রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার হাল কী? একটি উদাহরণ দেওয়া যাক৷ ২৮ নভেম্বর মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ বছর ৯ মাসের শিশু অঙ্কুশ চালককে জ্বরের চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন তার বাবা, মা৷ শিশু বিভাগের চিকিৎসক জ্বরের চিকিৎসার জন্য শিশুটির ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া সহ কয়েকটি রক্ত পরীক্ষা ও এক্স–রে করার নির্দেশ দিলে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগ তার পরীক্ষার তারিখ দেয় ২২ দিন পর, ২০ ডিসেম্বর৷ এই দরিদ্র পরিবারের পক্ষে প্রাইভেটে পরীক্ষা করানোও সম্ভব নয়৷ তাঁদের আবেদন শুনে এগিয়ে আসে নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ এবং হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা সংগঠন৷ সংগঠনের সদস্যরা ২৯ নভেম্বর হাসপাতালে এমএসভিপি–র কাছে অবিলম্বে ওই শিশুটির রক্ত ও অন্যান্য পরীক্ষার দাবি জানান৷ তাঁরা বলেন শুধু এই শিশুটি নয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এটাই চিত্র৷ এমআরআই সিটিস্ক্যান বা একটু বড় কোনও পরীক্ষা করাতে মাসের পর মাস চলে যায়, সাধারণ রক্ত পরীক্ষা এক্স–রে তে লাগে অন্তত একমাস৷
হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা সংগঠনের পক্ষে ডাঃ প্রাণতোষ মাইতি জানান, আন্দোলনের চাপে শিশুটির এক্স–রে ও রক্ত পরীক্ষা সেদিনই হয়৷ অবস্থা বদলাতে বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য হাসপাতালে আসা রোগীর পরিজনদের কাছে আবেদন করেন সংগঠনের সদস্যরা৷