ব্যাঙ্গালোরের চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ৪ জুন ১১ জন ক্রিকেটপ্রেমীর পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে দলের কর্ণাটক রাজ্য কমিটি। ওই দিন এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই দুর্ঘটনার জন্য আরসিবি-র বিজয়-উৎসবের উদ্যোক্তারা সম্পূর্ণ দায়ী। আইপিএল সিজন ১৮-তে আরসিবি-র জয় উপলক্ষে বিপুল প্রচারের ঢেউ তুলে উৎসবের আয়োজন করেছিল তারা। অথচ এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলি তারা নেয়নি। এরই বলি হতে হল ১১টি তরুণ প্রাণকে।
বহু প্রচারিত সংবাদমাধ্যম, আইপিএল-এর প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টিমের পিছনে বিপুল অর্থ ঢেলে রাখা মুনাফালোভী মালিকরা এবং সমাজমাধ্যম– এরা সকলেই এই উৎসবকে ঘিরে প্রবল মাতামাতি সৃষ্টির জন্য দায়ী, যার পরিণামে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটল। বাস্তবে এই উৎসবের সঙ্গে ক্রিকেট যতটা না জড়িয়ে আছে, তার চেয়ে বেশি জড়িয়ে আছে তাকে ঘিরে উন্মাদনা সৃষ্টি। এই উন্মাদনার কারণেই, যা হতে পারত একটি আনন্দময় উৎসব, তা পরিণত হল মর্মান্তিক মৃত্যুমিছিলে। কর্ণাটক রাজ্য সরকারও জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলার ভয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা ছাড়াই এই উৎসব হতে দিয়েছে। ফলে এই প্রাণহানির জন্য তাদের দায়ও কম নয়। যদিও ১১ জনের এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ক্ষতি কোনও ভাবেই পূরণ হতে পারে না, তা সত্ত্বেও এসইউসিআই(সি)-র কর্ণাটক রাজ্য কমিটি এই দুর্ঘটনায় মৃতদের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে।
এই লেখাটি গণদাবী ৭৭ বর্ষ ৪৪ সংখ্যা ১৩ – ১৯ জুন ২০২৫ এ প্রকাশিত