বাংলাদেশের বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ১৫ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে ক্ষমতাসীন হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার দৃঢ় ঘোষণা করেন। একই সাথে আওয়ামি লিগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য জনগণকে আহ্বান জানান তাঁরা। ঢাকায় প্রেসক্লাব ময়দানে অনুষ্ঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ থেকে বক্তারা ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য বামগণতান্ত্রিক জোটকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সমন্বয়ক মাসুদ রানা সভাপতিত্ব করেন। সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লিগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম সবুজ ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলি।
সভায় মাসুদ রানা বলেন, ‘দেশের জনগণ একদিকে অর্থনেতিক ভাবে সংকটে আছে, অন্যদিকে তারা রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। তার ভোটের অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। আওয়ামি লিগের এই শাসনে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে একমাত্র দেশের বৃহৎ ব্যবসায়ীরা। তাদের রক্ষার জন্য আওয়ামি লিগ যা যা করতে হয় সব করছে। ফলে আওয়ামি লিগের উপর জনগণ প্রচণ্ড বিক্ষুব্ধ। জনগণ পরিবর্তন চান। কিন্তু আওয়ামি লিগের পরিবর্তে বৃহৎ ব্যবসায়ী শ্রেণির স্বার্থরক্ষাকারী অন্য কোনও দল ক্ষমতায় এলে এই সমস্যার সমাধান হবে না’।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চিন সহ বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে আওয়ামি লিগ। তারাই দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করে বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির অনুপ্রবেশের দরজা খুলে দিচ্ছে। সমাবেশ থেকে ১৫-৩০ সেপ্টেম্বর পক্ষকালব্যাপী রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ও সারা দেশের উপজেলাতে সমাবেশ, ৫ অক্টোবর ঢাকায় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান, ৮-১৫ অক্টোবর জেলায় ও বিভাগীয় শহরে পদযাত্রা ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।