চিলিতে বামমুখী পরিবর্তনের আকাঙক্ষা

গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ দক্ষিণ আমেরিকার চিলিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট, অর্থনৈতিক সংস্কার এবং খোলা বাজার অর্থনীতির কট্টর প্রবক্তা সেবাস্টিয়ান পিনেরা’র দল রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হোসে আন্তোনিও কাস্ট বিপুল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বামপন্থী, ছাত্র আন্দোলন-গণআন্দোলনের নেতা, অনেকের কাছে ‘কমিউনিস্ট বা সমাজতন্ত্রী’ বলে পরিচিত, গ্যাব্রিয়েল বোরিচ। বোরিচের কার্যকাল শুরু হবে ১১ মার্চ ২০২২ থেকে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলির মধ্যে চিলিতেই পুঁজিবাদী খোলাবাজার অর্থনীতির জন্য ‘অর্থনৈতিক সংস্কার’ সব থেকে বেশি হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন বিপুল পুঁজির বিকাশ হয়েছে, তথাকথিত জিডিপি-র অঙ্কে চিলির অর্থনীতির বিকাশ হয়েছে অত্যন্ত দ্রুত হারে, কিন্তু এর পাশাপাশি ভারত বা অন্যান্য পুঁজিবাদী দেশের মতোই চিলিতেও এই পর্যায়ে ধনী-গরিবের অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়েছে বিপুল ভাবে। শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকার অনিশ্চয়তা, ক্রমবর্ধমান বেকারি, শিক্ষা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়া, লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, শ্রমিকদের অধিকার হরণ এবং বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া– এসবের ফলে, বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের সর্বত্র ব্যাপক গণআন্দোলন-ছাত্র আন্দোলন দফায় দফায় ফেটে পড়েছে। কট্টর দক্ষিণপন্থী প্রেসিডেন্ট পিনেরার পরাজয় এবং বামপন্থী দলগুলির নির্বাচনী বিজয়ের তাৎপর্যকে এই চলমান আন্দোলনের পটভূমিতেই বিচার করতে হবে।

চিলিতে বামপন্থী আন্দোলনের ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের

গত শতাব্দীর ৫০’ ও ৬০-এর দশকে ল্যাটিন আমেরিকার কিউবা, বলিভিয়া, ভেনেজুয়েলা প্রভৃতি দেশের মতোই চিলিতেও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সমাজতন্ত্রী আন্দোলনের ঝড় উঠেছিল। ৫০-এর দশকে এই আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে। সে সময় ‘কমিউনিস্ট’দের ব্যাপক ধরপাকড় চলেছিল। চিলির কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য বিখ্যাত কবি পাবলো নেরুদা গ্রেপ্তারি এড়াতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। ৬০-এর দশকে এই আন্দোলন তীব্রতর হয় এবং কিউবায় ফিদেল কাস্তে্রার বিজয়ের পর তার প্রভাবে চিলির বামপন্থী আন্দোলন উত্তাল হয়ে ওঠে। এরই পথ বেয়ে ১৯৭০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন চিলির সোস্যালিস্ট পার্টির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট, ল্যাটিন আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রবাদপ্রতিম নেতা সালভাদোর আলেন্দে। সেই নির্বাচনে নেরুদাও প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী ছিলেন, কিন্তু তিনি আলেন্দের সমর্থনে নাম প্রত্যাহার করেন। আলেন্দে ভোটে জিতে সরকারে গিয়ে দেশে সমাজতন্ত্র গড়ে তোলার কথা বলেন। এই পদ্ধতিকে তিনি সমাজতন্তে্র যাওয়ার দেশজ পথ (চিলিয়ান পাথ টু সোস্যালিজম) বলে দাবি করেন। তিনি সরকারে গিয়ে বিভিন্ন দেশীয় এবং সাম্রাজ্যবাদী পুঁজিপতিদের হাতে থাকা সে দেশের প্রধান শিল্প-কারখানা, বিশেষত অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ তামার খনিগুলি এবং অন্যান্য বৃহৎ শিল্প জাতীয়করণ করেন। কিছুদিনের মধ্যে কয়লাখনিগুলিও জাতীয়করণ করেন। এরপরে তিনি বেসরকারি পরিবহণ সংস্থা জাতীয়করণ করেন। এছাড়া শ্রমিকদের মাইনে বাড়ানো, মহিলা ও বৃদ্ধদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা, সর্বজনীন শিক্ষা প্রবর্তন, প্রত্যেক স্কুলছাত্রের জন্য প্রতিদিন বিনামূল্যে দুধের ব্যবস্থা প্রভৃতি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের পূর্ণ রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য চালু করেন। কৃষিক্ষেত্রে বৃহৎ জোতদারদের কাছ থেকে জমি উদ্ধার করে গরিব ও ভূমিহীন চাষিদের মধ্যে বন্টন করেন। এছাড়া তিনি আরও নানা ধরনের সমাজতন্ত্রমুখী পদক্ষেপ নিতে থাকেন। এর ফলে দেশীয় পুঁজিপতিরা, বৃহৎ জমির মালিকরা এবং আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ সহ অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। আমেরিকা চিলির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ ধরনের নানা পদক্ষেপ নিতে থাকে। এছাড়া পাশেই কিউবায় ফিদেল কাস্তে্রার নেতৃত্বে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়া এবং কাস্ত্রো সঙ্গে আলেন্দের যোগাযোগ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশীয় পুঁজিপতিরা এবং সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আমেরিকা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পুঁজিপতিদের সমস্ত রকম ষড়যন্ত্র এবং সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির অর্থনৈতিক অবরোধ সত্ত্বেও ১৯৭৩ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে আলেন্দের দল আরও বেশি ভোট পায়। এরপরেই দেশীয় পুঁজিপতিদের সাথে সিআইএ-র যুক্ত ষড়যন্তে্র ১৯৭৩ সালে মিলিটারি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সালভাদোর আলেন্দের সরকারের পতন হয় এবং তাঁকে হত্যা করা হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় অগুস্ত পিনোচেটের মিলিটারি জুন্টা সরকার। ১৯৭৩ সালে মিলিটারি অভ্যুত্থানের সময়ে রহস্যজনকভাবে পাবলো নেরুদা নিহত হন। বিপ্লবের আঘাতে পুঁজিবাদকে উচ্ছেদ না করে শান্তিপূর্ণ পথে পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে যে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না, চিলির সালভাদোর আলেন্দের ঘটনা তার অন্যতম জাজ্বল্যমান উদাহরণ।

