উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় বসিরহাটের ইটিন্ডায় ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ইটভাটার চুল্লি ফেটে ৪ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন ১৭ জন। ওই দিন এআইইউটিইউসি-র রাজ্য সম্পাদক কমরেড অশোক দাস এক বিবৃতিতে বলেন, বসিরহাটের হাফিজুল মণ্ডল সহ উত্তরপ্রদেশের ২ জন শ্রমিকের এবং অসিত ঘোষ, ভাটার অংশীদারের মৃত্যুর ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, ইটভাটার মালিকরা অধিক লাভের জন্য শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য কোনও ব্যবস্থা না নিয়েই ভাটা চালাচ্ছেন।
বেশ কিছু দিন এই ইটভাটা বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু করার আগে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সময় ও টাকা খরচ করতেও মালিকরা রাজি নন। এই অবস্থায় আমরা দাবি করছি– মৃত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে ৩০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আহত শ্রমিকদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব মালিককে নিতে হবে এবং প্রত্যেক আহত শ্রমিককে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সমস্ত ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকদের নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর যুক্ত রেজিস্ট্রেশন খাতা মালিককে রাখতে হবে এবং তা শ্রম দপ্তরের কাছে নিয়মিত পাঠাতে হবে। ইটভাটায় বহু পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করেন। সমস্ত ইটভাটায় উপযুক্ত শ্রমিক সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে।