৩১ মার্চ ‘নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ’-র পক্ষ থেকে ডাঃ তরুণ মণ্ডল এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন– পূর্ব রেলের ২৭০টি রেল স্টেশনে ওষুধ, পথ্য, চিকিৎসা সহ অন্যান্য পরিষেবার সুযোগ করে দেওয়ার নামে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ পিপিপি মডেলে বেসরকারি মালিকদের আমন্ত্রণ করছেন যা সামগ্রিক রেল পরিষেবা বেসরকারিকরণেরই অঙ্গ। এতদিনের প্রচলিত রেলের নিজস্ব পরিষেবার বদলে এখন থেকে যাত্রীদের অর্থদণ্ড দিয়ে পরিষেবা কিনতে বাধ্য করা হবে। হকারদের রেলে বা স্টেশনে পরিষেবা কার্যত বন্ধ করার নীতি ঘোষণা করে, রোগী, বয়স্ক নাগরিক, মহিলা, প্রতিবন্ধীদের কনসেশন বন্ধ করে, বহু স্টেশনে ওয়েটিং হল, শৌচালয় প্রভৃতির ‘ফি এর বিনিময়ে পরিষেবা’ ব্যবসা চালু করে যেমন রেলের বাণিজ্যিকীকরণের পথ সুগম করা হয়েছে, এ ক্ষেত্রেও সেরকমই হবে। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং রেলকেই তার নিজস্ব পরিষেবার অঙ্গ হিসেবে বিনামূল্যে যাত্রীদের এই সব পরিষেবা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
প্রায় সব স্টেশনে ডাক্তার ও ওষুধের পরিষেবা এবং চলন্ত ট্রেনেও তার ব্যবস্থা ছিলই, কিন্তু বেসরকারিকরণের ধাক্কায় গত ৩০ বছরে রেল তা প্রায় অবলুপ্ত করে ফেলেছে। এখন আবার টাকার বিনিময়ে সেই পরিষেবা কেনার নিদান দিচ্ছে যা সস্তার রেলের জমিতে মালিকদের মুনাফা করতেই সাহায্য করবে।
স্টেশনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যবস্থা এবং ওষুধের দোকানও মূলত ব্যবসার স্বার্থে, আপদকালীন রোগীর চিকিৎসা বা রোগ নির্ণয়ের স্বার্থে নয়। তা করতে হলে সর্বক্ষণের ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী ও এমার্জেন্সি পরিষেবার ব্যবস্থাপনা লাগে যা রেল ক্রমশ কমাচ্ছে বা তুলে দিয়েছে। নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চের পক্ষ থেকে এই জনবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে স্টেশনে স্টেশনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে এবং তা আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে পরিণত হবে। এই দাবি সহ অন্যান্য দাবিতে ৫ এপ্রিল কলকাতায় অবস্থান-বিক্ষোভ করে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।