কলকাতার পুর-চিত্র: ওপরটা ঝাঁ-চকচকে, ভিতরটা বিবর্ণ

১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভা নির্বাচন এসে গেল। ভোটসর্বস্ব দলগুলির নেতাদের মুখে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছুটছে। জিতলেই সব সমস্যার সমাধান করে দেবেন বলে একবাক্যে সমস্ত প্রার্থীরাই ভোট চাইছেন নিজ নিজ ওয়ার্ডে। এঁদের মধ্যে অনেকেই গত পাঁচ বছর কিংবা তারও আগে পুরপিতা কিংবা পুরমাতা ছিলেন, কিন্তু পুর-পরিষেবার এমন বেহাল দশা কেন, তার জবাব তাঁরা কেউ ভুলেও দিচ্ছেন না।

শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা সরকারি প্রকল্পের সুযোগ মানুষের দুয়ারে পৌঁছনোর হাওয়া তুলে ভোটবাক্সে তার রিটার্ন চাইছেন। সিপিএম বলছে, তাদের প্রার্থী জিতলে বর্তমান দুরবস্থা ঘুচে যাবে। কিন্তু যে সব নাগরিক খয়রাতি কিংবা মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে না ভুলে মেরুদণ্ড খাড়া করে সম্মানের সাথে দিন-গুজরান করেন, ভোট চাইতে এসে তাদের অপ্রিয় প্রশ্নের উত্তর দিতে দেখা যাচ্ছে না এই সব নেতাদের কাউকে। শাসক দলের নেতাদের বহু উচ্চারিত ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন সিটি’ কলকাতার পরিস্থিতি কেমন?

নিকাশি ব্যবস্থা শোচনীয়

মুখ্যমন্ত্রী কলকাতাকে লন্ডন বানানোর কথা বলেছিলেন। কার্যত বৃষ্টিতে কলকাতা হয়ে ওঠে খাল-বিলের শহর। মহানগরীর উত্তর থেকে দক্ষিণ অংশ তখন জলে থইথই। বহু এলাকায় নৌকা পর্যন্ত চালাতে হয়। নিকাশি নালা, ম্যানহোল সংস্কার এবং লাগোয়া খাল সংস্কার হয় না বছরের পর বছর। ফলে জল-যন্ত্রণা সয়েই এক রাশ ক্ষোভ নিয়ে মানুষকে দিনের পর দিন কাজে বেরোতে হয়। বস্তি এলাকার ঘরগুলি জলমগ্ন হয়ে থাকে। চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় দিন কাটাতে বাধ্য হন মানুষ। ড্রেজিং মেশিন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে থাকে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাম্পিং স্টেশন নেই। জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু প্রায়শই হয়ে থাকে।

পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাব

রাজ্যে জলস্বপ্ন প্রকল্পের প্রচার চলছে ঢাকঢোল পিটিয়ে। এতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছনোর কথা বাড়ি বাড়ি। কিন্তু পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরিশ্রুত পানীয় জল নেই। রাস্তার কলের জলে ভাসে নোংরা, তা খেয়ে পেটের রোগ– আন্ত্রিক, ডায়েরিয়া মাঝে মাঝেই ভয়ঙ্কর আকার নেয়, বিশেষ করে বস্তি এলাকায়। অনেকেই জল ফুটিয়ে খেতে বাধ্য হন। যাদের সামর্থ্য আছে, তাদের অনেককেই বাধ্য হয়ে চড়া দামে জল কিনে খেতে হয়। কখনও কখনও পানীয় জলের সঙ্গে নিকাশির জল মিশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।

ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেই

করোনার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ায় ভয়ঙ্কর মহামারি দশা। ডেঙ্গু রুখতে টাস্ক ফোর্স, র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স হয়েছে, কিন্তু তাদের অ্যাকশন দেখতে পাচ্ছেন না নাগরিকরা। মশা-মাছির উপদ্রব বন্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থার পরিকল্পনা নেই পুরসভার। কিছু ব্লিচিং কখনও সখনও ছড়িয়ে চমক দেওয়া হয়। খোলা ড্রেন, খোলা শৌচাগার রয়েছে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। বহু জায়গায় খোলা ভ্যাটে জঞ্জালের স্তূপ ডাঁই হয়ে রয়েছে যেখানে-সেখানে। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।

