বঞ্চনার শিকার পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা আন্দোলনের পথে

রাজ্যে পৌর অঞ্চলের মানুষের কাছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮৫ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে সাত হাজারের মতো স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ হয়েছিল৷ প্রকল্পগুলি দেখভাল করত স্টেট আরবান ডেভলপমেন্ট অথরিটি (সুডা)৷ প্রকল্প চালু হওয়ার পর দীর্ঘ ২৬ বছরেও সিপিএম সরকার এঁদের স্থায়ীকরণ করেনি, এমনকী স্বাস্থ্যকর্মীর স্বীকৃতিও দেয়নি৷ তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর ৭ বছর কেটে গেলেও তারা সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নেয়নি৷

এই কর্মীদের মধ্যে যাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন সরকার তাঁদের নাম দিয়েছে অনারারি হেলথ ওয়ার্কার৷ বেতন মাসে মাত্র ৩১২৫ টাকা৷ অনারারি না বলে বাস্তবে অনাহারী হেলথ ওয়ার্কার বলাই শ্রেয়৷ এফটিএস–দের বেতন ৩৩৩৮ টাকা, মেডিকেল অফিসাররা পান ৮ হাজারের মতো৷ ভিক্ষাতুল্য এই বেতনে চূড়ান্ত মূল্যবৃদ্ধির বাজারে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাত্রা যে অসম্ভব তা সরকারের মন্ত্রীরা না বুঝলেও নাবালকেও বোঝে৷

ভয়ানক এই বঞ্চনার প্রতিকারের দাবিতে এই স্বাস্থ্যকর্মীরা নানা সময়ে প্রশাসনের কর্তাদের কাছে গেছেন৷ কিন্তু সুবিচার পাননি৷ আন্দোলন তীব্রতর করার লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা গড়ে তুলেছেন ‘পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়ন’৷ ১৯ মার্চ কলকাতার ভারত সভা হলে গণকনভেনশনের ডাক দিয়েছেন এই স্বাস্থ্যকর্মীরা৷

(গণদাবী : ৭১ বর্ষ ৩১ সংখ্যা)