এস ইউ সি আই (সি)–র দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ ১ জুলাই থেকে শিয়ালদহ–লক্ষ্মীকান্তপুর, শিয়ালদহ–ক্যানিং ও শিয়ালদহ–ডায়মন্ডহারবার শাখায় ৩ জোড়া ট্রেন বাড়িয়েছে৷
এটা দলের নেতৃত্বে যাত্রী সাধারণকে নিয়ে লাগাতার আন্দোলনেরই জয়৷ এই আন্দোলনে সহযোগিতা করার জন্য দলের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা কমিটির তরফ থেকে যাত্রী সাধারণকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে৷ যাত্রী সুবিধার উন্নতির জন্য দলের কর্মীরা যাত্রীদের নিয়ে ২ জুলাই থেকে কয়েক দিন টানা লক্ষ্মীকান্তপুর, মথুরাপুর, জয়নগর–মজিলপুর, বহডু, দক্ষিণ বারাশত, গোচরণ, ক্যানিং, ঘুটিয়ারি শরিফ প্রভৃতি স্টেশনে জনমত সংগঠিত করেন৷ অতীতের আন্দোলনের ধারাবাহিকতা উল্লেখ করে আরও ব্যাপক আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে কয়েক হাজার বিশেষ বুলেটিন স্টেশনে স্টেশনে বিক্রি করা হয়৷
১৯ জুলাই শিয়ালদহ ডিআরএম অফিসে ডেপুটেশন দেওয়া হয়৷ দাবি করা হয়, (১) সম্প্রতি দলের আন্দোলনের চাপে রেল দপ্তর যে তিন জোড়া ট্রেন বৃদ্ধি করেছে তা সোনারপুরে শেষ না করে বালিগঞ্জ বা শিয়ালদহ পর্যন্ত চালানো, (২) ক) সকাল ৯টা নাগাদ লক্ষ্মীকান্তপুর–বারুইপুর একটা নতুন ট্রেন, খ) রাত ৮.৩০ শিয়ালদহ–কাকদ্বীপ লোকালকে নামখানা পর্যন্ত চালানো এবং গ) সকাল ৯টা নাগাদ একটি নামখানা–লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল চালানো, (৩) প্ল্যাটফর্মগুলোর উচ্চতা বাড়ানো, (৪) বিভিন্ন স্টেশনে নতুন অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি বা পুরনো অ্যাপ্রোচ রোডগুলির সংস্কার, (৫) জয়নগর–মজিলপুর সহ বিভিন্ন স্টেশনের ২নং প্ল্যাটফর্মে টিকিট কাউন্টার চালু করা, (৬) চাঁদোখালি স্টেশনের ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ নতুন প্ল্যাটফর্মটি চালু করা, (৭) লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশনের ২–৩ প্ল্যাটফর্মের বর্ধিত অংশে জল জমা ও মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা দূর করার জন্য একটি ওভারব্রিজ বা আন্ডারপাস চালু করা, (৮) বিভিন্ন স্টেশনে শেড নির্মাণ সহ প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতো নতুন রেল রুটগুলি চালু করা৷
এডিআরএম নতুন ট্রেন চালানো এবং যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়ে তৎপর হওয়ার আশ্বাস দেন৷ প্রতিনিধি দলে ছিলেন কমরেডস তরুণকান্তি নস্কর (প্রাক্তন বিধায়ক ও দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য), অজয় সাহা (রাজ্য কমিটির সদস্য), নারায়ণ নস্কর ( জেলা কমিটির সদস্য), মঙ্গল মুখার্জি, প্রবীর চক্রবর্তী, আম্মাদ সরকার প্রমুখ৷