সারের কালোবাজারি প্রতিরোধে এআইকেকেএমএস-এর বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ

কোচবিহারে এআইকেকেএমএস-এর মিছিল

 

সারের কালোবাজারি ও স্মার্ট মিটার চালু করার প্রতিবাদে, সরকারি দামে ধলতা বিহীন ধান কেনা, ফসলের এমএসপি নির্ধারণ করে তা আইনসঙ্গত করা সহ একগুচ্ছ দাবিতে ২১ ডিসেম্বর এআইকেকেএমএস-এর নেতৃত্বে রাজ্য জুড়ে ব্লকে ব্লকে অবরোধ, বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন কর্মসূচি পালিত হয়। সরকারি প্রশাসনের নাকের ডগায় মাসের পর মাস ধরে সারের কালোবাজারি রমরমিয়ে চলছে। সরকার চাষির কাছ থেকে ধান কেনার সময় নানাভাবে হয়রানি করছে এবং কুইন্টাল প্রতি ৭ কেজি পর্যন্ত ধলতা নিচ্ছে। গ্রামীণ মজুরদের কাজের কোনও ব্যবস্থা নেই, তার উপর জবকার্ডধারী মজুরদের সরকারি কাজের হাজার হাজার টাকা মজুরি ২ বছরের উপর ধরে বকেয়া পড়ে রয়েছে।

আবার স্মার্ট মিটার চালু করে সরকার সমস্ত বিদ্যুৎ গ্রাহক বিশেষ করে কৃষি বিদ্যুৎ গ্রাহকদের উপর মারাত্মক আক্রমণ আনতে যাচ্ছে। এগুলির প্রতিবাদে ১৪ ডিসেম্বর থেকে সপ্তাহব্যাপী সারা রাজ্য জুড়ে ব্যাপক প্রচার অভিযান চালানো হয় এবং নানা প্রশাসনিক স্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশাসন নির্বিকার থাকায় ২১ ডিসেম্বর মথুরাপুর ২ ব্লক অফিসের সামনে শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ-অবরোধের কর্মসূচি নেওয়া হয়। পুলিশ আচমকা লাঠিচার্জ শুরু করে। ২ জন মহিলা কর্মী সহ মোট ৫ জন আহত হন। এই ঘটনার প্রতিবাদে ২২ ডিসেম্বর গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগরণা জুড়ে প্রতিবাদ দিবস পালিত হয়।

আন্দোলনের চাপে উত্তর পরগণার হাবড়া ১-নম্বর ব্লকের বি ডি ও-র পক্ষ থেকে ২৩ ডিসেম্বর মাইক প্রচার করে এমআরপি রেটে সার বিক্রি করার নির্দেশ গোটা ব্লক জুড়ে ঘোষণা করা হয়।এটা আন্দোলনের বড় জয়। ৯ নভেম্বর কোচবিহারের ২ নং ব্লকের কৃষকরা এআইকেকেএমএস-এর নেতৃত্বে আন্দোলন করে এমআরপি রেটে সারের দাবি আদায় করেছেন।ফলে চাষিদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়।সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক গোপাল বিশ্বাস বলেন, এর পরেও যদি কৃষক ও খেতমজুরদের দাবি মানা না হয়, তবে বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে যেতে আমরা বাধ্য হব।