কলকাতা–শিলিগুড়িতে বিশাল শ্রমিক বিক্ষোভ, ৮–৯ জানুয়ারি ভারত বনধের ডাক কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের শ্রমিক স্বার্থবিরোধী নীতি প্রত্যাহার, ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়মেন্ট ও স্থায়ী কাজে ঠিকা প্রথা বাতিল, ন্যূনতম বেতন ১৮ হাজার টাকা ও পেনশন ৩ হাজার টাকা, অসংগঠিত শ্রমিকদের পি এফ–পেনশন সহ সামাজিক সুরক্ষা, অবিলম্বে চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা, মূল্যবৃদ্ধি ও নারী নির্যাতন রোধ, বন্ধ কারখানা খোলা, প্রথম শ্রেণি থেকে পাশ–ফেল প্রথা চালু সহ ২১ দফা দাবিতে ২৮ সেপ্টেম্বর কলকাতা ও শিলিগুড়িতে এ আই ইউ টি ইউ সি–র ডাকে শ্রমজীবী মানুষের বিক্ষোভ সমাবেশ সংগঠিত হয়৷

কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে স্লোগান মুখরিত সুসজ্জিত এক মিছিল রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ অভিমুখে যাত্রা শুরু করে৷ ডোরিনা ক্রসিং–এ মিছিল পৌঁছলে রাস্তা অবরোধ করে ‘ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়মেন্ট’–এর কালা আইনের প্রতিলিপি পোড়ানো হয়৷ অগ্নিসংযোগ করেন রাজ্য সম্পাদক কমরেড দিলীপ ভট্টাচার্য৷ এরপর বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি কমরেড এ এল গুপ্তা৷

‘আপসহীন সংগ্রামের পথে লড়াই–আন্দোলন করেই আমাদের দাবি আদায় করতে হবে’– বলেন সমাবেশের প্রধান বক্তা কমরেড দিলীপ ভট্টাচার্য৷ রাজ্য সম্পাদকের নেতৃত্বে পাঁচ জনের এক প্রতিনিধি দল শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে এবং অন্য প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের দপ্তরে স্মারকলিপি দেন৷ সভাপতি এ এল গুপ্তা বলেন, ‘আজ একই দাবিতে দিল্লিতে  এআইইউটিইউসি সহ ১০টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়৷ সেখানে ৮ –৯ জানুয়ারি  ভারত  বনধ সহ বিভিন্ন আন্দোলনের কর্মসূচি যৌথভাবে গ্রহণ করা হয়েছে৷’ এই কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার আহ্বান জানান তিনি৷

শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির ৩০টি ক্ষেত্রের ২ হাজারেরও বেশি শ্রমিক বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন ৷ মিছিল বাঘাযতীন পার্ক থেকে শুরু হয়ে শিলিগুড়ি জংশনে গিয়ে শেষ হয়৷ মিছিল শুরুর আগে বাঘাযতীন পার্কে সভা হয়৷ বক্তব্য রাখেন কমরেডস ক্ষিতীশ রায়, নৃপেন কার্যি, অভিজিৎ রায়, সমশের আলি, গোপাল দেবনাথ প্রমুখ৷

(৭১ বর্ষ ১০ সংখ্যা ৫ -১১ অক্টোবর, ২০১৮)