২৮ হাজার শূন্যপদ, ব্যাহত পরিষেবা

কলকাতা পুরসভায় ২৮ হাজারের বেশি অনুমোদিত পদ ফাঁকা। স্থায়ী পদে লোক নিয়োগ হচ্ছে না। চুক্তির ভিত্তিতে কিছু সামান্য কর্মী কখনও নিয়োগ করে নামমাত্র বেতনে বেগার খাটানো হচ্ছে। কর্মীর অভাবে ওয়ার্ড অফিসগুলিতে গিয়ে কোনও কাজের জন্য হাপিত্যেশ করে থাকতে হয় এলাকাবাসীকে। সম্প্রতি নীতি আয়োগের সমীক্ষায় জানা গেছে, দেশের ৫৬টি মেট্রোপলিটন শহরের মধ্যে কর্মসংস্থানে কলকাতার স্থান হয়েছে সবচেয়ে পিছনে।

নিরাপত্তা নেই পুর-শ্রমিকদের

কুঁদঘাটের ইটখোলায় নিরাপত্তা ছাড়া কাজ করতে গিয়ে মারা গিয়েছেন চার শ্রমিক। মৃতদের পরিবার ক্ষতিপূরণের সম্পূর্ণ টাকা আজও পায়নি। বিষাক্ত মিথেন বা কার্বন ডাই-অক্সাইড আছে কি না জেনে শ্রমিকদের ম্যানহোলে নামানোর কথা। কিন্তু নিরাপত্তা বর্ম ছাড়াই শ্রমিকদের কাজে নামানো হচ্ছে, বিষাক্ত গ্যাসে মারাও যাচ্ছে। বহু ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা।

সম্প্রতি দমদম সেভেন ট্যাঙ্কের খোলা ম্যানহোলে পড়ে মারা গিয়েছেন এক জন। মশা-মাছির ওষুধ স্প্রে করেন যে সমস্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা, করোনার সময়ও যারা দু’বেলা এই কাজ করে গেছেন, তাদের জন্য নেই কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা। খোলা হাতে, কোনও বর্ম ছাড়াই তাদের এ সমস্ত ঝুঁকির কাজ করতে হয়।

সম্পত্তি কর বৃদ্ধি নাগরিকদের উপর বাড়তি বোঝা

মূল্যবৃদ্ধিতে, নানা আর্থিক সঙ্কটের বোঝায় বিপর্যস্ত জনসাধারণের উপর পুরসভা বাড়তি কর চাপিয়েই চলেছে। পুরসভা আইন ১৯৮০ সংশোধন করে বিভিন্নভাবে সম্পত্তি কর আদায় বাড়াচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ। নতুন মিউটেশনের সময়ে ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে, এতে করের টাকা দিতে সাধারণ মানুষের কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। সংসার খরচ, এমনকী ওষুধপত্রের খরচ কাঁটছাঁট করে ট্যাক্সের টাকা জোগাতে হচ্ছে বহু নাগরিককে।

অবৈধ পার্কিং বিপজ্জনক আকার নিয়েছে

কলকাতার যেখানে সেখানে যেমন খুশি পার্কিং বহু দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমনকী আগুন লাগলে বহু সরু গলিতে পার্কিংয়ের কারণে দমকলের গাড়ি ঢুকতে পারে না। ব্যস্ত রাস্তায় জ্যাম হয়ে বহু দুর্ঘটনা ঘটছে। পার্কিং নিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা নেই সরকারের। পুলিশের নাকের ডগায় এই সব অবৈধ কার্যকলাপ চলছে। কাউন্সিলররা দেখেও চুপচাপ।

