৭ জানুয়ারি কলকাতায় বিক্ষোভের ডাক আশাকর্মীদের

ডায়মণ্ড হারবার

৭ জানুয়ারি কলকাতায় বিরাট বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়ন। কেন এই বিক্ষোভ? সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ইসমত আরা খাতুন জানালেন– বর্তমানে রাজ্যে ৫৪ হাজারেরও বেশি আশাকর্মী মারাত্মক বঞ্চনার শিকার। দীর্ঘ করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে আশাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে কোভিড মোকাবিলা, পোলিও প্রতিরোধ, কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া, শিশু ও মাতৃমৃত্যু রোধে ঝড়-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বন্যা পরিস্থিতিতেও পরিষেবা দেওয়ার জন্য তারা নজির সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু এঁদের শ্রমের মূল্য দিতে সরকারের যত টালবাহানা। তাঁদের প্রাপ্য ৮/৯ মাসের উৎসাহভাতা এখনও বাকি। যা দেওয়া হচ্ছে ২০০, ৫০০, ১০০০ টাকা– এই রকম ভাগে ভাগে। যাঁদের ৩০-৩৫ হাজার টাকা বাকি, তাঁদের এই রকম ভেঙে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। এর উপরে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আশা কর্মীদের ইন্সেন্টিভের টাকা ৮টি ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে, যা পাওয়া আরও অনিশ্চিত হয়ে যাবে। এক মাসের বেতন ৮ ভাগে দেওয়ার খামখেয়ালি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আশাকর্মীরা।

দার্জিলিং

কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচিতে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেও কাজের পারিশ্রমিক থেকে আজও তাঁরা বঞ্চিত। কোভিড আক্রান্ত আশাকর্মীরা আবেদন করা সত্ত্বেও বিমার ১ লক্ষ টাকা এখনও জোটেনি। অন্য দিকে রুটিন মাফিক কাজের বাইরে জোরকরে বাড়তি কাজের বোঝা অহরহ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একটা কাজ শেষ না হতেই আর একটা কাজ অমানবিকভাবে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নূ্যনতম সময়ও দেওয়া হচ্ছে না। এর প্রতিবাদে জেলায় জেলায় আন্দোলন চলছে।

কোচবিহার

১৭ ডিসেম্বর কোচবিহার জেলা কমিটির উদ্যোগে ৭ দফা দাবিতে কোচবিহার শহরে মিছিল করেন আশাকর্মীরা। বিক্ষোভে জেলার সহস্রাধিক আশাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। তাদের দাবি সরকারি কর্মীর স্বীকৃতি সহ ২১ হাজার টাকা বেতন, পি এফ, পেনশন, গ্র্যাচুইটি দিতে হবে।

ওই দিনই দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের আশাকর্মীরা ৮ দফা দাবিতে বিএমওএইচ দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এবং থানার সামনে পথ অবরোধ করে। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ডায়মণ্ডহারেও বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ দেখান আশাকর্মীরা।

 

 

গণদাবী ৭৪ বর্ষ ২০ সংখ্যা ২৪ ডিসেম্বর ২০২১