আসামে ভাষাগত সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব হরণের প্রতিবাদে শিল্পী–সাংস্কৃতিক কর্মী–বুদ্ধিজীবী মঞ্চ

‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ অনুসারে কাউকেই অনুপ্রবেশকারী বলা চলে না, তাঁরা অভিবাসী৷’ ১৯ আগস্ট কলকাতার ভারত সভা হলে এন আর সি নিয়ে এক সভায় এ কথা বলেন মানবাধিকার আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা অধ্যাপক সুজাত ভদ্র৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই ৪০ লক্ষ লোককে নেবে না৷ তাদের কী হবে? সরকার তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রাখবে৷ সেগুলির অবস্থা অবর্ণনীয়৷ শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মী বুদ্ধিজীবী মঞ্চের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রথিতযশা সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় বলেন, বাংলা ভাষায় কথা বললে আজ ভারতে বলা হয়, ‘আপনি বাংলাদেশী নন তো’ মানবতার বিরুদ্ধে এ এক ফ্যাসিবাদী আক্রমণ৷ দিল্লি থেকে আসা খ্যাতনামা সাংবাদিক সুমিত চক্রবর্তী বলেন এন আর সি–র নামে গণতন্ত্রের উপর, নাগরিক অধিকারের উপর প্রবল আঘাত নামিয়ে আনা হচ্ছে আসামে৷ জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক গার্গী চক্রবর্তী বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই আসামে বাঙালি হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের বসতি শুরু৷ আজ সেখানে ভোটের লক্ষ্যেই এই বাঙালি খেদাও অভিযান৷ প্রাক্তন সাংসদ ডাঃ তরুণ মণ্ডল বলেন,আসামে নাগরিক পঞ্জী নবীকরণ সংবিধান বিরোধী৷ কারণ এন আর সি –র ৪ (ক) সংশোধনী পার্লমেন্টে পাশ করানো হয়নি৷ তিনি প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের এ ভাবে বিদেশি বানানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান৷ সভা সঞ্চালনা ও মূল প্রস্তাব পাঠ করেন মঞ্চের অন্যতম সম্পাদক দিলীপ চক্রবর্তী৷ উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক সান্টু গুপ্ত৷ সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্ত৷

(৭১ বর্ষ ৪ সংখ্যা ২৪ আগস্ট, ২০১৮)