পুরনো ও বিপজ্জনক বাড়ি, নোটিশ দিয়েই দায়িত্ব শেষ

পুর এলাকাগুলির প্রায় সর্বত্র বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। বাড়ির গায়ে রয়েছে পুরসভার নোটিশ– সাবধান, বিপজ্জনক বাড়ি। যখন তখন এ ধরনের বাড়ি ভেঙে মৃত্যু ঘটলেও বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙা নিয়ে পুরসভার সুনির্দিষ্ট নীতি না থাকায় বাড়ি ভাঙে না পুরসভা। পুর কর্তৃপক্ষ বলেন, শরিকি বিবাদ, বাড়িওয়ালা-ভাড়াটে দ্বন্দ্ব, কয়েক দশকের ভাড়াটে সংক্রান্ত সমস্যা কাজের ক্ষেত্রে বাধা। অর্থাৎ যতক্ষণ বাড়িটি না ভেঙে পড়ছে, ততক্ষণ তাদের নাকি কিছু করার নেই। বহু নাগরিক প্রাণ দিলেও এই সমস্যার সমাধান আজও হয়নি।

পোস্তা ও মাঝেরহাট উড়ালপুল ভেঙে বহু মানুষের মৃত্যুর মর্মান্তিক স্মৃতি মানুষের মনে মৃত্যু-আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মুহূর্তে ২০টি সেতু ও উড়ালপুলের মেয়াদ ফুরিয়েছে। কিন্তু সেগুলির সংস্কারের ক্ষেত্রে পুরসভা নিষ্ক্রিয়।

পুরসভার বহু স্কুল বন্ধ, বাকিগুলির ভগ্নদশা

ছাত্র সংখ্যা কম এবং স্কুলের মাধ্যম বদলাতে হবে এই অজুহাতে পুরসভার ২৭টি স্কুল বন্ধ হয়েছে সম্প্রতি। ছাত্রসংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কমে। মিড ডে মিল বন্ধ। স্কুল-ছুট হয়েছে বহু ছাত্র। পৌর স্কুলগুলিতে মূলত দরিদ্র পরিবারগুলির ছেলেমেয়েরা পড়তে আসে। স্কুলগুলির দুর্দশায় তাদের অনেকেরই পড়াশোনা বন্ধের মুখে। করোনা অতিমারিতে অভাবে পড়ে বহু ছাত্রছাত্রীকে বাবা-মায়ের সাথে রোজগারে হাত লাগাতে হয়েছে। বন্ধ শিক্ষক নিয়োগও।

বেহাল দশা পুরবাজার, পুরস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির

পুরসভার রেজিস্ট্রি করা ৪৯টি বাজারের সর্বত্র তারের সারি। পুরবাজারগুলিতে ঢুকলে মনে হয় তারের চাঁদোয়া। আগুন নেবানোর ব্যবস্থা নেই বললেই চলে, অথচ আগুন লাগার সমস্ত সম্ভাবনা মজুত। বহু বাজারেই আগুন লেগেছে। তবু বহু পুরনো দোকান, গুদামের ফায়ার অডিট হয় না। বাজারগুলিতে নিকাশির অভাবে সর্বত্র জমা জল, নোংরা জঞ্জালের দুর্গন্ধ, অসম্পূর্ণ নির্মাণ কাজের জন্য দূষণ স্বাভাবিক চিত্র। জমা জলে ডুবে থাকা তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুও ঘটেছে। তাও পুর কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। শব্দদূষণ, ধোঁয়া-ধুলোর দূষণ বাড়ছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা, শ্যামবাজার, হাজরা প্রভৃতি এলাকায় ভয়ানক বায়ু দূষণে শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ বাড়ছে নাগরিকদের। পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে নাম কা ওয়াস্তে পরিষেবা রয়েছে। ডাক্তার অপর্যাপ্ত। ওষুধও তাই।

