ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের আপসহীন ধারার বিপ্লবী, ফাঁসির মঞ্চে প্রথম শহিদ ক্ষুদিরামের ১১৩তম আত্মোৎসর্গ দিবস ১১ আগস্ট পালিত হল গভীর মর্যাদা ও শ্রদ্ধায়৷ এ দিন হাইকোর্টের সামনে ক্ষুদিরামের মর্মর মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মূল অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল এআইডিএসও, এআইডিওয়াইও, এআইএমএসএস, কমসোমল ও পথিকৃৎ সংগঠন৷ মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান এসইউসিআই (কমিউনিস্ট)–এর রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য সহ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃবৃন্দ৷ কমসোমলের পক্ষ থেকে বিপ্লবীর প্রতি গার্ড অফ অনার জানানো হয়৷ বক্তব্য রাখেন এআইডিএসও–র সর্বভারতীয় কমিটির সহ–সভাপতি কমরেড মৃদুল সরকার৷ তিনি বলেন, ক্ষুদিরামের স্বপ্ন সফল হয়নি৷ স্বাধীন দেশে ব্রিটিশ শাসনের পরিবর্তে দেশীয় পুঁজিপতিদের শোষণমূলক শাসন কায়েম হয়েছে৷ তাই এই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে আমাদের প্রত্যেককে ক্ষুদিরামের জীবন সংগ্রাম থেকে শিক্ষা নিয়ে বিপ্লবী ভূমিকা পালন করতে হবে৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এআইডিওয়াইও–র কলকাতা জেলা সম্পাদক কমরেড সঞ্জয় বিশ্বাস৷ শহিদ ক্ষুদিরামের উপর রচিত ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি’ গানটি পরিবেশিত হয়৷ করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতেও রাজ্যজুডে শত শত এলাকায় ক্ষুদিরামের ছবিতে মাল্যদান, প্রভাতফেরি, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ দেশের অন্য রাজ্যেও নানা স্থানে দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়৷ ত্রিপুরার আগরতলায় ক্ষুদিরাম বসু স্মৃতিরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে ক্ষুদিরামের পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হয়৷