে৷’’ অর্থাৎ মানুষের বাস্তব জীবনে উন্নয়নের চিহ্ণমাত্র না থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় উন্নয়নের ছড়াছড়ি৷ এমনি করেই মানুষের জীবনের এক মিথ্যা চিত্রকে তাঁরা জোরের সঙ্গে তুলে ধরছেন৷ আর তাকেই দেশময় ছড়িয়ে দিচ্ছে বিজেপির আসল পরিচালক যে পুঁজিপতি শ্রেণি, তাদের পরিচালিত সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেলগুলি৷

প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘যে সব অশুভ শক্তি ভারতকে দুর্বল করছে তাদের বিরুদ্ধেই আমার চ্যালেঞ্জ৷’ কোন অশুভ শক্তি ভারতকে দুর্বল করছে? একশো তিরিশ কোটি ভারতবাসীর নিরানব্বই ভাগ সাধারণ মানুষ একবাক্যে বলবেন, দারিদ্র, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি, দুর্নীতি, পুঁজিপতিদের বেপরোয়া লুঠপাটই ভারতকে তথা ভারতের মানুষকে দুর্বল করছে৷ প্রধানমন্ত্রী কি এই অশুভ শক্তিগুলির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন? একেবারেই না৷ বরং অত্যন্ত সাবধানে, চালাকির মধ্য দিয়ে, কথার কারসাজিতে এই সব আসল অশুভ শক্তিগুলির বিরুদ্ধে লড়াইটাকে তাঁরা এড়িয়ে যাচ্ছেন৷ পরিবর্তে দেশের মানুষের সামনে কিছু কাল্পনিক অশুভ শক্তি খাড়া করছেন৷

 জওয়ানদের মৃত্যু নিয়ে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপি নেতারা ভোটের রাজনীতি করছেন, এ দেশে তা নজিরবিহীন৷ দেশের মানুষ জওয়ানদের নিয়ে এই রাজনীতি একেবারেই পছন্দ করছে না৷ চাপে পড়ে ঢোঁক গিলে প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ‘‘সন্ত্রাস এবং জওয়ানদের মৃত্যু কি মূল বিষয় নয়?’’ সন্ত্রাসকে সত্যিই প্রধানমন্ত্রী মূল বিষয় মনে করলে পাঁচ বছর পরে হঠাৎ ভোটের সময়ে এসে তাঁর সে কথা মনে পড়ল কেন? সন্ত্রাসরোধে যদি তিনি এতই আন্তরিক তো চল্লিশ জন জওয়ানের উপর হামলার গোয়েন্দা আশঙ্কা থাকলেও তাঁর সরকার তা আটকানোর ব্যবস্থা করেননি কেন? কারা এর জন্য দায়ী তাদের এখনও চিহ্ণিত করা গেল না কেন৷ পুরো বিষয়টা নিয়ে দেশের মানুষকে ধোঁয়াশার মধ্যে রাখা হল কেন? এই সব কোনও প্রশ্নেরই উত্তর প্রধানমন্ত্রীর কাছে নেই৷ তাই এ নিয়ে যাঁরাই প্রশ্ন করছেন তাঁদেরই দেশদ্রোহী বলছেন তাঁরা৷ বালাকোটে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের খবর গোটা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যম অস্বীকার করলেও নির্বাচনী প্রচারে সেটাকে তাঁর সরকারের এক বিরাট সাফল্য হিসাবে তুলে ধরছেন প্রধানমন্ত্রী৷ এমনই হয়৷ জীবনের মূল সমস্যাগুলি সমাধানে যারা ব্যর্থ হয় তারাই এমন করে কাল্পনিক কোনও সমস্যাকে তুলে এনে তাকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে৷ বিজেপি সেই কাজটাই করছে৷

বাস্তবে বিজেপি, কংগ্রেস কিংবা আঞ্চলিক দলগুলি সবাই পুঁজিপতি শ্রেণির পলিটিক্যাল ম্যানেজার হিসাবে কাজ করে চলেছে৷ তাই এদের একজনকে সরিয়ে অন্য জনকে ক্ষমতায় বসানোর দ্বারা সাধারণ মানুষের, শোষিত মানুষের জীবনের সমস্যাগুলির কোনও সুরাহা হবে না৷ পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় নির্বাচন হল, পুঁজিপতিদেরই পলিটিক্যাল ম্যানেজার এই দলগুলি কে ক্ষমতায় বসে পুঁজিপতিদের দেশের সম্পদ লুণ্ঠনের ব্যবস্থা করে দেবে, জনগণের উপর আরও মূল্যবৃদ্ধি, করের বোঝা চাপিয়ে তাদের শোষণ করবে এবং বিনিময়ে নিজেরা এমএলএ এমপি মন্ত্রী হবে, এই লুঠপাটে ভাগ বসাবে তারই প্রতিযোগিতা৷ এই নির্বাচনের সাথে সাধারণ মানুষের স্বার্থের কোনও সম্পর্ক নেই৷ শোষিত মানুষের মুক্তির একমাত্র পথ হল জনসাধারণের দাবিগুলি নিয়ে সঠিক নেতৃত্বে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলা, তার মধ্য দিয়ে জনগণের নিজস্ব সংঘশক্তি গড়ে তোলা এবং বিপ্লবী শ্রমিক শ্রেণির দলের নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন করা৷ 

(গণদাবী : ৭১ বর্ষ ৩৭ সংখ্যা)