টেট-উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে পুলিশি বর্বরতাকে ধিক্কার জানিয়ে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) এর রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য ২০ অক্টোবর এক বিবৃতিতে বলেন,
২০১৪-তে প্রাথমিকে টেট-উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা ১৮ অক্টোবর থেকে সল্টলেকে যে আন্দোলনে নেমেছিলেন এবং যেভাবে তাঁরা আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন তা রাজ্যের শিক্ষক আন্দোলনের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা। অনশন ৮৩ ঘন্টা পেরনোর পর রাজ্য সরকার নৃশংসভাবে পুলিশ দিয়ে জোর করে অনশনকারীদের গ্রেফতার করে, যা সরকারের চূড়ান্ত ঔদ্ধত্যেরই প্রকাশ। এই পুলিশি অত্যাচারে ইতিমধ্যে কয়েকজন অনশনকারীকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। আমরা আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি সরকারের এই স্বৈরাচারকে ধিক্কার জানাই। সাথে সাথে আমরা দাবি করছি,
১) ২০১৪ ও ২০১৭-র টেট-উত্তীর্ণদের পুনরায় পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা চলবে না।
২) ২০১৪-র উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ওই সময়ে ঘোষিত শূন্যপদের ভিত্তিতে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আগে নিয়োগ করতে হবে।
৩) ২০১৭-র উত্তীর্ণদের ২০১৭ সালে ঘোষিত শূন্যপদের ভিত্তিতে একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ করতে হবে।
৪) এই দুই নিয়োগ প্রক্রিয়া যতদিন সম্পূর্ণ না হচ্ছে ততদিন ওই প্যানেলের মেয়াদ শেষ করা চলবে না।
আমাদের আরও দাবি, এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখার সার্বিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।
এর আগে ১৯ অক্টোবর আন্দোলনকারীদের আমরণ অনশন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে দলের রাজ্য সম্পাদক একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। চিঠিতে তিনি উপরোক্ত দাবিগুলি তুলে মন্তব্য করেন, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মধ্য দিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের যে চাকরি দেওয়া হয়েছে তা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদই আদালতে স্বীকার করেছে। সেই অযোগ্য ব্যক্তিদের বরখাস্ত করা সরকারের প্রথম কাজ ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি।