১৯ মে এআইডিএসও-র ডাকে রাজ্য জুড়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছাত্র ধর্মঘট সফল করায় ছাত্রসমাজকে সংগ্রামী অভিনন্দন জানিয়ে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কমরেড বিশ্বজিৎ রায় এক বিবৃতিতে বলেন,
বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনরত যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের উপর ১৫ মে রাজ্য সরকারের দলদাস পুলিশ বাহিনীর বর্বরোচিত আক্রমণের প্রতিবাদে আজ সারা রাজ্য জুড়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এআইডিএসও-র ডাকে ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয়েছে। সকাল থেকেই কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে এআইডিএসও-র কর্মীরা ধর্মঘটের সমর্থনে গেট পিকেটিং করেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আহ্বান জানান এই ধর্মঘটকে সফল করার জন্য। বহু জায়গায় তৃণমূলী গুন্ডাবাহিনীর হুমকি উপেক্ষা করে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এই ধর্মঘটে সাড়া দেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাস, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা কলেজ, কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের সামনে গেট পিকেটিং চলাকালীন টিএমসিপি-র বহিরাগত গুণ্ডাবাহিনী সংগঠনের কর্মীদের ওপর বিনা প্ররোচনায় হামলা করে এবং ধর্মঘট ভাঙতে চায়।

এই হামলাকে উপেক্ষা করে সংগঠনের কর্মীরা এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলে। হামলায় সারা রাজ্যে ১৭ জন কর্মী আহত হয়েছেন, কোচবিহারে ৭ জন কর্মী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার যোগ্য শিক্ষকদের এই আন্দোলনকে ভাঙার জন্য যেমন সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে, একইভাবে আজও রাজ্যে যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলনের সমর্থনে এবং সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচানোর দাবিতে ডাকা ধর্মঘটকেও ভাঙার জন্য সচেষ্ট থেকেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি এ রাজ্যের ছাত্র সমাজকে বিপ্লবী অভিনন্দন জানাই এই ধর্মঘটকে সফল করার জন্য। আজকের স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র ধর্মঘট প্রমাণ করলো পশ্চিমবাংলার ছাত্রসমাজ রক্তাক্ত, আক্রান্ত যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের পাশে আছে।

সকল যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের সসম্মানে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে এবং সর্বোপরি সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা বাঁচাবার দাবিতে এআইডিএসও-র আন্দোলন জারি থাকবে। এই আন্দোলনকে সর্বাত্মক সমর্থন করার জন্য সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকবৃন্দ ও সকল শিক্ষাপ্রেমী মানুষকে আহ্বান জানিয়েছে সংগঠন।
এই লেখাটি গণদাবী ৭৭ বর্ষ ৪১ সংখ্যা ২৩ – ২৯ মে ২০২৫ এ প্রকাশিত