মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পরেও বেআইনি বাজি কারখানা চলছে কী করে?

 

উত্তর চব্বিশ পরগণার দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু ও বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এস ইউ সি আই (সি)-র রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য ২৭ আগস্ট এক বিবৃতিতে বলেন,

দত্তপুকুরের ঘটনা, তার মাস তিনেক আগে এগরা, বজবজ, ইংরেজবাজারে পরপর বিস্ফোরণ এবং তার ফলে বহু মানুষের মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে পুলিশ প্রশাসন ও শাসক দলের প্রত্যক্ষ মদতেই এগুলি ঘটছে। সমস্ত ক্ষেত্রেই শাসক দলের ঘনিষ্ঠরা যে যুক্ত তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অথচ এগরার ঘটনার পর গত ২৭ মে খাদিকুল গ্রামে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ‘মাথা নত করে ক্ষমা’ চেয়েছিলেন এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্য পদক্ষেপ ঘোষণা করেছিলেন।

কিন্তু দেখা গেল, এগরার মতোই এই বাজি কারখানার মালিক একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার বেআইনি বাজি কারখানা খুলেছেন। বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধে রাজ্য সরকার চূড়ান্ত নিষ্ক্রিয় না হলে এটা কী করে সম্ভব? এই নিষ্ক্রীয়তা চূড়ান্ত অপরাধমূলক। এটা রাজ্য সরকারের অপরাধমূলক নিষ্ক্রিয়তারই প্রমাণ। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি, অবিলম্বে উপযুক্ত তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। আমরা নিহত গরিব শ্রমিকদের পরিবারগুলির জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি করছি। আমাদের আরও দাবি, রাজ্য জুড়ে কোথায় কোথায় এখনও নানা প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তির দুষ্টচক্র এই কাজ করে চলেছে, তা খুঁজে বের করে বন্ধ করতে হবে।

এই প্রসঙ্গে দলের বারাসাত-বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক কমরেড তুষার ঘোষ বলেন, সরকার ও প্রশাসনের নাকের ডগায় শাসকদলের নেতাদের মদতেই এই বেআইনি বাজি কারখানা চলছিল। আমরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করছি ও সকল দোষীর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। নিহতদের পরিবার পিছু দশ লক্ষ টাকা এবং আহতদের দু লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং চিকিৎসার সব খরচ সরকারকে বহন করার দাবি জানাচ্ছি। নিহত যে সমস্ত শ্রমিকের বাড়ি অন্য জেলায়, তাদের দেহ সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

বারাসাতে বিক্ষোভ মিছিল। ২৮ আগস্ট