পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশে যখন করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ ভাবে বাড়ছে সেই সময় পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সংক্রমণ রোধে কাজ করার জন্য সরকারি নির্দেশনামা ঘোষণা করা হচ্ছে৷ অথচ দুঃখের হলেও এ কথা সত্য মুখ্যমন্ত্রী এপ্রিল–মে–জুন মাসে এই করোনা যোদ্ধা পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের উৎসাহ ভাতা ১০০০ টাকা ঘোষণা করলেও জুলাই মাসে যখন সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেল তখন সেই ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই বহু পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন৷ এ সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই কর্মীরা কাজ করে চলেছে অক্লান্তভাবে৷ এই ভয়াবহ আর্থিক সংকটময় পরিস্থিতিতে আজ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নিকট পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মীর ইউনিয়নের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷ সংগঠনের পক্ষ থেকে সভাপতি সুচেতা কুণ্ডু ও যুগ্ম সম্পাদিকা কেকা পাল এক প্রেস বিবৃতিতে জানান, অবিলম্বে পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের যতদিন না করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিন করোনা ভাতা মাসিক পাঁচ হাজার টাকা করে দিতে হবে৷
দ্বিতীয়ত পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা ন্যূনতম ৩১২৫ টাকা বেতনে দীর্ঘ বছর ধরে কাজ করে আসছেন৷ এই অবস্থায় এই দুঃসহ পরিস্থিতির সমস্ত পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের মূল্য সূচক অনুযায়ী মূল বেতন বৃদ্ধি করতে হবে৷ তৃতীয়ত পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের অবসরকালীন ভাতা, স্থায়ী কর্মীর স্বীকৃতি, অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর করতে হবে৷
এই স্মারকলিপির প্রতিলিপি পশ্চিমবঙ্গ সরকার গঠিত গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি কমিটি (করোনা সংক্রান্ত) চেয়ারম্যান অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অর্থমন্ত্রী, পৌরমন্ত্রী, শ্রমমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরে অনলাইনে পাঠানো হয়৷ পৌর স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজ নিজ পৌরসভাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং পৌরসভার প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় অবিলম্বে এই দাবির ন্যায্যতা মেনে তা কার্যকর করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