ব্যবহারের সময় অনুযায়ী বিদ্যুতের মাসুল স্থির করার নতুন বিধি আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিদ্যুৎ মন্ত্রক জানিয়েছে, দিনের ২৪ ঘন্টায় চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে আলাদা আলাদা বিদ্যুৎ মাসুল। যেমন, রাতে বিদ্যুতের চাহিদা যখন বেশি, তখন মাসুল হবে সাধারণ হারের তুলনায় বেশি। দিনে চাহিদা কম বলে, মাসুল হবে কম। ২৬ জুন এক বিবৃতিতে অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন (অ্যাবেকা)-এর সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস কেন্দ্রীয় সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রক কর্তৃক স্মার্ট মিটারের সাথে ‘টাইম অফ ডে’ (টিওডি) সিস্টেমের মাধ্যমে গ্রাহকবিরোধী এই নতুন বিধির তীব্র বিরোধিতা করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই বিধি সাধারণ বিদ্যুৎগ্রাহক স্বার্থবিরোধী ও একচেটিয়া বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ মুনাফা লুটের পরিপূরক। সেই উদ্দেশ্যেই গৃহস্থ গ্রাহকরা দিনের বেলা আট-দশ ঘন্টা যখন বাড়ির বাইরে থাকেন, তখন তাঁকে সাধারণ দামের ১০-২০ শতাংশ কম দামে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে এবং রাতে যখন তাঁরা বিশ্রামের জন্য ঘরে থাকতে বাধ্য হবেন, তখন তাঁকে সাধারণ দামের ১০-২০ শতাংশ বেশি দাম দিতে হবে। যদিও সাধারণ দাম কোন সময়ের জন্য, সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। একই ভাবে বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে সন্ধ্যায় যখন প্রতিষ্ঠান আলোকিত করার প্রয়োজন বেশি, তখন তাঁদের বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে হবে।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ ক্ষুদ্রশিল্প দুই শিফটে চলে। এই বিধি চালু হলে দামী বিদ্যুতের কারণে বিকেলের শিফট বন্ধ রাখতে তারা বাধ্য হবে। পরিণামে একলাফে বেকারসংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, জনস্বার্থের তোয়াক্কা না করে মোট প্রয়োজনের তুলনায় কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এবং প্রয়োজনের সময় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে মালিকদের মুনাফা আরও বাড়ানোর আইনগত ব্যবস্থা করছে সরকার। বিদ্যুৎগ্রাহক সংগঠন অ্যাবেকার পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে সমস্ত স্তরের সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।