‘স্বেচ্ছাসেবী নয়, কর্মীর মর্যাদা দিতে হবে’ রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে পৌরস্বাস্থ্যকর্মীরা

 

এ আই ইড টি ইড সি সহ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইডনিয়নগুলির ডাকে ৭ ও ৮ আগস্ট  সারা ভারতের স্কিম ওয়ার্কারদের যে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়৷  তাতে সামিল হন পশ্চিমবঙ্গের প্রায় চার লক্ষাধিক স্কিম ওয়ার্কার (অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, আশা কর্মী, পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ও মিড ডে মিল কর্মী)৷  ৭ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের স্কিম ওয়ার্কাররা যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে এবং দাবি জানায় অবিলম্বে সমস্ত স্কিম ওয়ার্কারদের স্থায়ী কর্মীর  স্বীকৃতি ও মর্যাদা দিতে হবে৷ আই এল সি–র ৪৫ ও ৪৬তম সুপারিশ অনুযায়ী সমস্ত স্কিম ওয়ার্কারদের ন্যূনতম ২১ হাজার টাকা বেতন, ১০ হাজার টাকা পেনশন এবং ইএসআই ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতাভুক্ত করতে হবে৷ এ ছাড়াও যে স্কিম ওয়ার্কাররা করোনা যোদ্ধা হিসেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে অক্লান্তভাবে কাজ করে চলেছেন তাদের নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা দিতে হবে৷ আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের ১০ লক্ষ টাকা সরকারি অনুদান দিতে হবে এবং ২৫ লক্ষ টাকা বিমা ঘোষণা করতে হবে৷

এই সব দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের স্কিম ওয়ার্কাররা জেলাশাসক, মহকুমাশাসক ও সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয় এবং কর্মবিরতি পালন করে৷ পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ইডনিয়নের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের ১২৬টি পৌরসভার পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা এই সকল দাবিতে মহকুমা শাসক ও জেলাশাসক দপ্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ও স্মারকলিপি প্রদান করেন৷ পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ইডনিয়নের রাজ্য সভানেত্রী সুচেতা কুণ্ডু সমস্ত পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের এবং অন্যান্য স্কিম ওয়ার্কারদের এই আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য সংগ্রামী অভিনন্দন জানিয়েছেন৷