এরপরে প্রেসিডেন্ট পিনোচেটের নেতৃত্বে চিলির বুকে কমিউনিস্ট ও সমাজতন্ত্রীদের গণহত্যা, লক্ষ লক্ষ মানুষকে গ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং বিনা বিচারে আটক শুরু হয়। এর সঙ্গে চলতে থাকে আলেন্দে এবং তার আগের সরকারগুলির নেওয়া জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপগুলি প্রত্যাহার করে পুঁজির অবাধ লু_নের স্বার্থে খোলা বাজার অর্থনীতির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকালে সমাজতান্ত্রিক শিবিরের উপস্থিতির সময়ে পিছিয়ে থাকা পুঁজিবাদী দেশগুলিতে তথাকথিত ‘কল্যাণকামী’ রাষ্ট্রে’র ধারণা এবং সেই অনুযায়ী পুঁজিবাদী ব্যবস্থার মধ্যে জনগণকে ভুলিয়ে রাখার জন্য সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার অনুরূপ কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়ে এক বিশেষ ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। ভারতে নেহরু একেই মিশ্র অর্থনীতি বলেছেন। ১৯৯১ সালে নয়া-সংশোধনবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদের ষড়যন্তে্র সোভিয়েত রাশিয়ার ভেঙে যাওয়া এবং সমাজতান্ত্রিক শিবির অবলুপ্ত হওয়ার পরে গ্যাটচুক্তি এবং পরবর্তী ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন সেই সমস্ত সুযোগ সুবিধার অধিকাংশ মুছে দিয়ে খোলা বাজার অর্থনীতি চালু করার জন্য একটা দেশের অভ্যন্তরে যে ধরনের সংস্কার কর্মসূচি চালু করে, পিনোচেটের শাসনকালে চিলিতে কার্যত সেই ধরনের সংস্কার কর্মসূচিগুলিই কার্যকর করা হয়েছিল। ১৯৯০ সালে পিনোচেট প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর তাঁরই মনোনীত পরবর্তী প্রেসিডেন্টরা এই অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচিকে কঠোর থেকে কঠোরতর করতে থাকেন। এর ফলে চিলিতে খুব দ্রুত বৃহৎ পুঁজির বিকাশ হতে থাকে। ফলে অঙ্কের হিসাবে চিলির জিডিপি এবং গড় মাথাপিছু আয় বাড়তে থাকে। কিন্তু শোষণের চাপে চিলির শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের কার্যত নাভিশ্বাস উঠে যায়। একদিকে বিশাল পুঁজির বিকাশ, অপরদিকে বেকারি, দারিদ্র, ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি এসবের ফলে সাধারণ মানুষের জীবন তীব্র সংকটের মধ্যে পড়ে যায়।