সাইকেল লেনের ঘোষণাই সার

অল্প আয়ের বহু মানুষ ও তাদের পরিবারের জীবন-যাপন সাইকেল নির্ভর। পরিবহণের বিপুল ব্যয় ও সংক্রমণ এড়াতে অতিমারি পরিস্থিতিতে সাইকেল একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। পরিবেশবান্ধব ও দূষণমুক্ত এই যানে কোনও খরচও নেই। কলকাতার বহু মানুষ এমনকি আশেপাশের জেলা থেকেও কয়েক লাখ মানুষ, বেকার যুবক, অসংগঠিত শ্রমিক, ছাত্র-ছাত্রী, ছোট ব্যবসায়ীরা পাড়ি দেন সাইকেলে। মহানগরীতে আলাদা সাইকেল লেন করে নিরাপদে যাতায়াতের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন সাইকেল চালকরা। সরকারের নানা দপ্তরে দাবিপত্র পেশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী আলাদা সাইকেল লেন করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন, কিন্তু তার বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টেপুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাইকেলের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে।

অপরাধ তালিকার প্রথম সারিতে কলকাতা

অপরাধ তালিকায় মেট্রোপলিটন শহরগুলির মধ্যে কলকাতা প্রথম সারিতে। নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন, রাহাজানি, তোলাবাজিতে এগিয়ে। স্কুল-কলেজ, টিউশনি, খেলা এগুলি থেকে ফেরার সময় ছাত্রীদের রাস্তাঘাটে দুষ্কৃতীদের খারাপ আচরণের শিকার হতে হয়। নারী নিরাপত্তা রয়েছে কাগজে-কলমেই।

শাসকদলের মদতপুষ্ট প্রভাবশালীরা বেআইনি নির্মাণে যুক্ত

শাসক দলের মদতপুষ্ট প্রভাবশালীরা বেআইনি নির্মাণ করেই চলেছে। একের পর এক বেআইনি বাড়ি, দোকান, ক্লাব, ঠেক পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে উঠেছে। বেআইনি বহুতলে আগুন লাগলে বা বাড়ি ভেঙে পড়লে বড় বিপদ অনিবার্য। পুকুরগুলি বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। যার ফলে বায়ু দূষণের সাথে পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ করার কোনও চেষ্টা নেই পুর-কর্তৃপক্ষের। রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা হয়, যার ফলে পথ দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে।

দুর্নীতির রমরমা

পুরসভার নানা প্রকল্পের টাকা নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বস্তি উচ্ছেদ করে বহুতল তৈরি হচ্ছে। বরাত পাচ্ছে শাসক দল ঘনিষ্ঠ কিংবা প্রভাবশালী কোনও ব্যক্তি। উচ্ছেদ হচ্ছেন বস্তিবাসী হাজার হাজার মানুষ। রাস্তা তৈরির কিছু দিনের মধ্যেই গর্ত হয়ে গিয়ে দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।

চাই জনমুখী দৃষ্টিভঙ্গি

পুরসভা পরিচালনায় এমন ছন্নছাড়া ভাব কেন? কারণ পুরসভার পরিচালক দলগুলির জনমুখী দৃষ্টিভঙ্গির অভাব। পূর্বতন সিপিএম বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস কেউই জনমুখী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পুরসভা পরিচালনা করে না। বৃহত্তর ক্ষেত্রে জনবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চললে স্থানীয় ক্ষেত্রে পুরসভা পরিচালনায় তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। পড়ছেও। পুরসভার ২৮ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ না করা, পুর-স্কুলগুলি উঠে যাওয়া, জলব্যবসায়ীদের স্বার্থে পৌরসভার পক্ষ থেকে সর্বত্র পানীয় জল সুলভে পৌঁছনোর ব্যবস্থা না করা– সেই দৃষ্টিভঙ্গির পরিণাম। পুর পরিষেবায় পর্যাপ্ত অর্থবরাদ্দ না করা বা নাগরিকদের করভার বৃদ্ধি করা তারই অঙ্গ। দরকার এর বিরুদ্ধে নাগরিকদের আন্দোলন। শুধু ভোট দিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচন করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। নাগরিক অধিকার রক্ষার আন্দোলনও গড়ে তুলতে হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই এস ইউ সি আই (সি) ২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ৮৩ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী কমরেড সুস্মিতা পাল বাড়ি বাড়ি প্রচার করছেন।