প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে রাজ্যে রাজ্যে সভা

আগরতলায় সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড ছায়া মুখার্জী

ত্রিপুরা: এস ইউ সি আই (সি) দলের ৭১ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে ২৪ এপ্রিল ত্রিপুরার আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ দলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট মার্কসবাদী চিন্তানায়ক কমরেড শিবদাস ঘোষ স্মরণে সঙ্গীত পরিবেশনের পর কিশোর বাহিনী কমসোমল প্রিয় নেতার প্রতি গার্ড–অব–অনার প্রদর্শন করে৷ সদ্য সরকারে আসীন হয়ে বিজেপি মার্কস–এর মূর্তি ভাঙার মতো ন্যক্করজনক ঘটনা ঘটিয়েছে৷ এই প্রেক্ষাপটে ত্রিপুরায় ২৪ এপ্রিলের সমাবেশ ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ৷ সভার সভাপতি রাজ্য সম্পাদক কমরেড অরুণ ভৌমিক বলেন, রাজ্যের জনগণ দীর্ঘ ২৫ বছর সিপিএম দলের অপশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে এর অবসান চেয়েছিলেন৷ তার সুযোগ নিয়ে বিজেপি কংগ্রেসের সুবিধাবাদী নেতাদের নিয়ে আই পি এফ টি দলের সাথে জোট করে অঢেল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে৷ কিন্তু পুঁজিবাদের বিশ্বস্ত দল বিজেপিও জনজীবনের কোনও সমস্যার সমাধান করবে না৷

কটকে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড সৌমেন বসু

সভার প্রধান বক্তা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড ছায়া মুখার্জী বলেন, সুদীর্ঘকাল সিপিআই, সিপিএম কংগ্রেসের সাথে সমঝোতা করে চলেছে৷ কংগ্রেসের মধ্যে প্রগতিশীলতা দেখেছে৷ বর্তমানে পুঁজিপতিদের আরেক বিশ্বস্ত দল বিজেপি ক্ষমতায় বসেই একচেটিয়া পুঁজির স্বার্থ রক্ষা করছে শুধু নয়, ধর্ম, জাত–পাতের নামে মানুষকে বিভাজন করছে৷ সামন্তী কুসংস্কারাচ্ছন্ন অবৈজ্ঞানিক চিন্তা মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে, আজ আশু প্রয়োজন দেশব্যাপী ঐক্যবদ্ধ বাম ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলা৷ কিন্তু সিপিআই, সিপিআইএম সেই পথে না গিয়ে ভোটের রাজনীতিতে ফায়দা তুলতে কংগ্রেসের সাথে আঁতাত করছে৷ একমাত্র এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) দল সারা দেশে কোথাও এককভাবে কোথাও যুক্তভাবে জনজীবনের সকল সমস্যা নিয়ে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পরিপূরক গণআন্দোলন গড়ে তুলছে৷ তিনি এস ইউ সি আই (সি)–দলকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান৷

পাটনা: পাটনার আই এম এ হলে দলের বিহার রাজ্য কমিটির উদ্যোগে ২৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপিত হয়৷ মুখ্য বক্তা ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড সত্যবান৷ সভাপতিত্ব করেন রাজ্য সম্পাদক কমরেড অরুণকুমার সিং৷

পাটনায় বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড সত্যবান

(৭০ বর্ষ ৩৬ সংখ্যা ২৭ এপ্রিল, ২০১৮)