তীব্র পুঁজিবাদী শোষণের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ

এই সংকট কার্যত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় পিনোচেটের নীতির অনুসারী বর্তমান বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরার সময়ে। যথারীতি এ দেশের এবং ভারত ও অন্যান্য পুঁজিবাদী দেশের শাসকদের মতোই প্রেসিডেন্ট পিনেরা সংকট, বেকার সমস্যা, মূল্যবৃদ্ধি এসবের দায় অভিবাসী সমস্যা, সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ প্রভৃতির ওপর চাপিয়ে তথাকথিত নানা অর্থনৈতিক সংস্কার চালিয়ে গেছেন। এই অর্থনৈতিক সংস্কারের বিরুদ্ধে গোটা দেশে একের পর এক আন্দোলনের তরঙ্গ আছড়ে পড়তে থাকে। শিক্ষাক্ষেত্রে ফি বৃদ্ধি, যতটুকু সর্বজনীন চরিত্র ছিল তা তুলে দিয়ে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে ছাত্ররা একের পর এক আন্দোলনে ফেটে পড়ে। ২০১১ থেকে ২০১৩ সালে শিক্ষার নানা দাবি দাওয়া নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলন দফায় দফায় ফেটে পড়তে থাকে। এই সময় ১ জন ছাত্র নিহত এবং বহু ছাত্র আহত হয়। হাজার হাজার ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। আবার ছাত্র আন্দোলনের ঢেউ ওঠে ২০১৫ সালে। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের চাপে সরকার বেশ কিছু দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় এবং তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে অপসারণ করা হয়। চিলিতে আরেকটি তীব্র সমস্যা দেখা দেয় শ্রমিকদের প্রাইভেট পেনশন প্রকল্প নিয়ে। আগের ব্যবস্থায় শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পেনশন ফান্ডে শ্রমিকের মাইনের একটা অংশ জমা হত, তার সঙ্গে যুক্ত হত সমপরিমাণ মালিকের দেয় এবং সরকারের দেয়। এই তিনটি উৎস থেকে টাকা শ্রমিকের নামে জমা হত এবং তার সঙ্গে সুদ যুক্ত হত। এই টাকা থেকে শ্রমিককে অবসরকালীন পেনশন দেওয়া হত। এই ব্যবস্থা তুলে দিয়ে সংস্কার কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে শুধুই শ্রমিকের টাকা কেটে বেসরকারি বিমা কোম্পানির মালিকদের ঘরে জমা হবে এবং সেখান থেকে শ্রমিককে পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়। এর ফলে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের টাকা প্রাইভেট বিমা কোম্পানিগুলি আত্মসাৎ করে। এই ব্যবস্থা পরিবর্তন করে পুরানো ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য তীব্র শ্রমিক আন্দোলন চলতে থাকে।

ইতিমধ্যে ২০১৯-এর অক্টোবর মাসে সমস্ত রকমের গণপরিবহণের ভাড়া, বিশেষত সান্টিয়াগো শহরের মেট্রোর ভাড়া ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা হয়। এর বিরুদ্ধে তীব্র এবং ব্যাপক গণআন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন তীব্রতার দিক থেকে সাম্প্রতিক সমস্ত আন্দোলনকে ছাড়িয়ে যায়। চিলির ছাত্ররা মেট্রো ভাড়া বয়কট আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনের সূচনা করে। তারপর শ্রমজীবী জনগণের বিভিন্ন অংশ আন্দোলনে যুক্ত হয়ে যায়। এই পর্যায়ে আন্দোলন গণ-আইন অমান্য, স্ট্রাইক প্রভৃতির মধ্য দিয়ে এগোতে থাকে। পরিবহণ ভাড়া ছাড়াও শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ, প্রাইভেট পেনশন প্রভৃতির বিরুদ্ধে নানা দাবি দাওয়া এর সাথে যুক্ত হয়ে যায়। বিশেষত চিকিৎসা ব্যবস্থার বাণিজ্যিকীকরণ এবং তার ফলে করোনার সময়ে সাধারণ মানুষের দুর্দশা ও সরকারি উদাসীনতার বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষোভ আন্দোলনকে তীব্রতর করে। আন্দোলনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে সরকার জরুরি অবস্থা জারি করতে এবং আন্দোলন দমনে মিলিটারি নামাতে বাধ্য হয়। এই আন্দোলনের ধাক্কায় শেষ পর্যন্ত পিনেরার সরকার বহু দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়। এই আন্দোলনের ফলশ্রুতিতেই গত ১৯ নভেম্বর ২০২১-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পিনেরার দলের প্রার্থী কাস্ট পরাজিত হন এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উঠে আসা তরুণ নেতা গ্যাব্রিয়েল বোরিচ বিপুল ব্যবধানে জয়যুক্ত হয়েছেন। বোরিচের জয়ের খবরে দেশের সাধারণ মানুষ প্রকাশ্য রাস্তায় আনন্দ, উল্লাসে মেতে ওঠেন। আগামী প্রেসিডেন্ট বোরিচও গণআন্দোলনের মূল দাবিগুলি পূরণ করার এবং একটি ‘জনকল্যাণকামী রাষ্ট্র’ গঠন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু বহু চিন্তাশীল মানুষ ভেবেছেন, প্রশ্ন করেছেন– নিছক সরকার বা প্রেসিডেন্ট পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই কি চিলির জনগণের মূল সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব?

গণদাবী ৭৪ বর্ষ ২৫ সংখ্যা ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২