প্রার্থীপদ প্রত্যাহারে চাপ, অপহরণ অভিযোগ জানানো হল নির্বাচন কমিশনে

রাজ্য জুড়ে এস ইউ সি আই (সি) প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করাতে তৃণমূল দুষ্কৃতী বাহিনী ব্যাপক হামলা ও অপহরণ, মারধোর চালায়৷ পুলিস–প্রশাসন নিষ্ক্রিয় হওয়ায় নির্বাচন কমিশন যাতে প্রার্থীদের যথোচিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে, সেই দাবি নিয়ে ২৭ এপ্রিল রাজ্য সম্পাদক কমরেড সৌমেন বসু নির্বাচন কমিশনারকে নিম্নলিখিত স্মারকলিপি দেন৷

মাত্র ৫৮ হাজার পুলিশের সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গের ৫৮,৪৬৭ টি বুথের পঞ্চায়েত ভোট একদিনে সম্পন্ন করার সরকারি সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন মারফত ঘোষণা করে প্রার্থী ও ভোটদাতাদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুতর প্রশ্নের সামনে ঠেলে দেওয়া হল৷ সহজেই বোঝা যাচ্ছে, ভোটদানের স্বাধীনতা ও অধিকার কোন রসাতলে যাবে৷

বিভিন্ন জেলায় বহুধরণের আক্রমণ সত্ত্বেও এস ইড সি আই(কমিউনিস্ট) দলের যারা প্রার্থী হয়েছেন, তাদের এখন মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য গত কয়েকদিন ধরে চলা হুমকি এবং রাতে গ্রামে বাইকবাহিনী নিয়ে খুঁজে বেড়ানো ও ভয় দেখানোর পরে আজ থেকে তাদের প্রস্তাবকদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷ বাঁকুড়ার ওন্দা, ছাতনা, তালডাংরা ও হিড়বাঁধে, কুচবিহারের বক্সির হাটে, দিনহাটায় ও তুফানগঞ্জে এই ত্রাস ছড়িয়েছে চরমে৷ তুফানগঞ্জে প্রসেনজিত সরকারকে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার অনুপ গিরিকে কিডন্যাপ করে এবং ময়না, কাঁথি, নন্দীগ্রাম সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বেশির ভাগ ব্লকে আর মুর্শিদাবাদের প্রায় সব ব্লকে প্রাণনাশ সহ সর্বক্ষেত্রে চরম ক্ষতি করার হুমকি চলছে৷ প্রার্থী ছাড়াও প্রার্থীর মা, স্ত্রী সহ আত্মীয়স্বজনকে এবং প্রস্তাবকদের আত্মীয়স্বজনের উপর লাগাতার হুমকি চলেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রশাসন ও পুলিশ চরম পক্ষপাতিত্ব করছে৷ এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশাসন ও পুলিশের নিরপেক্ষতা ও গণতান্ত্রিক আচরণ এবং নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি৷ যেহেতু রাজ্য পুলিশের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম, তাই এই সঙ্কট সমাধানে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার উপযুক্ত পরিমাণ সশস্ত্র বাহিনীর ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি৷

(৭০ বর্ষ ৩৬ সংখ্যা ২৭ এপ্রিল, ২০১৮)