বন্দি ছাত্রনেতাদের মুক্তিতে সংবর্ধনা কোচবিহারে

১৩ দিন জেল হেফাজতের পর অবশেষে ৩১ আগস্ট জামিন পেলেন কোচবিহারের এআইডিএসও-র আন্দোলনকারী ছাত্রনেতারা। ১৬ আগস্ট হলদিবাড়ি কলেজে সংগঠনের নেতৃত্বে ফি-বৃদ্ধি বিরোধী আন্দোলনে পুলিশ নির্মম আক্রমণ চালায়। পরদিন এসপি অফিসে স্মারকলিপি দিতে গেলে পুলিশ আবার ছাত্রদের ওপর চড়াও হয় ও অন্যায়ভাবে ১৩ জনকে গ্রেফতার করে।

এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও ছাত্রছাত্রীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রচার, সভা, জেলাজুড়ে ছাত্র ধর্মঘট ও কেন্দ্রীয় ভাবে কলকাতা ও শিলিগুড়ি শহরে ছাত্র বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত হয়। কোচবিহার বার অ্যাসোসিয়েশন-এর ৩০ জনের বেশি বিশিষ্ট আইনজীবী মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জামিনের জোরালো যুক্তি উপস্থিত করেন এবং ছাত্রনেতারা জেল থেকে ছাড়া পান। এআইডিএসও-র পক্ষ থেকে ডিস্ট্রিক্ট জেলের সামনে মুক্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করা হয়। বৃষ্টির মধ্যেও একটি স্লোগানমুখরিত তেজোদীপ্ত অভিনন্দন ও সংবর্ধনা মিছিল কোচবিহার শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে। দাস ব্রাদার্স মোড়ে সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলমুক্ত ছাত্রদের পক্ষ থেকে দু’জন বক্তব্য রাখেন, বক্তব্য রাখেন জেলা সম্পাদক জহিদুল হক এবং সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মণিশঙ্কর পট্টনায়ক। সভা শেষে মিছিল করে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তির সামনে উপস্থিত হয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মুক্তিপ্রাপ্ত ছাত্র নেতারা।

মণিশঙ্কর পট্টনায়ক বলেন, ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের উপর রাষ্ট্রীয় আক্রমণ এই প্রথম নয়, যুগে যুগে শাসক সম্প্রদায় প্রতিবাদী আন্দোলনে এরকম স্বৈরাচারী আক্রমণ ও মিথ্যা মামলা চাপিয়ে আন্দোলনকে দমন ও আন্দোলনকারীদের মনোবল ভাঙতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। আজ যে সকল ছাত্র প্রতিনিধি কারামুক্ত হলেন, আগামী দিনেও তাঁরা সংগ্রামী ঝান্ডা হাতে নিয়ে ছাত্র আন্দোলনে থাকবেন।

রাজ্যের ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক আইনজীবী সহ শুভবুদ্ধিসম্পন্ন গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিকরা, বিশেষ করে কোচবিহার জেলাবাসী যেভাবে ছাত্র আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করেছেন তার জন্য তিনি তাঁদের অভিনন্দন জানান।