কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ দফতরের দায়িত্ব হতদরিদ্র বিড়ি শ্রমিকদের ভালোমন্দ দেখা৷ কিন্তু দফতরের কর্তাদের ভূমিকা দেখলে ঠিক উল্টোটাই মনে হতে বাধ্য৷ বিড়ি শ্রমিকদের গৃহনির্মাণ প্রকল্প আরআইএসএইচ–১৬ অনুযায়ী এক হাজার শ্রমিককে মোট দেড় লক্ষ টাকা অনুদানের সিদ্ধান্ত নেয় দফতর৷ প্রথম কিস্তিতে তাঁদের অনুদানের ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়৷ এই টাকায় লিন্টন পর্যন্ত নির্মাণ সম্ভব না হলেও প্রকল্পের নিয়ম মেনে অনেকেই ধার-দেনা করে ওই পর্যন্ত নির্মাণ শেষ করে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দেন৷ কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও দফতর দ্বিতীয় কিস্তির টাকা, অর্থাৎ অনুদানের ৬০ শতাংশ দিচ্ছে না৷
এদিকে কল্যাণ দফতর এক নোটিস জারি করে বলেছে, যে বিড়ি শ্রমিকরা এখনও বাড়ি তৈরি করেননি, তাঁদের সুদ সহ টাকা ফেরত দিতে হবে৷ এআইইউটিইউসি অনুমোদিত বিড়ি ওয়ার্কার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে৷ ফলে টাকা আদায় বন্ধ রয়েছে৷ ফেডারেশন দ্বিতীয় কিস্তির টাকা অবিলম্বে দেওয়ার দাবিতে ১৭ মার্চ রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দেয়৷ সংগঠনের সভাপতি অশোক দাস বলেন, কোনও কোনও জেলায় এই টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য শ্রমিকদের কাছ থেকে ঘুষও চাওয়া হচ্ছে৷ তিনি বলেন, অবিলম্বে দুর্নীতি বন্ধ করে কিস্তির টাকা না দিলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে৷