Breaking News

ভোজ্য তেলের ব্যবসায়ীদের স্বেচ্ছাচার বিজেপি নেতাদের প্রশ্রয় ছাড়াই?

খবরে প্রকাশ, মে মাসে কেন্দ্রীয় সরকার ভোজ্য তেলের দাম কমানোর জন্য সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তারা দাম কমায়নি। তাই ২ জুন দাম কমানোর নির্দেশিকা আবারও জারি হল সরকারের তরফে। সরকার বলেছে, সূর্যমুখী, সয়াবিন সহ অধিকাংশ তেলের সর্বোচ্চ খুচরো দাম (এমআরপি) অবিলম্বে লিটারে ৮-১২ টাকা কমাতে হবে। প্রশ্ন হল, দু’মাস আগে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছে। সরকার দু’মাস আগে দাম কমানোর নির্দেশ দিল না কেন? সরকারি কর্তারা কি ঘুমোচ্ছিলেন? অথচ দাম বাড়াতে তো এত সময় লাগে না। বিশ্ববাজারে একটু বেড়েছে কি বাড়েনি, সঙ্গে সঙ্গে লোকসানের নাকি-কান্না কেঁদে তেলের দাম বাড়িয়ে দেয় দেশীয় তেল কোম্পানিগুলি।

এখন বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমায় কমছে তেল আমদানির খরচ। উৎপাদন শুল্কও ছাঁটা হয়েছে। ফলে চাইলেই দাম কমাতে পারে তেল সংস্থাগুলি। তা সত্ত্বেও তারা চড়া দামে বিক্রি করছে ভোজ্য তেল। দেদার মুনাফা লুটে চলেছে তারা। গরিব-নিম্ন আয়ের মানুষের ‘ভাতে ভাত খাওয়া’-তেও বাদ সাধছে এই মুনাফাবাজরা। সরষের তেলের আকাশচুম্বী দামেও নাজেহাল জনসাধারণ।

তথ্য বলছে, গত দু’মাসে বিশ্বে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে প্রতি টনে ১৫০-২০০ ডলার। তা হলে এখনও দেশের বাজারে তার প্রভাব পড়ছে না কেন? তেল বিক্রেতা সংস্থাগুলি কী ভাবে দাম বাড়িয়ে রেখে মুনাফা করতে পারছে? শাসক নেতাদের প্রশ্রয় তথা চোখ বুজে থাকা ছাড়াই কি এই স্বেচ্ছাচার চালিয়ে যেতে পারছে ভোজ্য তেলের ব্যবসায়ীরা? বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা নিশ্চয় এ প্রশ্নের উত্তর দেবেন!