কে বড় স্বৈরাচারী, প্রতিযোগিতা বিজেপি–কংগ্রেসে

 কে বড় স্বৈরাচারী এই নিয়ে তরজা চলছে বিজেপি–কংগ্রেসে৷ প্রধানমন্ত্রীর টুইটার–বাণী থেকে শুরু করে বর্তমানে দপ্তরহীন মন্ত্রী অরুণ জেটলি সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থার কালো দিনগুলি মানুষকে আবার মনে করিয়ে দিতে৷ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এবং সে দলের ছোট বড় নেতারাও এ কাজে উঠে পড়ে লেগেছেন৷ বিজেপি সরকার জরুরি অবস্থাকে পাঠ্যবইতে অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলছে৷ এসবে রুষ্ট কংগ্রেসও পাল্টা উত্তর দিচ্ছে, স্বৈরাচারে তোমরাই বা কম কীসে? অরুণ জেটলি ইন্দিরা গান্ধিকে ফ্যাসিস্ট একনায়ক হিটলারের সাথে তুলনা করেছেন৷ কংগ্রেস নেতারা নরেন্দ্র মোদিকে তুলনা করেছেন মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেবের সাথে৷ দু’দলের বয়ানেই পরিষ্কার স্বৈরাচারের তকমা উভয়ের গায়েই, তবে তাদের একে অপরের মধ্যে পার্থক্য শুধু অপরাধের মাত্রায়৷

কংগ্রেস নেত্রী তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন মধ্যরাতে সারা দেশে অভ্যন্তরীণ জরুরি অবস্থা জারি করেন৷ সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকার, সভা–সমিতির অধিকার, বাক স্বাধীনতার অধিকার, সরকারের সমালোচনা করার সামান্যতম প্রচেষ্টাও নিষিদ্ধ করে দেন তিনি৷ সংবাদ–মাধ্যমের স্বাধীনতাকে চরম খর্ব করা হয়, কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন বহু বর্ষীয়ান ও নামকরা সাংবাদিক৷ ১৯ মাসের এই জরুরি অবস্থার সুযোগে ইন্দিরা গান্ধীর পুত্র সঞ্জয় গান্ধী অসাংবিধানিক স্বৈরাচারী ক্ষমতার কেন্দ্র হয়ে ওঠেন৷ তাঁর দোসর বংশীলাল এবং বিদ্যাচরণ শুক্লের নেতৃত্বে দিল্লির বস্তিবাসী সহ আশেপাশের রাজ্যগুলিতে সাধারণ মানুষের উপর চলে কংগ্রেসী গুন্ডাদের চরম নির্যাতন৷ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নামে সঞ্জয় গান্ধীর নেতৃত্বে গরিব সাধারণ মানুষ বিশেষত সংখ্যালঘুদের উপর ভয়াবহ নির্যাতন চলে৷ সারা দেশেই রাজনৈতিক বিরোধীদের খুন, অপহরণ, বিনা বিচারে আটক করা প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে ওঠে৷ বিচারবিভাগকে পুরোপুরি সরকারের তাঁবেদারে পরিণত করার কাজে ইন্দিরা গান্ধী তাঁর সর্বশক্তি নিয়োগ করেন৷ জরুরি অবস্থার নামে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া ও পুলিশের হাতে যথেচ্ছ ক্ষমতা দেওয়ার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি এইচ আর খান্না৷ এই কারণে তিনি সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে বরিষ্ঠ বিচারপতি হওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেস সরকার তাঁকে প্রধান বিচারপতি হতে দেয়নি৷ কেন জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল? ইন্দিরাজির দুর্নীতির বিরুদ্ধে সে সময় মানুষের ক্ষোভ সারা দেশ জুড়েই ফেটে পড়ছিল৷ বিশেষত সমাজবাদী নেতা জয় প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে আন্দোলন বিহার থেকে শুরু হয়ে দেশব্যাপী তুমুল আলোড়ন তোলে৷ ইন্দিরা গান্ধী তথা তাঁর বুর্জোয়া প্রভুরা এই আন্দোলনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখে ভীত হয়ে পড়েন৷ আন্দোলন গণভ্যুত্থানে পরিণত হতে পারে সেই আশঙ্কাতেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়৷

