
বাড়ির কাজের জন্য পরিচারিকা বা ডোমেস্টিক ওয়ার্কারদের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। এই চাহিদা লক্ষ করে বিভিন্ন সংস্থা অ্যাপভিত্তিক কর্মী সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চলেছে। মুম্বাইতে একটি সংস্থা চটজলদি গৃহসহায়িকার পরিষেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে একটি অ্যাপ ব্যবস্থা চালু করেছে। অনেকটা গিগ কর্মীদের মতো এদের ব্যবহার করবে সংস্থাগুলি।
গিগ কর্মীদের কোনও আইনি সুরক্ষা নেই। কাজের বাজারের অনিশ্চিত অবস্থার জন্যই এই বিশেষ ক্ষেত্রে কর্মীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার কারও তরফেই এই কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে কোম্পানির শোষণ-বঞ্চনা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কার্যকর কোনও আইনি ব্যবস্থা নেই। ফলে তারা তীব্র বঞ্চনার শিকার।
সারা বাংলা পরিচারিকা সমিতি ডোমেস্টিক ওয়ার্কারদের অ্যাপভিত্তিক ব্যবস্থায় যুক্ত করার বিরোধিতা করেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে ২৫ জুন মহাকরণে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়ে জানানো হয় যে, অ্যাপভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হলে পরিচারিকাদের অধিকার এবং সম্মানের কথা না ভেবে দ্রুতগতিতে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কাজের স্থায়িত্ব ও সামাজিক সুরক্ষা না থাকলে ঠেলে দেওয়া হবে ঝুঁকিপূর্ণ কাজের দিকে।
শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি-র ডাকে এ দিন শ্রমমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়ে জানানো হয়, অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা আইন ২০০৮-এ গৃহ পরিচারিকাদের যুক্ত করা হয়েছে। ভারতের ১০টি রাজ্য গৃহপরিচারিকাদের নূ্যনতম মজুরি নির্ধারণ করেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার এদের জন্য কোনও উদ্যোগ নেয়নি। গৃহপরিচারিকাদের জন্য ন্যূনতম মজুরি আইন-১৯৪৮ অনুযায়ী মজুরি নির্ধারণ তালিকাভুক্ত করা এবং ন্যূনতম মজুরি কার্যকর করার দাবি জানান সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অশোক দাস। গৃহ পরিচারিকাদের জন্য আলাদা কল্যাণ বোর্ড তৈরির আবেদন জানানো হয়।
এই লেখাটি গণদাবী ৭৭ বর্ষ ৪৭ সংখ্যা ৪ – ১০ জুলাই ২০২৫ এ প্রকাশিত