এ বছর ১১ আগস্ট ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের আপসহীন ধারার বীর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ১১৫তম আত্মোৎসর্গ দিবস। এ বছরটি স্বাধীনতারও ৭৫ বছর পূর্তি। যে স্বাধীনতার স্বপ্ন ক্ষুদিরাম সহ শত-সহস্র বিপ্লবীরা দেখেছিলেন তা যে আসেনি তা সমাজে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, অনাহার, নারী নির্যাতনের ঘটনাতেই স্পষ্ট। ধনী-দরিদ্রে বৈষম্য আকাশ ছুঁয়েছে। পুঁজিবাদী শাসনের অমোঘ পরিণতি হিসাবে নৈতিক অধঃপতন আজ চরম সীমায় পৌঁছেছে। শাসক দলগুলির নেতাদের দুর্নীতি-নীতিহীনতা মানুষকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। সাড়ে সাত দশকে দেশের পুঁজিবাদী শাসকরা পুঁজিবাদকে আরও সংহত করেছে। দেশ জুড়ে চলছে তারই ‘অমৃত-মহোৎসব’। এই অবস্থায় মানুষের মুক্তির আন্দোলন শক্তিশালী করতে বিপ্লবীদের জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এআইডিএসও, এআইডিওয়াইও, এআইএমএসএস, কমসোমল ও পথিকৃৎ-এর পক্ষ থেকে দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। রাজ্য জুড়ে কয়েক হাজার জায়গায় ছবিতে মাল্যদান, ব্যাজ পরিধান, শপথবাক্য পাঠ, প্যারেড, আলোচনা সভা প্রভৃতি আয়োজিত হয়। এ দিন মূল অনুষ্ঠানটি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের সামনে ক্ষুদিরাম মূর্তিতে মাল্যদানের। সকাল সাড়ে ছটায় মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড নভেন্দু পাল সহ গণসংগঠনগুলির নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা। এ ছাড়াও রাজ্যের অজস্র স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে, স্টেশনে, বাজারে, রাস্তার মোড়ে ছবিতে মাল্যদান করা হয়। সর্বত্র সাধারণ মানুষ গভীর আবেগে ছবিতে মাল্যদান করেন।
লিগাল সার্ভিস সেন্টারের উদ্যোগে কলকাতা হাইকোর্টে ক্ষুদিরামের ছবিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসুমল্লিক, প্রাক্তন সম্পাদক অমল মুখোপাধ্যায়, কল্লোল বসু সহ বহু আইনজীবী, ল-ক্লার্ক ও অন্যান্যরা।