আরেকটি কারণও ছিল৷ ১২ জুন ১৯৭৫ এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায়বেরিলি লোকসভা কেন্দ্রে ইন্দিরা গান্ধীর জয়কে অনৈতিক এবং বেআইনি বলে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করে দেয়৷ সুপ্রিম কোর্টেও বিচারপতি কৃষ্ণ আইয়ার হাইকোর্টের রায়কে বহাল রেখে সাংসদ হিসাবে ইন্দিরা গান্ধীর প্রাপ্য সমস্ত সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার রায় দেন৷ যদিও মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় পর্যন্ত তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্ব বজায় থাকে৷ এই রায় ঘোষিত হওয়ার পরদিনই মধ্যরাতে ইন্দিরাজি জরুরি অবস্থা জারি করেন৷

কিন্তু এখন হঠাৎ বিজেপির জরুরি অবস্থার দিনগুলি মনে পড়ছে কেন? কারণ তাদের বিরুদ্ধে একই রকম গণতন্ত্র হত্যা, সাংবাদিকদের হুমকি, গৌরী লঙ্কেশ কিংবা এম এম কালবুর্গির মতো প্রতিবাদী সাংবাদিক–বুদ্ধিজীবীদের হত্যা, বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টার অভিযোগ উঠছে৷ এই অবস্থায় মানুষের দৃষ্টি ফেরাতে বিজেপি ‘কংগ্রেসও করেছে’ বলে দোষ স্খালন করতে চাইছে? সামনে লোকসভা ভোট, এখন সাধু সাজা তাদের সে জন্যই!

দেখা যাক, ইন্দিরা গান্ধীর এই জরুরি অবস্থাকে যখন ধিক্কার জানিয়েছিল সারা দেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ, তখন তার সমর্থক ছিল কারা? জরুরি অবস্থার প্রধান সমর্থক ছিলেন তৎকালীন আরএসএস প্রধান বালাসাহেব দেওরস৷ তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে একাধিক চিঠি লিখে জরুরি অবস্থা এবং ইন্দিরা গান্ধীর কুখ্যাত ২০ দফা কর্মসূচি ও সঞ্জয় গান্ধী ঘোষিত ৫ দফা কর্মসূচিকে খোলাখুলি সমর্থন জানিয়েছিলেন৷ জরুরি অবস্থার আগে গুজরাটে যে ছাত্র আন্দোলন এবং বিহারে জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে উঠেছিল, একটা সময় সেই আন্দোলনে থেকে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপির পূর্বসূরি আরএসএসের তৎকালীন রাজনৈতিক শাখা জনসংঘ৷ কিন্তু আন্দোলনের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নেমে আসার পর এবং জরুরি অবস্থা জারি হতেই আরএসএস ও জনসংঘ এই আন্দোলন থেকে নিজেদের দূরত্ব তৈরির জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে৷ তারা এখন প্রচার করছে যে, সে সময় আরএসএস জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম’ বলেছিল৷ অথচ সত্য ঠিক তার বিপরীত৷ যদিও ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে আরএসএস কোনও দিন অংশ নেয়নি শুধু তাই নয়, তারা স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতাই করেছিল৷ তাই দ্বিতীয় কেন, কোনও স্বাধীনতা সংগ্রামেই তাদের অংশগ্রহণ নেই৷ তাদের নেতাদের লক্ষ্য ছিল অন্য দলের নেতারা যেহেতু জেলে সেই সুযোগে জেলের বাইরে থেকে আরএসএস–জনসংঘের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে নেওয়া৷ তাই তলায় তলায় কংগ্রেসের সাথে বোঝাপড়া করেই তারা চলেছে৷ অন্যদিকে কংগ্রেস সরকার নির্বিচারে প্রতিবাদীদের গ্রেপ্তার এমনকী খুন করতে থাকে৷ বিনা বিচারে আটক মানুষে জেলগুলি উপচে পড়তে থাকে৷ জরুরি অবস্থার সুযোগে কংগ্রেস সরকার পুলিশি হেফাজতে যথেচ্ছ হত্যা চালায় এবং সেটাই আইনসিদ্ধ করার পক্ষে সওয়াল করতে থাকে৷ জরুরি অবস্থার মধ্যে এই পশ্চিমবঙ্গেই কংগ্রেস নেতা সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের নেতৃত্বে কয়েকশো যুবককে পুলিশ সাজানো এনকাউন্টারের মাধ্যমে হত্যা করেছিল৷

এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ দূরে থাক, আরএসএস প্রধান দেওরসজি ১৯৭৫–এর ১৫ আগস্ট লালকেল্লায় দেওয়া ইন্দিরা গান্ধীর ভাষণকে ‘সময়োচিত এবং ভারসাম্যরক্ষাকারী’ বলে প্রশংসা করে চিঠি দেন৷ সাংবাদিক প্রভাস যোশী এবং জরুরি অবস্থার সময় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবির সহকারী প্রধান টি ভি রাজেশ্বর রাও তাঁদের লেখায় দেখিয়েছেন, সে সময় কীভাবে আরএসএস ইন্দিরা গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়েছিল৷ টি ভি রাজেশ্বর লিখেছেন, আরএসএস–এর লোকেরা দুই থেকে আড়াই মাস জেলে কাটিয়ে দলে দলে মুচলেকা দিয়ে বাইরে চলে আসে৷ তারা ইন্দিরা গান্ধীর পাশে দাঁড়ায়৷ অথচ এখন কেন্দ্রে এবং নানা রাজ্যে বিজেপি সরকার আসার পর তারাই ‘জরুরি অবস্থার জেলবন্দি’ হিসাবে রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে মাসে ১০ হাজার টাকা পেনশন নিচ্ছে৷ আরএসএস–বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনাও জরুরি অবস্থার পক্ষে ছিল৷ জরুরি অবস্থাকে সমর্থন জানিয়েছিল সিপিআই৷ প্রসঙ্গত বলা যায়, সিপিআই–সিপিএমের মতো বামপন্থীদের কাছে সে সময় জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলনকে সমর্থন করার জন্য বারবার আবেদন করেছিলেন মার্কসবাদী চিন্তানায়ক কমরেড শিবদাস ঘোষ৷ তারা সে কথায় কর্ণপাত করেনি৷ ফলে আন্দোলনে বামপন্থী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি৷ এর সাথে সিপিআই নেতৃত্বের ন্যক্কারজনক ভূমিকা আরএসএস–জনসংঘ (পরবর্তীকালে বিজেপি)–র শক্তি বাড়াতে সাহায্য করেছে৷

এই যাদের ভূমিকা সেই আরএসএসের রাজনৈতিক শাখা বিজেপি জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে বাজার গরম করবে, আর তা মানুষ মেনে নেবে? বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি হিটলারের প্রসঙ্গ তুলে ভাল করেছেন৷ তাতে আরএসএসের গুরু গোলওয়ালকার এবং আরএসএস প্রতিষ্ঠাতা হেডগেওয়ারের হিটলার প্রীতির ইতিহাস আবার দেশের মানুষের সামনে আসবে৷ আরএসএসের এই পূজনীয়রা চেয়েছিলেন হিটলারের ইহুদি গণহত্যার আদলে ভারতেও সংখ্যালঘু বিতাড়ন হোক৷ আরএসএসের অন্যতম গর্বিত প্রচারক নরেন্দ্র মোদি যে কাজ গুজরাটে করে দেখিয়েছেন৷ এখন আসামে এনআরসি–র নামে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ঘরছাড়া করতে তারা উঠে পড়ে লেগেছে৷ হিটলার প্রীতির জন্যই কি ইন্দিরা গান্ধীকে১৯৮০–র নির্বাচনে সমর্থন জানিয়েছিল আরএসএস তিনিও তার প্রতিদানে হিন্দুত্ববাদের জিগিরে গলা মিলিয়েছিলেন হিন্দু ভোট ব্যাঙ্কের আশায়৷ তৎকালীন কংগ্রেস নেতা কুখ্যাত বংশীলাল এবং বিদ্যাচরণ শুক্ল পরে বিজেপিতেই ঢুকেছিলেন৷ সঞ্জয় গান্ধী পরিবার এখনও বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ বিজেপি কংগ্রেসে কি কোনও পার্থক্য আছে?

ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা ছিল ঘোষিত৷ আর নরেন্দ্র মোদির রাজত্বে কী চলছে? বিজেপি–আরএসের নীতির বিরোধিতা করায় একের পর এক সাংবাদিক বুদ্ধিজীবীকে নানা রাজ্যে খুন করা হয়েছে৷ বিজেপি নেতারা এমনও বলেছেন, সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ আরএসএস–বিজেপির বিরোধিতা না করলে বেঁচে যেতে পারতেন কাশ্মীরের সাংবাদিক সুজাত বুখারির মৃত্যুর পর বিজেপি নেতারা সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, বিজেপির বিরোধিতা করলে এমনই হবে৷ কেউ আরএসএসের নীতির বিরেধিতা করলেই তাকে চরম শাস্তির হুমকি দেওয়া চলছেই৷ তা তিনি যত নামকরা লোকই হোন না কেন সাধারণ মানুষের অবস্থা সহজেই অনুমেয়৷ কে কী খাবে বা না খাবে, তা ঠিক করে দেওয়ার দায়িত্বও কাঁধে তুলে নিয়েছে আরএসএস–বিজেপির স্বঘোষিত ধর্মরক্ষকরা৷ তার জন্য পিটিয়ে মানুষ খুন করলেও সরকারের সমর্থন পাচ্ছে তারা!

প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন মিনিমাম গভর্নেন্স, তার মানে দেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে বুঝছে৷ সরকার চলছে বাস্তবে প্রধানমন্ত্রী, তাঁর দলীয় সভাপতি, নিরাপত্তা উপদেষ্টা আর এক–দু’জন আমলার নির্দেশেই৷ সংসদ তো দূরের কথা, মন্ত্রীদের পর্যন্ত কোনও ভূমিকা নেই৷ যে কোনও নীতি এই মুষ্টিমেয় কয়েকজনই ঠিক করে দিচ্ছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কী বাত’ শুধু বলবার জন্য৷ মানুষের কথা শোনবার কেউ নেই৷ এক ভিনধর্মী দম্পতিকে পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য বিদেশমন্ত্রীকে পর্যন্ত বিজেপি সমর্থকদেরই অকথ্য গালাগালি সহ্য করতে হয়েছে এবং তা দেখেও প্রধানমন্ত্রী যথারীতি নীরব৷ সুপ্রিম কোর্টের চারজন সিনিয়ার বিচারপতি অভিযোগ তুললেন, সরকারের পক্ষে অস্বস্তিকর মামলাগুলি বেছে বেছে বিশেষ বিচারপতিদের কাছে পাঠানো হচ্ছে৷ সরকার সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশকে কার্যত বাজে কাগজের ঝুড়িতে ফেলে দিয়ে বিজেপি–আরএসএসের অপছন্দের বিচারপতিদের নিয়োগে বাধা সৃষ্টি করছে৷ এই পরিস্থিতিকে কী বলা উচিত? এটা জরুরি অবস্থার থেকে কোন ক্ষেত্রে কম? স্বৈরাচারের প্রতিযোগিতায় পুঁজিপতিদের আশীর্বাদধন্য দুই দলের মধ্যে কার পাল্লা ভারী– সে চুলচেরা বিচারে মানুষের কোনও প্রয়োজন নেই৷ দরকার দুই দলকেই মোকাবিলা করে গণতন্ত্র এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা৷

(৭০ বর্ষ ৪৬ সংখ্যা ৬ জুলাই, ২০১৮)